সিনিয়র ফুটবলারদের আরেকটা সুযোগ দেওয়া উচিত: ঋতুপর্ণা চাকমা
Published: 9th, July 2025 GMT
বাংলাদেশের ফুটবলের পোস্টার গার্ল ঋতুপর্ণা চাকমা। রাঙামাটির মগাছড়ি গ্রামের ঋতু, ফুটবলবোদ্ধাদের চোখে বাংলাদেশের মেসি। আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলে বাংলাদেশ যে টিকিট কেটেছে, তার মূল কারিগর ২১ বছর বয়সী এ উইঙ্গার। মিয়ানমারে এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে দৃষ্টিনন্দন ৫ গোল করেন তিনি। যদিও কারও সঙ্গে তুলনায় যেতে চান না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে অধ্যয়নরত ঋতু। মিয়ানমার থেকে ফিরে সোমবার সকালে ভুটান গেছেন লিগে খেলতে। সেখান থেকে নিজের পারফরম্যান্স, বাংলাদেশের অর্জন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: চারদিক থেকে প্রশংসায় ভাসছেন। কেমন লাগছে, প্রথমবার এশিয়ান কাপে খেলতে যাচ্ছেন?
ঋতুপর্ণা চাকমা: প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছি– এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। অনেক ভালো লাগার বিষয়। এর আগে দু’বার আমরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়ার বড় মঞ্চে খেলার। সেই স্বপ্ন আমাদের পূরণ হয়েছে। দুটি সাফ চ্যাম্পিয়ন দলেরই সদস্য ছিলাম। সেই হিসেবে এবার এশিয়ান কাপে যাওয়াটা আমার জন্য বিশেষ কিছু।
সমকাল: এমন অর্জনের উদযাপন কি কম হলো? রাতে ঢাকায় পৌঁছে সকালেই ভুটান গেলেন।
ঋতুপর্ণা: হাতিরঝিলে এমন সংবর্ধনা অপ্রত্যাশিত ছিল। বাফুফে এত কষ্ট করে মধ্যরাতে আমাদের জমকালো সংবর্ধনা দিয়েছে। সে জন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আসলে হাতে সময় ছিল না; ভুটানে লিগ খেলতে আসতে হয়েছে।
সমকাল: মিয়ানমারের বিপক্ষে বাঁ পায়ে দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন। ভেবেছিলেন, গোল হবে?
ঋতুপর্ণা: আমি যে গোলগুলো করি, প্রায় সবই ডি-বক্সের বাইরে থেকে। এই পজিশন থেকে গোল করতে আমার ভালো লাগে। ফলে আত্মবিশ্বাস তো ছিলই।
সমকাল: মাঝে কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে আপনিসহ সিনিয়র খেলোয়াড়দের একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। সাবিনাসহ বেশ কয়েকজন মিয়ানমারে ছিলেন না। তাতে খেলায় কোনো প্রভাব পড়েছে?
ঋতুপর্ণা: আমি চাই, আমাদের ক্যাপ্টেন (সাবিনা খাতুন) এবং বাকি যে সিনিয়র ফুটবলাররা আছেন, তাদের আবার দলে নেওয়া হোক। একটা সুযোগ দেওয়া হোক। পুরো সিনিয়র টিম যদি থাকে, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। আমাদের বন্ডিংটা অনেক ভালো। এই যে আমরা এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করলাম, আমি মনে করি তাদেরও (সিনিয়র) টিমে থাকার দরকার ছিল।
সমকাল: মিয়ানমারে আপনার করা গোলগুলো দর্শনীয় ছিল। নিজের গোলের ভিডিও দেখেন?
ঋতুপর্ণা: হাজারবার দেখেছি। ম্যাচ শেষ করে রুমে এসে গোলের ভিডিও ক্লিপগুলো দেখেছি। নিজেও অবাক হয়েছি (হাসি.
সমকাল: অনেকেই আপনাকে বাংলাদেশের মেসি সম্বোধন করেন...
ঋতুপর্ণা: আমি আসলে কারও সঙ্গে নিজেকে তুলনা করি না। মেসি তো মেসিই। তাঁর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। এটা বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। এই ফাঁকে একটা কথা বলি, আমি কিন্তু সিআর সেভেনের (ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো) ভক্ত। তাঁর মতো স্পট কিক নিতে আমার ভালো লাগে।
সমকাল: এশিয়ান কাপের বাকি ১০ মাস। এই সময়টা কতটা চ্যালেঞ্জের?
ঋতুপর্ণা: এই সময়টা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। অস্ট্রেলিয়ায় এশিয়ান কাপে ভালো করতে হলে আমাদের এই কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বড় বড় দেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে হবে। প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারলে আমাদের শক্তি ও দুর্বলতাগুলো বুঝতে পারব। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে দুয়েকটা টিমের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে পারলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হতো। আর তা যদি র্যাঙ্কিংয়ে বড় কোনো দলের বিপক্ষে খেলতে পারি, তাহলে খুবই ভালো।
সমকাল: এশিয়ান কাপ থেকে আটটি দলের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকবে। নিজেদের সম্ভাবনা দেখছেন?
ঋতুপর্ণা: এটা এখনও বলতে পারছি না। পরিস্থিতি কখন কোনো দিকে যাবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। এখন যেভাবে সেরাটা দিয়ে যাচ্ছি, ভবিষ্যতেও তা দিয়ে যাব। এশিয়ান কাপে প্রতিপক্ষ কারা হবে, তা এখনও জানি না। শুধু এশিয়ান কাপ নয়, বাংলাদেশকে অলিম্পিকের মতো বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চাই।
সমকাল: মিয়ানমার ম্যাচের পর কোচ বলেছিলেন, ভুটান লিগের চেয়েও বড় লিগে খেলার যোগ্য আপনি ...
ঋতুপর্ণা: ভুটানের লিগ খারাপ না। ভুটানে লিগ হয়, আমাদের দেশে তো সেটাও হয় না। ভুটানে ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সংগঠক সবাই পেশাদার। কোচ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে কিংবা ইউরোপে খেলার যোগ্য আমি। তাঁর প্রশংসায় আমি খুশি। তবে কোনো প্রস্তাব পাইনি (হাসি ...)।
সমকাল: এশিয়ান কাপের আগে বাফুফের কাছে কোনো প্রত্যাশা আছে?
ঋতুপর্ণা: আমাদের আবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নতি দরকার। পাশাপাশি ট্রেনিং সুবিধা বাড়ানো উচিত। বিদেশে গিয়ে ক্যাম্প করলে সবচেয়ে ভালো হয়। যেমন, ভাইয়েরা (পুরুষ জাতীয় দল) ম্যাচের আগে বিদেশি গিয়ে ক্যাম্প করেন। আমাদের কখনও নিয়ে যাওয়া হয়নি। যে কোনো দেশে নিয়ে গেলে মেয়েদের মনের শক্তি ও স্পিরিট বেড়ে যাবে বলে মনে করি।
সমকাল: খেলার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, মানিয়ে চলতে পারছেন?
ঋতুপর্ণা: সমস্যা কিছুটা তো হয়ই। খেলার জন্য নিয়মিত ক্লাস করতে পারি না। রাতে ক্যাম্পে একটু সুযোগ পাই পড়ার। সত্যি করে বললে, খেলাধুলা আর পড়াশোনা একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া খুব কষ্টের (হাসি ...)।
সমকাল: শুনেছি মায়ের জন্য আপনার মন খারাপ ...
ঋতুপর্ণা: খেলার আগে কিংবা পরে যখনই সময় পাই মায়ের সঙ্গে কথা বলি। মা ছয়-সাত মাস ধরে অসুস্থ। কিন্তু আমার মা জানে না তাঁর কী রোগ। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমি মাঠে নামি আমার মায়ের জন্য, দেশের জন্য। মায়ের কথা চিন্তা করেই খেলি।
সমকাল : আপনার মায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঋতুপর্ণা: সমকালকেও ধন্যবাদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল র র জন য আম দ র ফ টবল সমক ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘ইন্টেরিয়র-ফার্নিচার-সাইনেজ এক্সপো নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে’
রাজধানীর বসুন্ধরা এক্সপো ভিলেজে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টেরিয়র-ফার্নিচার-সাইনেজ টেকনোলজি এক্সপো ২০২৫’। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (আইএবি) সাধারণ সম্পাদক স্থপতি প্রফেসর ড. এম. মাসুদ উর রশিদ।
এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেড এর উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধনের সময় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) এম. এম. জসিম উদ্দিন, প্রদর্শনীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিকোয়া) সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়াসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থপতি প্রফেসর ড. এম. মাসুদ উর রশিদ বলেন, “ইন্টেরিয়র-ফার্নিচার-সাইনেজ টেকনোলজি এক্সপো নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে। এই এক্সপো আর্কিটেকচারদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। এক্সপোর নানা পণ্য তারা প্রফেশনাল জায়গায় কাজে লাগাতে পারছে। এক্সপোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আর্কিটেক ডিজাইনারদের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা আরো ভালো করতে পারবে।”
তিনি আরো বলেন, “আয়োজক সংস্থার এটি দ্বিতীয় এক্সপো। প্রথম এক্সপোতেও আমি এসেছিলাম। এবারের এক্সপ্রোতে এসে যা দেখলাম তা প্রথমবারের চেয়েও বড় পরিসরে করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বেশি। নতুন উদ্যোক্তাদের কাছে এই এক্সপোর গুরুত্ব রয়েছে বলেই ধারাবাহিকভাবে এর পরিসর বড় হচ্ছে। এবারের এক্সপোতে সাইন এইজ টেকনোলজি যোগ হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে নতুন আরো বিষয় যুক্ত করার মাধ্যমে নতুন আর্কিটেকচার উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিকোয়া) সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া বলেন, “যত বেশি হবে এক্সপো হবে তত বেশি স্টেকহোল্ডারদের জন্য উপকার হবে। গ্রাহকদের রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক্সপোতে অংশগ্রহণকারীরা সার্ভিস দিতে পারবে বলে আশা করছি।”
উড টেক সলিউশনস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নইমুল হোসেন খান বলেন, “দ্বিতীয় ফার্নিটেক এক্সপো ২০২৫ উডওয়ার্কিং ও ফার্নিচার সেক্টরের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। গত ফেয়ারের ধারাবাহিকতায় এবারের প্রদর্শনী উদ্যোক্তা, প্রস্তুতকারক, আর্কিটেক্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হবে।”
এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেডের পরিচালক শেখ ফিরোজ আহমেদ আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলেন, “দীর্ঘ পরিশ্রমের পর এক্সপোটি আয়োজন করা হয়েছে। আমরা যখন প্রথম আয়োজন করেছিলাম তখন অনেকে বলেছিলেন এর পরিসর বড়াতে। চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা এবার পরিসর বড় করেছি। একইসঙ্গে নতুন টেকনোলজি যোগ করেছি। ভবিষ্যতে সকলের সহযোগিতায় আরো ভালো বড় পরিসরে এক্সপো করতে পারব বলে আশা করছি।”
তিনি বলেন, “এই মেলায় ইন্টেরিয়র টেকনোলজি, উড মেশিনারিজ ও মেটাল মেশিনারিজ ছাড়াও প্রথমবারের মতো ইন্টেরিয়র সেক্টরে ব্যবহারের জন্য তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রদর্শিত হচ্ছে, যা দেশের আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।”
আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানায়, ইন্টেরিয়র উপকরণ, ফার্নিচার সরঞ্জাম ও সাইনেজ প্রযুক্তি নিয়ে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে ৯টি দেশের ৫০টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২০০টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করছে। এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলায় এক ছাদের নিচে অনুষ্ঠিত হচ্ছে— দ্বিতীয় ইন্টেক এক্সপো ২০২৫, যেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে কিচেন সলিউশন, ইন্টেরিয়র উপকরণ, সিরামিক, লাইটিং, ফার্নিচার, হোম অটোমেশন ও অন্যান্য লাইফস্টাইল পণ্য। এছাড়া দ্বিতীয় ফার্নিটেক এক্সপো ২০২৫, যা ফার্নিচার ফিটিংস, উড ও মেটাল টেকনোলজিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত, পৃষ্ঠপোষকতা করছে উড টেক সলিউশনস এবং মেটাল টেক সলিউশনস। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে সাইনেজ টেকনোলজি এক্সপো ২০২৫, যা ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন ও বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি খাতের সর্বাধুনিক সমাধান উপস্থাপন করবে।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ পণ্য ও প্রযুক্তি যেমন- আধুনিক কিচেন সলিউশন, ফার্নিচার, ডোর, সফটওয়্যার, হোম অটোমেশন, স্মার্ট মিরর, কার্টেন, বোর্ড, ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেবা ইত্যাদি প্রদর্শন করছে।
ফার্নিচার শিল্পে কর্মরত উদ্যোক্তা, কারিগর, ডিজাইনার ও শিক্ষার্থীদের জন্যও থাকছে ফার্নিচার তৈরির আধুনিক সরঞ্জাম, টুলস এবং মেশিনারিজ প্রদর্শনের সুযোগ।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশ সবার জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি এবং দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় ছাড় ও বিশেষ অফার।
ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ