কোথায় সমস্যা? প্রশ্নটা সামান্য দুই শব্দের হলেও আকরাম খানের কাছে উত্তরটা বিশাল বড়। জাতীয় দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খোলামেলা চাইলেও কথা বলতে পারেন না দায়িত্বশীল জায়গা থেকে। তবুও আকরাম খান বলতে বাধ্য হলেন, ‘‘মনে হচ্ছে না তারা ফিট।’’

শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হার। এর আগে টেস্ট সিরিজে একই ফল। ১-০ ব্যবধানে হার। মনে হচ্ছিল, ওয়ানডেতে অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাটে আরো বেসামাল অবস্থা।

কলম্বোর পর ক্যান্ডি, পরাজয়ের ব্যবধান কেবল বেড়েছে। বোলাররা যা-ও পারছেন, ব্যাটসম্যানরা স্রেফ তালগোল পাকানো পারফরম্যান্স করেই যাচ্ছেন। সবশেষ চার ম্যাচে নেই কোনো সেঞ্চুরি। টপ অর্ডারে সেঞ্চুরি নেই গত বছরের ১৩ মার্চের পর। বড় ইনিংস খেলার চেষ্টাই নেই। ভালো শুরু করলেও পথ হারাতে সময় লাগছে না। সব মিলিয়ে সাফল্যের গাড়ি ছুটছে ব্যাকগিয়ারে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল শ্রীলঙ্কা

কয়েকবার শর্ত বদল, তবুও টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে পারছে না বিসিবি

মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে এসব নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান, ‘‘লম্বা ইনিংস খেলতেই হবে। শীর্ষ চারটা ব্যাটসম্যানের। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে, স্বাভাবিক যে ক্রিকেটটা হয়, যেটা আমরা ঢাকা লিগে খেলি বা এখানে খেলি, সেটা কিন্তু খেলছে না। হয়তো বাড়তি সতর্ক এবং মানসিকভাবে তাদেরকে ফিট মনে হচ্ছে না। অনেক চাপ নিয়ে নিচ্ছে।’’

মানসিকতার কথা তুলে ধরে আকরাম খান যোগ করেন, ‘‘কিছু এটিচিউডও আছে যেগুলো মনে করেন দলে প্রভাবিত হয়। কেউ রান আউট হয়ে এমন এটিচিউড করছে.

..ওখানে কিন্তু কেউ সেরা খেলোয়াড় না, যারা খেলে সবাই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। এসব করলে দল কিন্তু দিন দিন নেতিবাচক দিকেই যাচ্ছে। আদর্শ ক্রিকেট খেলতে হলে আপনাকে সবকিছুতেই উন্নতি করতে হবে।’’

ব্যাটিং ব্যর্থতাকে বড় করে দেখে আকরাম খান যোগ করেন, ‘‘ব্যাটসম্যানরা খেলবে ৫০ ওভার— সেখানে শেষে ১০ ওভার বোলাররা গিয়ে ব্যাট করছে। এখানে আপনি যে রান করার কথা, সে রান করতে পারবেন না। এগুলো হলো স্বাভাবিক ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য। এগুলো করতেই হবে। এ ভুলগুলো অন্য দলগুলো যারা খেলে, তাদের কাছে এগুলো পাবেন না। হয়তো ওরা ম্যাচ হারে, জেতে। এই সমস্যাগুলো বিরাট হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একটা দুইটা ম্যাচে হলে ঠিক আছে কিন্তু দিন দিন এটা হতেই যাচ্ছে। গত দুই বছর থেকে আমি দেখছি ব্যাটসম্যানদের বিরাট সমস্যা। এখান থেকে বের হতেই হবে। নয়তো আপনি পারফর্ম করতে পারবেন না, চাপে পড়বেন, সবকিছু নেগেটিভ হবে। এ জিনিস থেকে উঠে আসতেই হবে আমাদের।’’

চাপহীন ক্রিকেট খেলার পরামর্শ আকরাম খানের, ‘‘দূর থেকে খেলা দেখে আমার মনে হচ্ছে, খেলোয়াড়রা অতিরিক্ত চাপে থাকে। কীসের জন্য চাপে থাকে আমি জানি না। কিন্তু আপনি বেশি চাপে থাকলে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। ওদের ব্যাটিং স্টাইল দেখে, কিছু ভুল দেখে, এটিচিউড দেখে মনে হচ্ছে না তারা স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলছে।’’

মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকুর, মাহমুদউল্লাহর পর আইকন ক্রিকেটারের ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশ দলে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আকরাম খানও, ‘‘মানুষ কিন্তু খেলা দেখে, যাকে পছন্দ করে, তার খেলা দেখে। এবং সে যদি পারফর্ম না করে, তাহলে নিরাশ হয়ে যায়। আপনার ধারাবাহিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আইকন খেলোয়াড়র জন্য। বড় বড় যারা খেলোয়াড় আছে, তারা মেক্সিমাম ম্যাচে পারফর্ম করে, যে জিনিসটা আমরা এখন করতে পারছি না। আমাদের ধারাবাহিকতার খুবই অভাব। এটা থেকেই বের হতে পারবে না।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন আকর ম খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা

ছয় দপ্তর প্রধানের দায়িত্ব থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকতকে। সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক ও খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। 

গত ১০ মাস ধরে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হুসাইন শওকত। একই সঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। নিয়মিত সব অফিসে যেতে না পারায় দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

বিষয়গুলো তুলে ধরে গত ৪ জুলাই ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিষয়টি সমাধানে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে স্থানীয় সরকার পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে তিনি খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবার দুটি দায়িত্বই তিনি বুঝে নিয়েছেন। 

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। তার দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ