ঢাকা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
Published: 9th, July 2025 GMT
বেসরকারি খাতের ঢাকা ব্যাংকের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্প্রতি রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি গ্রাহকসন্ধ্যা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। একই দিন সকালে এই উপলক্ষে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আব্বাস, প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম হায়াতুজ্জামান খান; পরিচালক রোকশানা জামান, আমির উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল আহসান, রাখি দাস গুপ্ত; সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিল উদ্দিন, আলতাফ হোসেন সরকার; স্বতন্ত্র পরিচালক এম এ তসলিম, ফিরোজ আহমেদ ও বিলকিস আরা বেগম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ মোহাম্মদ মারুফসহ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ শাখা ব্যবস্থাপকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার ব্যাংকের সব গ্রাহক, অংশীদার ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত তিন দশকে ঢাকা ব্যাংক দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ধারাবাহিক কর্মক্ষমতা, উন্নত পরিষেবার মান ও উৎকর্ষের সঙ্গে অবিচল প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
অনুষ্ঠানে ১৯৯৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা ব্যাংকে কর্মরত এমন ১৮ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত ও বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালে মাত্র ১০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা ব্যাংক। এখন তা বেড়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ঢাকা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়। ঢাকা ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থার কারণে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকায়। এ আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। সারা দেশে ১১৭টি শাখা, ৩৫টি উপশাখা, ৩টি এসএমই সেবাকেন্দ্র, ১০৫টি এটিএম বুথ ও অন্যান্য বিকল্প সেবা চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে ঢাকা ব্যাংক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব যবস সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘বিজয় মশাল রোড শো’। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া
ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে শত্রু মনে করা হয়: ফখরুল
তিনি জানান, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরে বিজয় মশাল রোড শো এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিভাগে মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাইযোদ্ধা।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিজয় মশাল রোড শো। এতে পরিবেশিত হবে বিএনপির থিম সং, 'সবার আগে বাংলাদেশ'।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বিজয় মশাল যাত্রা শুরু করবে। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে একই দিন চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছাবে। বিজয় মিছিলের মশাল বহন করবেন ১৯৭১ সালের একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০১৪ সালের একজন জুলাইযোদ্ধা। আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশের স্বাধীনতা অর্জনের আর ২০২৪ হলো দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার।”
বিএনপি মহাসচিব জানান, দুই সপ্তাহের এই বিশেষ 'রোড শো' উদযাপনের সময় বিভিন্ন বিভাগের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের গান, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ প্রচার, জাসাসের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শন হবে।
একইসঙ্গে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি।
তিনি জানান বিভাগ ঘুরে বিজয় মশাল সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। একইদিন ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে 'বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো'। বিজয় মাস উপলক্ষে এই বিশেষ কর্মসূচি ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচি উদযাপিত হতে থাকবে।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ