বাড়তি চাপ, মানসিকতায় আনফিট, দায়িত্ববোধে ঘাটতি দেখছেন আকরাম
Published: 9th, July 2025 GMT
কোথায় সমস্যা? প্রশ্নটা সামান্য দুই শব্দের হলেও আকরাম খানের কাছে উত্তরটা বিশাল বড়। জাতীয় দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খোলামেলা চাইলেও কথা বলতে পারেন না দায়িত্বশীল জায়গা থেকে। তবুও আকরাম খান বলতে বাধ্য হলেন, ‘‘মনে হচ্ছে না তারা ফিট।’’
শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হার। এর আগে টেস্ট সিরিজে একই ফল। ১-০ ব্যবধানে হার। মনে হচ্ছিল, ওয়ানডেতে অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাটে আরো বেসামাল অবস্থা।
কলম্বোর পর ক্যান্ডি, পরাজয়ের ব্যবধান কেবল বেড়েছে। বোলাররা যা-ও পারছেন, ব্যাটসম্যানরা স্রেফ তালগোল পাকানো পারফরম্যান্স করেই যাচ্ছেন। সবশেষ চার ম্যাচে নেই কোনো সেঞ্চুরি। টপ অর্ডারে সেঞ্চুরি নেই গত বছরের ১৩ মার্চের পর। বড় ইনিংস খেলার চেষ্টাই নেই। ভালো শুরু করলেও পথ হারাতে সময় লাগছে না। সব মিলিয়ে সাফল্যের গাড়ি ছুটছে ব্যাকগিয়ারে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল শ্রীলঙ্কা
কয়েকবার শর্ত বদল, তবুও টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে পারছে না বিসিবি
মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে এসব নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান, ‘‘লম্বা ইনিংস খেলতেই হবে। শীর্ষ চারটা ব্যাটসম্যানের। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে, স্বাভাবিক যে ক্রিকেটটা হয়, যেটা আমরা ঢাকা লিগে খেলি বা এখানে খেলি, সেটা কিন্তু খেলছে না। হয়তো বাড়তি সতর্ক এবং মানসিকভাবে তাদেরকে ফিট মনে হচ্ছে না। অনেক চাপ নিয়ে নিচ্ছে।’’
মানসিকতার কথা তুলে ধরে আকরাম খান যোগ করেন, ‘‘কিছু এটিচিউডও আছে যেগুলো মনে করেন দলে প্রভাবিত হয়। কেউ রান আউট হয়ে এমন এটিচিউড করছে.
ব্যাটিং ব্যর্থতাকে বড় করে দেখে আকরাম খান যোগ করেন, ‘‘ব্যাটসম্যানরা খেলবে ৫০ ওভার— সেখানে শেষে ১০ ওভার বোলাররা গিয়ে ব্যাট করছে। এখানে আপনি যে রান করার কথা, সে রান করতে পারবেন না। এগুলো হলো স্বাভাবিক ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য। এগুলো করতেই হবে। এ ভুলগুলো অন্য দলগুলো যারা খেলে, তাদের কাছে এগুলো পাবেন না। হয়তো ওরা ম্যাচ হারে, জেতে। এই সমস্যাগুলো বিরাট হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একটা দুইটা ম্যাচে হলে ঠিক আছে কিন্তু দিন দিন এটা হতেই যাচ্ছে। গত দুই বছর থেকে আমি দেখছি ব্যাটসম্যানদের বিরাট সমস্যা। এখান থেকে বের হতেই হবে। নয়তো আপনি পারফর্ম করতে পারবেন না, চাপে পড়বেন, সবকিছু নেগেটিভ হবে। এ জিনিস থেকে উঠে আসতেই হবে আমাদের।’’
চাপহীন ক্রিকেট খেলার পরামর্শ আকরাম খানের, ‘‘দূর থেকে খেলা দেখে আমার মনে হচ্ছে, খেলোয়াড়রা অতিরিক্ত চাপে থাকে। কীসের জন্য চাপে থাকে আমি জানি না। কিন্তু আপনি বেশি চাপে থাকলে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। ওদের ব্যাটিং স্টাইল দেখে, কিছু ভুল দেখে, এটিচিউড দেখে মনে হচ্ছে না তারা স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলছে।’’
মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকুর, মাহমুদউল্লাহর পর আইকন ক্রিকেটারের ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশ দলে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আকরাম খানও, ‘‘মানুষ কিন্তু খেলা দেখে, যাকে পছন্দ করে, তার খেলা দেখে। এবং সে যদি পারফর্ম না করে, তাহলে নিরাশ হয়ে যায়। আপনার ধারাবাহিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আইকন খেলোয়াড়র জন্য। বড় বড় যারা খেলোয়াড় আছে, তারা মেক্সিমাম ম্যাচে পারফর্ম করে, যে জিনিসটা আমরা এখন করতে পারছি না। আমাদের ধারাবাহিকতার খুবই অভাব। এটা থেকেই বের হতে পারবে না।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন আকর ম খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিপ্রবিসহ রাঙামাটিতে কেউ যেন পাহাড় কাটতে না পারে: আদালতের নির্দেশনা
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাঙামাটিতে কেউ যাতে পাহাড় কাটতে না পারে, সে জন্য মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ভবন নির্মাণে পাহাড় কাটা নিয়ে করা রিট শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি এবং বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের আদালত আজ বুধবার এ নির্দেশনা দেন। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এই রিট করে।
গত ২৫ নভেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ভবন নির্মাণের জন্য চলছে পাহাড় কাটা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আদালত রাঙামাটি জেলার পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না; রাঙামাটি জেলার পাহাড় কাটা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং যে পাহাড় কাটা হয়েছে, সেগুলোকে মাটি ভরাট করার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে কৌঁসুলি মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে। রাঙামাটিতে প্রশাসনের সামনে এ কার্যক্রম চললেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনরাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ভবন নির্মাণের জন্য চলছে পাহাড় কাটা২৫ নভেম্বর ২০২৫রিটের পক্ষে ছিলেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবী মোহাম্মদ সারোয়ার আহাদ চৌধুরী এবং একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। বিবাদী করা হয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান কেউ পাহাড় কাটতে পারে না। রাঙামাটিতে প্রশাসনের সামনে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।