ছবি: সংগৃহীত

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন, স্বাধীনতার পর প্রথম বাংলাদেশি এমডি তিনি

বহুজাতিক কোম্পানি বাটা শু বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ফারিয়া ইয়াসমিন। বাংলাদেশে বহুজাতিক এ কোম্পানির ৬৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী শীর্ষ পদে দায়িত্ব পেলেন। শুধু তা-ই নয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কোম্পানিটির এমডির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ফারিয়া ইয়াসমিন।

সম্প্রতি বাটা শু কোম্পানি বাংলাদেশের শীর্ষ পদে এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী মাসে এমডির দায়িত্ব নেবেন ফারিয়া ইয়াসমিন। তিনি বাটা শু কোম্পানি বাংলাদেশের বর্তমান এমডি দেবব্রত মুখার্জির স্থলাভিষিক্ত হবেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেবব্রত মুখার্জি আগামী ২০ নভেম্বর বাটা শু বাংলাদেশের এমডির দায়িত্ব ছেড়ে ভারতের একটি বহুজাতিক কোম্পানির এমডি হিসেবে যোগ দেবেন। আর বাটাতে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন ফারিয়া ইয়াসমিন।

এদিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে বাটা শু আজ তাদের শীর্ষ পর্যায়ে এই পরিবর্তনের কথা বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে। পরে সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানিটি এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফারিয়া ইয়াসমিনের বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ব্র্যান্ড মার্কেটিং, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যবসা পরিচালনায় ২৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাটা শুর এমডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এসিআইয়ের প্রধান ব্যবসায় কর্মকর্তা বা চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও)। এ ছাড়া তিনি বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকাইজার, ম্যারিকো ও নেসলের উচ্চপদে কাজ করেছেন।

বাটা শু বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, ফারিয়া ইয়াসমিন হতে যাচ্ছেন কোম্পানিটির এ দেশের প্রথম নারী এমডি। পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশে বাটার প্রথম এদেশীয় এমডি। স্বাধীনতার আগে বাটা শু বাংলাদেশে একজন বাংলাদেশি শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তখন অবশ্য এ দেশে বাটা শু শীর্ষ পদটি এমডির ছিল না।

বাটা শু বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬২ সালে এটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮৫ সালে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে টঙ্গী ও ধামরাইয়ে বাটা শুর দুটি কারখানা রয়েছে। কারখানা দুটির প্রতিদিন ১ লাখ ৬০ হাজার জোড়া জুতা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। কোম্পানিটির বার্ষিক জুতা বিক্রির পরিমাণ প্রায় তিন কোটি জোড়া।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক এ কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ৫১৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ২৭ কোটি টাকার বেশি। গত বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ৭০ শতাংশের মালিকানা ছিল বিদেশি উদ্যোক্তাদের হাতে। ১৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে। ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার ছিল ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী ও ১ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার বিদেশি বিনিয়োগকারীর হাতে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৮৭৩ টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ