অনুষ্ঠিত হলো সংস্কৃতি অঙ্গনের সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ২৪তম আসর। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। অনুষ্ঠানে সংগীত, টেলিভিশন, ওটিটি, চলচ্চিত্রসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখার শিল্পী-কলাকুশলীদের পুরস্কৃত করা হয়। জুরিবোর্ডের বিচারে ২০২৪ সালের সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক, সনদ ও মেডেল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে শুরু হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানে অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী চাঁদনীর পরিবেশনা দিয়ে। এবারের আয়োজনে দুজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন এবং চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। পুরস্কার তুলে দেন একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্লোব সফট ড্রিংকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো.

হারুনুর রশীদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ফাহাদ করিম।

সেরা গায়ক ইমরান মাহমুদুল ও সেরা অভিনেত্রী পরীমনি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন, ৭ ঘণ্টা উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে নেভাতে গিয়ে আনসার বাহিনীর ২৫ সদস্যসহ মোট ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর চালু হয়। রাত ৯টা ৬ মিনিটে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি স্থানে কার্গো ভিলেজ। আগুন লেগেছে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের পাশে কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এই গেটকে হ্যাঙ্গার গেট বলা হয়। কার্গো ভিলেজের (পণ্য রাখার স্থান) যে অংশে আগুন লেগেছে, সেখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা আড়াইটার দিকে হঠাৎ বিমানবন্দরের ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। সবাই তখন নিচে নেমে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রচুর ধোঁয়া বের হতে থাকে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিটও কাজ করেছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর। যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীও। দুই প্লাটুন বিজিবিও সেখানে কাজ করেছে। উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে সরে যেতে বলা হয়।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এক হাজার আনসার সদস্য ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেন। এ সময় ২৫ জন সদস্য আহত হলে তাঁদের দ্রুত সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের বিভিন্ন জায়গা থেকে বের হচ্ছিল আগুনের স্ফুলিঙ্গ

সম্পর্কিত নিবন্ধ