বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৪
Published: 9th, July 2025 GMT
ভারতের ওড়িশা ঝাড়সুগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসী সন্দেহে ৪৪৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আইনি কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশকারী বিদেশি নাগরিকদের শনাক্তে চালানো অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার স্মিত পি পারমার।
আটককৃতদের মধ্যে, ব্রজরাজনগর মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ২৬৫ জনকে ধরে হিলটপ কলোনির সুরভী কল্যাণ মণ্ডপে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে। বাকিদের ঝাড়সুগুড়া মহকুমার আওতাধীন ব্ল্যাক ডায়মন্ড কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির প্রাঙ্গণে একটি হোল্ডিং সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আটককৃতদের বেশিরভাগই জেলাজুড়ে শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি বা ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করছিলেন। কর্তৃপক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে- যে বা যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের আইনি ব্যবস্থা ও নির্বাসন প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে আটকদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি অভিযোগ করেছেন, ওড়িশায় যে ৪৪৪ জনকে ঝাড়সুগুড়া পুলিশ আটক করেছে; তাদের মধ্যে ২৩ জন তার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। তারা সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ওড়িশার মুখ্যসচিব মনোজ আহুজাকে ফোন করে তাদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
তিনি বলেন, ওড়িশায় আমাদের রাজ্য থেকে যারাই কাজ করতে গিয়েছেন তাদের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। এ ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী কাজ। পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ৩০ লাখের মতো অন্য রাজ্যের লোক কর্মরত। আমরা তো কখনও এ জিনিস করিনি।
ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেয়ে রাজ্যের সব জেলায় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক টাস্ক ফোর্সে একজন করে বিদেশি রেজিষ্ট্রেশন অফিসার রয়েছেন। এরাই বিভিন্ন জেলায় খোঁজ খবর নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ধরার কাজ করছে।
ঝাড়সুগুড়ার পুলিশ সুপার বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতো কাজ করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৪ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
খুলনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসী শাকিল গ্রুপের প্রধান শাকিল শেখসহ চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক, অস্ত্র ও গুলি জব্দ হয়।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল-করিম শাম্মী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
রাউজানে প্রকৌশলী বকুল হত্যা: মা ও ২ ভাই গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটন ট্রিপল হত্যায় গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ভোর রাতে খুলনার বিভিন্ন একালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচলনা করে।
অভিযানে খুলনার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী শাকিল গ্রুপের প্রধান ও বি কোম্পানির অন্যতম সদস্য শাকিল শেখ, শহিদুল ইসলাম খোকন, মো. শাকিল এবং অশিক গ্রুপের সদস্য ইয়াসিন আরাফাতকে খুলনার লবনচরা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত সন্ত্রাসী ইয়াসিন আরাফাতের বাসা তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় পাইপ গান, বিভিন্ন গোলাবারুদ, স্টান গান, একটি ডামি পিস্তল, বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খুলনা মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জব্দকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকসহ আটককৃতদের অইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লবণচরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বর্তমান সরকাররে নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিজস্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে এরূপ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে কঠোর অভিযান ও টহল অব্যাহত রাখবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ