ঋতুপর্ণা চাকমার গ্রামের বাড়িতে রিজভী
Published: 9th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমার মায়ের অসুস্থতার খবরে তার গ্রামের বাড়িতে গেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে বৃষ্টি, কাদাপানি এবং ছড়া মাড়িয়ে ঋতুপর্ণার বাড়ি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার দুর্গম মগাছড়ি গ্রামে যান তিনি।
ঋতুপর্ণা চাকমা মা ভুজোপতি চাকমা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। ইতোমধ্যে তিনি তিনটি কেমো দিয়েছেন। প্রতি ২১ দিন অন্তর অন্তর তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে।
মগাছড়ি গ্রামে পৌঁছে রুহুল কবির রিজভী ঋতুপর্ণার মা ভুজোপতি চাকমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন ভুজোপতি চাকমার কাছে।
আরো পড়ুন:
চৌদ্দগ্রামের ৩ মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি
তিন আগ্নেয়াস্ত্রসহ আ.
এসময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা এবং জেলা বিএনপি থেকে এক লাখ টাকা সহযোগিতা প্রদান করা হয় ভুজোপতি চাকমাকে। প্রতি মাসে কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য মাসে ৩০ হাজার টাকা করে আমরা বিএনপি পরিবার থেকে প্রদান করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “জাতীয় নারী ফুটবলের দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমার মা অসুস্থ। এই খবর শুনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্রুত ঋতুপর্ণা চাকমার মায়ের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা পেয়ে আজ সকালে মগাছড়ি গ্রামে তার বাড়িতে আসি। ঋতুপর্ণা চাকমার মায়ের সঙ্গে দেখা করে তার রোগমুক্তির প্রার্থনা করেছি। তাকে তারেক রহমানের সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছি।”
মগাছড়ি গ্রামে যাওয়া সড়ক নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে উন্নয়নের যে বুলি উড়ানো হয়েছে, তার প্রমাণ তো আজকে আমরা এখানে এসে দেখতেই পেলাম।”
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, আমরা বিএনপি পরিবার-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপু চাকমা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।
ঢাকা/শংকর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ চ কম র ম ব এনপ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ড্রিম গার্ল’ হেমার রোমাঞ্চকর প্রেমজীবন
বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী। তার রূপ আর অভিনয়ের প্রেমে কে পড়েননি! ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। এ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম দেখা হয়। তারপর হেমার প্রেমে উন্মাদ হয়ে উঠেন বিবাহিত ধর্মেন্দ্র। সব দ্বিধা উড়িয়ে সময়ের সঙ্গে দুজনেই মনের বিনিময় করেন। রোমান্টিক গল্প রুপালি পর্দায় দেখে বিমোহিত হন দর্শক। কিন্তু হেমা মালিনীর বাস্তব জীবনের প্রেমজীবন সিনেমাকেও হার মানায়। চলুন, তার প্রেমজীবনে উঁকি দেওয়া যাক—
কে কে হেমাকে বিয়ে করতে চাইতেন
বিবাহিত ধর্মেন্দ্র কেবল প্রেমই করেননি। বরং হেমাকে বিয়ের জন্য উন্মুখ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ধর্মেন্দ্র একাই নন, আরো অন্তত তিনজন বড় তারকা হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অভিনেতা সঞ্জীব কুমার একবার নয়, দু-দুবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু হেমা রাজি হননি। পরে সঞ্জীব কুমারের ঘটক হয়ে অভিনেতা জিতেন্দ্র প্রস্তাব দেন হেমাকে; তাতেও কাজ হয়নি। আর এ সুযোগে জিতেন্দ্র নিজেই হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন! এ প্রস্তাবে দুই পরিবার রাজি হয়ে যায়; রাজি হন হেমা নিজেও। ফলে হেমার জীবনে ক্লাইম্যাক্স গাঢ় হয়।
আরো পড়ুন:
ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার, বাগদানের গুঞ্জনে হুমা কুরেশি
অভিনেত্রী মধুমতী মারা গেছেন
জিতেন্দ্রকে বিয়ে করতে হেমাকে রাজি করান জয়া
হেমা মালিনীর আত্মজীবনী ‘হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’-এ বলা হয়েছে, জিতেন্দ্রকে বিয়ে করার জন্য হেমার মা জয়া তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। হেমার মায়ের ভাষ্য ছিল, ধর্মেন্দ্র বিবাহিত। সুতরাং সে তার মেয়ে হেমাকে ভবিষ্যতের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না। অন্যদিকে, জিতেন্দ্র ছিলেন অবিবাহিত ও জনপ্রিয় নায়ক।
বিয়ে ভাঙতে চেন্নাই ছুটে যান মদ্যপ ধর্মেন্দ্র
মায়ের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে জিতেন্দ্রকে বিয়ে করতে রাজি হন হেমা মালিনী। তারপর বিয়ের জন্য চুপিচুপি চেন্নাইয়ে উড়ে যান। কিন্তু বিয়ের খবর ফাঁস হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিস্মিত ধর্মেন্দ্র মদ্যপ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে চেন্নাই পৌঁছান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জিতেন্দ্রর তখনকার প্রেমিকা শোভা কাপুর। তারা হেমা ও জিতেন্দ্রের মুখোমুখি হন। এদিকে, ধর্মেন্দ্রকে দেখে হেমার বাবা রেগে আগুন। চিৎকার করে তিনি বলেছিলেন, “তুমি আমার মেয়ের জীবন থেকে কেন চলে যাচ্ছো না? তুমি তো বিবাহিত, আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না।” তারপর পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছিল যে, হেমাকে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে একান্তে কথা বলার অনুমতি দিতে বাধ্য হন।
জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেন হেমা
হেমা-ধর্মেন্দ্র আলাদা একটি ঘরে কথা বলার সুযোগ পান। এসময় তারা দুজনই ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। দ্বন্দ্ব আর অনুভূতির ঝড়ে ভেসে যান দুজনই। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ধর্মেন্দ্র কাঁদতে কাঁদতে হেমাকে অনুরোধ করেন, সে যেন এই ‘বড় ভুলটা’ না করে। এদিকে, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শোভা কাপুর রাগে ফেটে পড়ছিলেন। জিতেন্দ্র তাকে শান্তভাবে জানান, সে হেমাকে বিয়ে করবে, তখন পুরো পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হেমা হৃদয়ের কথা শোনেন এবং জিতেন্দ্রকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত জানান। ১৯৭৪ সালের ১৮ অক্টোবর, শোভাকে বিয়ে করেন জিতেন্দ্র। এ দম্পতির দুটি সন্তান—একতা কাপুর (জনপ্রিয় প্রযোজক) ও তুষার কাপুর (অভিনেতা)।
পরিণয় পেতে ধর্মান্তরিত হন ধর্মেন্দ্র-হেমা
বিবাহিত হওয়ায় হেমা মালিনীকে বিয়ে করতে সমস্যায় পড়েন ধর্মেন্দ্র। কারণ তার স্ত্রী প্রকাশ কৌর তাকে ডিভোর্স দিতে রাজি ছিলেন না। তাই একসঙ্গে থাকার জন্য দুজনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে ধর্মেন্দ্র ‘দিলওয়ার খান কেওয়াল কৃষ্ণ’ নামে পরিচিত হন, আর হেমা নাম নেন ‘আয়েশা বি আর চক্রবর্তী’। ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন; বিয়ের মোহরানা ধার্য করেন ১ লাখ ১১ হাজার রুপি। ১৯৮০ সালের ২ মে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন এই প্রেমিক যুগল। এ সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা—এষা দেওল ও অহনা দেওল। তারপর সময় অনেক গড়িয়েছে, এখনো অটুট ধর্মেন্দ্র-হেমার ভালোবাসা!
তথ্যসূত্র: ভাস্কর
ঢাকা/শান্ত