মাঠের ক্রিকেটে পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা নেই। নেই স্থিতিশীল পরিস্থিতিও। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেটে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। ক্রিকেট প্রশাসনে যে অস্থিরতা, তা কাটাতে পারেনি মাঠের পারফরম্যান্সও। তাতে সবকিছুই যেন ওলটপালট। তাই তো ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি আয়ের যে উৎস, সেখানেও যা-তা অবস্থা। শুধু দেশের ক্রিকেট নয়, বিশ্বজুড়েই ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি আয় হয় টিভি স্বত্ব থেকে। সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে ক্রিকেট বোর্ডগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে। অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্রিকেট আগ্রহে ভাটার কারণে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রিই করতে পারছে না বিসিবি। একাধিকবার শর্ত বদল, সময়সীমা বৃদ্ধি, দাম কমানো এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর শর্ত দিয়েও কোনো সাড়া পাচ্ছে না বিসিবি। তা রীতিমতো ভাবাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।

বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সবশেষ খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দুই টেস্টের জন্য টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে না পারায় বিসিবি বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভিতে খেলা দেখায়। যেখান থেকে কোনো লাভই করতে পারেনি। উল্টো প্রোডাকশন খরচ বহন করতে হয়েছে। সামনে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জানা গেছে, এই সিরিজের টিভি স্বত্বও এখন পর্যন্ত বিসিবি বিক্রি করতে পারেনি। ৪ কোটি টাকায় টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে চেয়েছে বিসিবি। তাতেও আগ্রহ দেখায়নি কেউ।

শুধু তা-ই নয়, ২০২৫–২৭ হোম সিরিজের স্যাটেলাইট, ডিজিটাল এবং ডিটিএইচ সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করলেও তাতে কোনো দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাড়া দেয়নি। গত ১২ জুন ইংরেজি ও বাংলা জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিসিবি জানায়, ১২ জুলাই ২০২৫ থেকে ১৫ জুন ২০২৭ পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে এসব স্বত্ব বিক্রয়ের জন্য আগ্রহীদের দরপত্র দিতে হবে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৮ জুলাই। কিন্তু বিসিবি যেসব শর্ত দিয়েছিল, তা মেনে কেউই দরপত্র জমা দেয়নি।

আরো পড়ুন:

সাইফউদ্দিন-নাঈম শেখকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা

দশ বছরে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বাজে অবস্থা বাংলাদেশের

বিসিবি যে শর্ত দিয়েছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ১০ লাখ মার্কিন ডলারের সিকিউরিটি ডিপোজিট। এই অর্থ ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার, অপরিবর্তনীয় ব্যাংক গ্যারান্টি বা ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বিশাল এই অঙ্ক জমা দিতে রাজি নয় কোনো প্রতিষ্ঠানই। কোনো সাড়া না পেয়ে বিসিবি গত ২৭ জুন ও ৪ জুলাই দরপত্রে সংশোধনী আনে এবং শুধুমাত্র পাকিস্তান সিরিজের জন্যও আলাদা দরপ্রস্তাব আহ্বান করেছে। তাতেও কোনো প্রতিষ্ঠান সাড়া দেয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে বিসিবির একাধিক পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা কেউ কথা বলতে রাজি নন। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ বাজেভাবে হারের পর আড়ালে চলে গেছেন তারা।

টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে না পারলেও স্পন্সরশিপ স্বত্ব এই সিরিজের বিক্রি করতে পেরেছে বিসিবি। পাকিস্তান–বাংলাদেশ সিরিজের স্পন্সর হয়েছে কেএফসি।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দরপত র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

১৬ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ২৮৮ কোটি টাকা

টার্নকি ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়নসহ মোট ১৬টি ৩৩/১১ কেভি এআইএস সাবষ্টেশন নির্মাণের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৮ টাকা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, টার্নকি ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়নসহ ৮টি নতুন ৩৩/১১ কেভি এআইএস সাবষ্টেশন ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং এবং কমিশনিং কাজের  ক্রয় প্রস্তাব (ডব্লিউপি-২ লট-১) অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউপি-২, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র-এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক এন্টাপ্রাইজ লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ২৭ টাকা।

সভা সূত্রে জানা যায়, টার্নকি ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়নসহ ৮টি নতুন ৩৩/১১ কেভি এআইএস সাবষ্টেশন ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং এবং কমিশনিং কাজের  ক্রয় প্রস্তাব (ডব্লিউপি-২ লট-২) অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-২, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র-এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক এন্টাপ্রাইজ লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৩ হাজার ২৫১টাকা।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনসিটি পরিচালনায় ন্যায্য দরপত্র প্রক্রিয়া চেয়ে করা রিটের আদেশ ২৩ জুলাই
  • নতুন তারকার জোড়া গোলে ফাইনালে চেলসি
  • হারের আগেই হেরে সিরিজ খোয়া
  • ১৬ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ২৮৮ কোটি টাকা
  • নিশোর পরবর্তী সিনেমা ‘দম’, মুক্তি ঈদুল ফিতরে
  • নিশোর পরবর্তী সিনেমা ‘দম’, নির্মাতা রেদওয়ান রনি
  • নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনায় ন্যায্য দরপত্রপ্রক্রিয়া চেয়ে রিটের শুনানি কাল
  • প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র হয় না নিউমুরিং টার্মিনালে
  • আবেদনময়ী সাবরিনা এবার পরিবারবান্ধব