বেসরকারি খাতের ঢাকা ব্যাংকের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্প্রতি রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি গ্রাহকসন্ধ্যা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। একই দিন সকালে এই উপলক্ষে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আব্বাস, প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম হায়াতুজ্জামান খান; পরিচালক রোকশানা জামান, আমির উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল আহসান, রাখি দাস গুপ্ত; সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিল উদ্দিন, আলতাফ হোসেন সরকার; স্বতন্ত্র পরিচালক এম এ তসলিম, ফিরোজ আহমেদ ও বিলকিস আরা বেগম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ মোহাম্মদ মারুফসহ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ শাখা ব্যবস্থাপকেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার ব্যাংকের সব গ্রাহক, অংশীদার ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত তিন দশকে ঢাকা ব্যাংক দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ধারাবাহিক কর্মক্ষমতা, উন্নত পরিষেবার মান ও উৎকর্ষের সঙ্গে অবিচল প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।

অনুষ্ঠানে ১৯৯৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা ব্যাংকে কর্মরত এমন ১৮ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত ও বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালে মাত্র ১০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা ব্যাংক। এখন তা বেড়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ঢাকা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়। ঢাকা ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থার কারণে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকায়। এ আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। সারা দেশে ১১৭টি শাখা, ৩৫টি উপশাখা, ৩টি এসএমই সেবাকেন্দ্র, ১০৫টি এটিএম বুথ ও অন্যান্য বিকল্প সেবা চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে ঢাকা ব্যাংক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ জুলাই ‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়নবিরোধী দিবস’ পালন করবে ছাত্র ফ্রন্ট

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আগামী ১৫ জুলাই থেকে শুরু হয়ে কর্মসূচি চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়নবিরোধী দিবস’ পালন করবে ছাত্র সংগঠনটি। 

গত বছরের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনা স্মরণে সংগঠনের পক্ষ থেকে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

অন্যান্য কর্মসূচিগুলো হলো- ১৬ জুলাই আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে। ১৮ জুলাই ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ জুলাই সাংস্কৃতিক কর্মী ও বামপন্থীদের ‘কারফিউ ভঙ্গ দিবস’ পালন উপলক্ষে সারাদেশে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, মব সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে সভা-সমাবেশ-মিছিল করা হবে। সর্বশেষ ৩০ জুলাই কেন্দ্রীয়ভাবে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: ছাত্র জনতার আকাঙ্ক্ষার পথে হাঁটছে কি বাংলাদেশ?’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া বিবৃতিতে মাসব্যাপী সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, দেয়াল পত্রিকা, শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করতে সংগঠনের সংশ্লিষ্ট শাখাকে অবহিত করা হয়। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, ময়মনসিংহ, রংপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বরিশাল, সিলেট, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম ইত্যাদি জেলায় অবশ্যই বিভিন্ন শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়।

পাশাপাশি জুলাইয়ের গান, কবিতা, প্রবন্ধ, শর্ট ফিল্ম– এই চার ক্যাটাগরিতে সারাদেশে প্রতিযোগিতার আয়োজন করাসহ সংগৃহীত-নির্বাচিত গান, কবিতা, প্রবন্ধ নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থান স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ এবং শর্ট ফিল্ম প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৮ মাস উপলক্ষে আলোক প্রজ্বালন অনুষ্ঠিত
  • একুশ বছরে বাতিঘর, উৎসবে সাজবে কাল
  • ১৫ জুলাই ‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়নবিরোধী দিবস’ পালন করবে ছাত্র ফ্রন্ট
  • হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু