তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ। বুধবার বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। 

সাক্ষাৎকালে তথ্য উপদেষ্টা জানান, গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা নিরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। 

গণমাধ্যমবিষয়ক আরও কিছু সংস্কার কার্যক্রম আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মাহফুজ আলম।

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন। 

উপদেষ্টা আরও জানান, গণমাধ্যমপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণবিধি প্রণয়নেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাক্ষাৎকালে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক কনসালটেন্ট লিনা ফক্স উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন স ক উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

হাওর রক্ষায় পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান করছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাওর রক্ষায় একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে সরকার। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি হাওরে বাঁধ নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, পর্যটন সুরক্ষা ও নীতিমালা প্রণয়নসহ চারটি প্রধান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউর) শফিকুল কবির মিলনায়তনে হাওরের সংকট ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হাওরের ইকো সিস্টেম পৃথিবীতেই বিরল। এটিকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে। হাওরের সীমানা নির্ধারণ করে কৃষিজমি থেকে মাটি উত্তোলনের মতো ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।

এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা হাওর অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ‘ভাসমান হাসপাতাল’ চালুর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। পাশাপাশি হাওরের মাছের উৎপাদন ও আহরণের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের ওপর জোর দেন।

সেমিনারে কি-নোট উপস্থাপন করেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক, কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মুহাম্মদ মোফাজ্জল।

সংগঠনের সভাপতি রফিক মুহাম্মদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোশতাক আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মাহবুব হাসান শাহীন, বিএনপির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, গ্রিন কনসার্ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক তাহমিনা খানম, বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসাইন প্রমুখ।

এতে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী খান। ঢাকাস্থ নেত্রকোণা সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, আগাম বন্যা বা অন্যান্য কারণে হাওরের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে তার তীব্র নেতিবাচক প্রভাব আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ে। তাই জাতীয় সম্পদ হাওরকে রক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

তারা বলেন, বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হাওরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। তার প্রভাব চালের বাজারসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পড়ে। তাই যে জনগোষ্ঠী আমাদের নাগরিক জীবন ও অর্থনীতিতে এতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তারা তাদের জীবনের নাজুক অবস্থা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় প্রতি বছর তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়।

কি-নোটে মুহাম্মদ মোফাজ্জল বলেন, হাওর এলাকার জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অপুষ্টিতে ভোগে। রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা তাদের জন্য দুর্গত। জল যার জলা হবে ভার বলা হলেও সম্পদ এখনও ক্ষমতা ও বৃত্তবন্দি। অন্যদিকে হাওরের জীববৈচিত্র সংকটাপন্ন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জীববৈচিত্র রক্ষায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ যতটা প্রয়োজন তা পরিলক্ষিত হয়নি। জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব ও অন্যান্য সংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ব্যর্থ হলে তা হাওর অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বকে সংকটপূর্ণ করার পাশাপাশি আমাদের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাওর রক্ষায় পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান করছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা