অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সাথে আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলিদের মতবিনিময় সভা
Published: 9th, July 2025 GMT
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এবং জেলার সকল সরকারি কৌঁসুলি আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটরগণের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল তৃতীয় তলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের তৃতীয় তলায় এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় আইন পেশার বিভিন্ন দিক এবং বিচার বিভাগের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বিচার বিভাগের বিভিন্ন সমস্যা এবং তাদের সমাধানে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিশেষ করে, অ্যাটর্নি জেনারেল সভায় আইনজীবী ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো শুনেন এবং এগুলোর সমাধানে আশ্বাস দেন। তিনি আইনজীবীদের পেশাগত মানোন্নয়ন এবং বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দ্রুততা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
এই মতবিনিময় সভা থেকে আইনজীবীরা অ্যাটর্নি জেনারেলের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যতে বিচার বিভাগের উন্নয়নে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব ন র য়ণগঞ জ জ ল আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের আইনি নোটিশ
জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর পঞ্চম সিজনের কয়েকটি পর্বে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় এবং নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন গতকাল (৮ জুলাই) এ নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, সাইদুর রহমান পাভেল, শিমুল শর্মা এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বুম ফিল্মস–এর নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’-এর প্রথম থেকে অষ্টম পর্ব পর্যন্ত এমন অনেক সংলাপ রয়েছে যা ‘অশ্লীল, ডাবল মিনিং এবং কিশোর-তরুণদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
নোটিশে উদাহরণ হিসেবে নাটকের কিছু সংলাপ তুলে ধরা হয়েছে, যেমন, ‘ডেট’, ‘উনিশ/বিশ’, ‘টাকা হলে সীসা খেতে পারতাম’, ‘বাঙালি পোশাক লুঙ্গি’, ‘ফিমেল’, ‘কিডনি’, ‘দই’-এই শব্দ ও সংলাপগুলোকে ‘নৈতিকতা, শালীনতা ও পারিবারিক রুচির পরিপন্থী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, এগুলোর মাধ্যমে নারীদের অবমাননা করা হয়েছে এবং তরুণ প্রজন্মের মুখে এসব সংলাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।
এছাড়া নোটিশে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের কথা তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন—নাটকটি এখন সব বয়সী দর্শকের জন্য তৈরি হচ্ছে। তবে বাস্তবে নাটকের ভাষা, উপস্থাপন ও বিষয়বস্তু মোটেও পরিবারবান্ধব নয় বলে দাবি করেন নোটিশদাতা।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪’ এবং ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭’-এর আলোকে শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রচার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ এই নাটকের কিছু সংলাপ ও দৃশ্য সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে তরুণদের ভাষা ও আচরণে স্থায়ী ছাপ ফেলছে।
নোটিশে নাটকের বিতর্কিত সংলাপ ও ভিডিও ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।