শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ২-১ ব‌্যবধানে। দলীয় র‌্যাংকিংয়ে যা প্রভাব পড়েনি। আগের অবস্থানেই আছে দুই দল। শ্রীলঙ্কা র‌্যাংকিংয়ে চার নম্বর দল। বাংলাদেশের অবস্থান দশে।

তবে ব‌্যক্তিগত র‌্যাংকিংয়ে প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম‌্যানদের মধ‌্যে জাকের আলী অনিক ও তাওহীদ হৃদয়ের উন্নতি হয়েছে। অবনমন হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত, অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাসের। বোলিংয়ে কেবল বলার মতো তাসকিন আহমেদের উন্নতি হয়েছে।

আজ আইসিসি ওয়েবসাইটে র‌্যাংকিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করেছে।

আরো পড়ুন:

বাড়তি চাপ, মানসিকতায় আনফিট, দায়িত্ববোধে ঘাটতি দেখছেন আকরাম

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ওয়ানডেতে জাকের ৩৪ গড়, ৭৪.

৭৮ স্ট্রাইক রেটে ১০২ রান করেছেন। ৩২ ধাপ এগিয়ে র‌্যাংকিংয়ে ৫৯তম স্থানে এসেছেন তিনি। জাকেরের চেয়ে ১ রান বেশি করেছেন তাওহীদ হৃদয়। ৭ ধাপ এগিয়ে তাওহীদের অবস্থান ৫১তম স্থানে। ৩৪.৩৪ গড়ে ১০৩ রান করেছেন তাওহীদ।

সাবেক অধিনায়ক শান্ত ৬ ধাপ পিছিয়ে ৩৪তম স্থানে গেছে। তার পেছনে যাওয়ায় র‌্যাংকিংয়ে সেরা ত্রিশে নেই বাংলাদেশের আর কোনো ব‌্যাটসম‌্যান। ৫ ধাপ নেমেছেন বর্তমান অধিনায়ক মিরাজ। তার স্থান ৭২। প্রথম ওয়ানডে খেলে বাদ পড়া লিটনের ৮ ধাপ অবনবমন করে স্থান এখন ৭৮ নম্বরে। 
বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ দুই ধাপ উন্নতি করে বোলারদের র‌্যাংকিংয়ে ২৬তম স্থানে। এছাড়া অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ আগের চতুর্থ স্থানেই রয়েছেন। 

সিরিজ জেতা লঙ্কানদের র‌্যাংকিংয়ে ভালো উন্নতি হয়েছে। সিরিজ সেরা নির্বাচিত হওয়া কুশল মেন্ডিস ও লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা সেরা দশে এসেছেন। প্রথমবারের মতো মেন্ডিস সেরা দশে ঢুকেছেন। এছাড়া আসালাঙ্কার ২ ধাপ উন্নতি হয়েছে ছয় নম্বরে আছেন। হাসারাঙ্গা সেরা দশে ফিরে অষ্টম স্থানে রয়েছেন।

ব‌্যাটিং র‌্যাংকিংয়ে শুভমান গিল, বাবর আজম ও রোহিত শর্মা শীর্ষে রয়েছেন। বোলিংয়ে মাহিশা থিকসানা, কুলদ্বীপ যাদব ও কেশভ মহারাজ রয়েছেন শীর্ষে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ