বরিশাল-ভোলা সড়ক অবরোধ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের
Published: 9th, July 2025 GMT
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল থেকে বরিশাল-ভোলা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। সদর উপজেলার সাহেবেরহাট এলাকায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন সড়কের ওপর সকাল থেকে কয়েকশত শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়েছেন। ফলে বরিশাল-ভোলা সড়কে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুইপাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়েছে।
জানা যায়, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য সেখানে অবস্থান করছেন। সকাল থেকে কয়েক দফা শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ই.
দুপুর দেড়টায় ইরান আরও জানান, অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনী তাদের আল্টিমেটাম দিয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষর উপস্থিতিতে আন্দোলনকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখার পক্ষে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল সড়ক অবর ধ সড়ক অবর ধ বর শ ল ভ ল আইনশ ঙ খ
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা ডিবিতে, ৮ আসামির রিমান্ড চেয়ে আবেদন
কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার কড়ইবাড়ী গ্রামে মা ও ছেলেমেয়েকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আট আসামির সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রিমান্ড শুনানি হবে। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। কুমিল্লার এসপি মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানের নির্দেশে সোমবার রাতে মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল সকাল থেকে মামলার তদন্ত শুরু করেছে ডিবি।
গত বৃহস্পতিবার কড়ইবাড়ী গ্রামে রোকসানা বেগম ওরফে রুবি, তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকিকে কুপিয়ে হত্যা করে হামলাকারীরা। এ ছাড়া কুপিয়ে গুরুতর জখম করা রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার বর্তমানে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার শনিবার বাঙ্গরা বাজার থানায় বাচ্চু মিয়াসহ ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আটজন মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন, মা ও ছেলেমেয়েকে হত্যার সময় ঘাতকদের টার্গেটে আরও ছিলেন রুবির পরিবারের অন্য সব সদস্য। তিনজনকে হত্যার সময় ঘাতকরা তাদের হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে বেঁচে যান বাদী রিক্তা আক্তার ও তাঁর বোন আহত রুমা। ঘটনার সময় বাড়িতে না থাকায় রক্ষা পান রুবির স্বামী জুয়েল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ঘটনার পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। তিনি বর্তমানে আত্মগোপনে। তাঁকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, শিমুল চেয়ারম্যানের নির্দেশ না থাকলে গ্রামের লোকজন তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করার সাহস করত না। এলাকায় সব অপরাধের নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাই প্রতিটি গ্রামেই ছিল তাঁর একক আধিপত্য।
জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সমকালকে বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার ডকেট (আদালতের নথি) হাতে পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’
মঙ্গলবার কুমিল্লার আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদেকুর রহমান সমকালকে বলেন, গ্রেপ্তার আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, এসপির নির্দেশে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদী ও তাঁর স্বজনের নিরাপত্তার বিষয়ে ওসি বলেন, আমরা বাদী (রিক্তা) ও তাঁর স্বজনদের বলেছি, নিরাপত্তা যা যা দরকার তা পুলিশ করবে।