সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রূপবান বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে ‘সুন্দরবন প্রজেক্ট নামে একটি মুরগির খামার’ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

রূপবান বেগম শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের জহুর আলী মোল্লার স্ত্রী। 

এদিকে শিয়াল মারার ফাঁদে জড়িয়ে গৃহবধূর মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে প্রজেক্টের কর্মচারীরা পালিয়ে যান।

নিহত গৃহবধূর ছেলে আব্দুর সবুরের ভাষ্য, সকালে তার মা ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে সুন্দরবন প্রজেক্টের মধ্যে গিয়েছিলেন। আগের দিন প্রজেক্টের ম্যানেজার মাকসুদ ঘাস কেটে নেওয়ার জন্য তার মাকে বলেছিলেন।

আব্দুর সবুর বলেন, ‘দুপুর গড়িয়ে গেলেও মাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একপর্যায়ে প্রতিবেশীসহ আশপাশে বাড়িতে খুঁজতে থাকি। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রজেক্টের মধ্যে বিদ্যুতের তারে আটকে থাকা মায়ের মরদেহ দেখে খবর দেন।’

দুর্ঘটনার সময় প্রজেক্টে উপস্থিত থাকা মাকসুদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সুন্দরবন প্রজেক্টর মালিক নুর ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শিয়ালের উপদ্রব বেশি হওয়ায় রাতে প্রজেক্টের চারপাশে জিআই তার দিয়ে তৈরি ফাঁদে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখা হয়। ভুলবশত মাকসুদ সকালে বিদ্যুতের সংযোগ খুলে রাখেননি।

শ্যামনগর থানার ওসি মো.

হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ হবধ র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজস্থানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের চুরুর রতনগড় তেহসিলে ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানের আরোহী দুজন পাইলটই নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আইএএফ।

ভারতীয় বিমানবাহিনী ‘এক্স’–এ এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘আজ একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ মিশনের সময় আইএএফের একটি জাগুয়ার ট্রেনার বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এটি রাজস্থানের চুরু জেলায় বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় দুই পাইলটই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন এবং পরে তাঁদের মৃত্যু হয়।

চুরু জেলার পুলিশ সুপার জয় যাদব বলেন, আজ বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুরু জেলার ভাবানা বাদাভানে গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বিমানে দুজন পাইলট ছিলেন। প্রথমে তাঁদের সুরক্ষা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। পরে বিমানবাহিনী মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

এর আগেও ২০২৪ সালের এপ্রিলে গুজরাটের জামনগর জেলার সুভর্দা গ্রামে খোলা মাঠে আইএএফের একটি দুই আসনের জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় একজন পাইলট নিহত হয়েছিলেন। তখনো বিমানটি প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল।

দুই আসনের জাগুয়ার যুদ্ধবিমানটি নিয়ে রাতের প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছিল। জামনগর শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে কালাভাদ হাইওয়ের পাশে একটি খোলা মাঠে এটি ভেঙে পড়েছিল।

এর আগে ২০২৪ সালের মার্চে হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। একই দিনে আরেকটি এএন–৩২ পরিবহন বিমান পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরায় জরুরি অবতরণ করে।

তবে ওই দুই দুর্ঘটনার সময় উভয় বিমানের ক্রুরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। জাগুয়ার বিমানটি তখন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে এএন–৩২ বিমানের জরুরি অবতরণের কারণ সঙ্গে সঙ্গে জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজস্থানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত
  • চুলায় পোড়ে সুন্দরবনের বাহারি ফল, থমকে যায় বনের স্বপ্ন
  • মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন নারী
  • শিল্প ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২ প্রকল্পে ২৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন