গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক মণ দুধ দিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ধুয়েছেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। বিএনপির একটি পক্ষ সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে এনেছিলেন—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা ওই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কালিয়াকৈর বাজারে বিএনপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার ভিডিও আজ বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দুধ দিয়ে বিএনপির কার্যালয়টি ধোয়ার আয়োজন করা হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে গণ–অভ্যুত্থান দিবসে আমরা দোয়া মাহফিল শেষ করে চলে গিয়েছিলাম। পরে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এতে আমাদের পার্টি অফিস কলঙ্কিত হয়েছে। তাই আমরা এক মণ দুধ দিয়ে পার্টি অফিস ধুয়ে ফেলেছি।’

এ বিষয়ে জানতে আজ চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ছাত্রদল ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবসে কালিয়াকৈর বিএনপির পক্ষ থেকে বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে বিএনপির একটি পক্ষের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা–কর্মীরা ছিলেন। ওই দিন সকাল ১০টার পর তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এতে গণ-অভ্যুত্থানকে অপমান করা হয়েছে, পাশাপাশি দলীয় ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে। এর প্রতিবাদে তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক মণ দুধ দিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ধুয়ে দেওয়া হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কর্মী আবদুর রহমান, নাসির উদ্দিন, মিঠুন ব্যাপারী ও যোবায়ের হোসেন প্রমুখ।

ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বালতি থেকে মগে করে দুধ নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের মেঝে ধুয়ে দিচ্ছেন। এ সময় কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নব্য বিএনপির লোকজন সেখানে ছাত্রলীগ ও যুবদলের লোকজন নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র কর ম র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

অন্যের বাড়ির বাসি খাবার খেয়ে দিন পার করা মেয়েটি এখন ৪০ কোটি টাকার মালিক

দুই বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন। মা অন্যের বাড়িতে টয়লেট পরিষ্কার করতেন, ভাইবোন কাজ করতেন কম্বলের কারখানায়। সেই মেয়েই আজ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত কমেডিয়ান—ভারতী সিং। ৩০ কোটি রুপির (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) টাকার সম্পদের মালিক এই শিল্পীর জীবনকাহিনি যেন প্রায় সিনেমার মতোই।
‘জীবন কাছ থেকে দেখলে ট্র্যাজেডি, দূর থেকে দেখলে কমেডি’, চার্লি চ্যাপলিনের এ কথা যেন হুবহু মিলে যায় বহু কমেডিয়ানের জীবনের সঙ্গে, যাঁরা দারিদ্র্য পেরিয়ে পৌঁছেছেন আলোর ঝলমলে মঞ্চে। পাঞ্জাব থেকে মুম্বাইয়ে কপিল শর্মার সফর যেমন সহজ ছিল না, তেমনি প্রয়াত রাজু শ্রীবাস্তবকেও অটো চালাতে হয়েছিল রোজগারের জন্য। আর ভারতী সিং? একমাত্র নারী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন পুরুষপ্রধান কমেডি–জগতের সমান্তরালে। নিজের স্বকীয়তায় তিনি আজ ‘লাফটার কুইন’।

বাবাকে হারানোর পর জীবন বদলে গেল
মাত্র দুই বছর বয়সে ভারতী বাবাকে হারান। এরপর সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে মা ও দুই বড় ভাইবোনের ওপর। এক সাক্ষাৎকারে ভারতী জানান, তাঁর ভাই ও বোন পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কম্বলের কারখানায় কাজ শুরু করেন। সেখানে তাঁরা এমন ভারী কম্বল তৈরি করতেন, যেগুলোর ওজন তাঁরা নিজেরাও বইতে পারতেন না।
মায়ের সংগ্রাম: টয়লেট পরিষ্কার, বাসি খাবারেই চলত পেট
এক সাক্ষাৎকারে ভারতী জানান, ছোটবেলায় তাঁরা প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। তাঁর মা অন্যের বাড়িতে রান্নাবান্না ও টয়লেট পরিষ্কারের কাজ করতেন। সেসব বাড়ি থেকে ফেরা বাসি খাবারই ছিল তাঁদের দিনের আহার।

ভারতী সিং। শিল্পীর ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ