হল সংসদের ২৫৫ পদের একটিও পায়নি ছাত্রদল, ছাত্রশিবির জয়ী ২৩৪ পদে
Published: 18th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) পাশাপাশি হল সংসদ নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল। প্রতিটি হল সংসদের ভিপি, জিএস, এজিএস পদে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। পাঁচটি হলে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলসহ সব হল মিলিয়ে ২৫৫টি পদের মধ্যে ২৩৪টিতে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সংসদের চেয়ে হল সংসদে বড় ভরাডুবির মুখোমুখি হয়েছে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। ১৭ হলের একটি পদেও ছাত্রদল-সমর্থিত কোনো প্রার্থী জিততে পারেননি। তবে কয়েকটি পদে ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ছয়টিসহ মোট ১৭টি হল আছে। প্রতিটি হল সংসদে পদ ১৫টি। হল সংসদ নির্বাচনে কোনো হলে পূর্ণাঙ্গ, আবার কোনো হলে আংশিক প্যানেল দিয়েছিল ছাত্রশিবির। এর মধ্যে ১৭টি সংসদের শীর্ষ ৫১ পদেই (ভিপি-জিএস-এজিএস) এই প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুনডাকসু–জাকসু–চাকসুর পর রাকসুতেও শিবিরের জয় ১৭ অক্টোবর ২০২৫পাঁচ হলে শিবিরের সবাই জয়ীপাঁচটি হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের সবাই (৭৫ পদে) জয়ী হয়েছেন। হলগুলো হলো শহীদ হবিবুর রহমান হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল, মাদার বখ্শ হল, সৈয়দ আমীর আলী হল ও মন্নুজান হল।
শহীদ হবিবুর রহমান হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে যথাক্রমে আহমদ আহসান উল্লাহ (ফারহান), আশিক শিকদার ও মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমর থ ত প য ন ল হয় ছ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, দেড়ঘন্টার চেষ্টায় নয়ন্ত্রণে
সোনারগাঁয়ের ঝাউচর এলাকায় মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও মেঘনা গ্রুপের ৮ টি ঔ ইউনিট দেড় ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে হতাহত ও ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। আগুনের খবর সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যাওয়া সাংবাদিকদের কারখানায় প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় মেঘনা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ফ্রেশ চিনির কারখানায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সাইলোতে হঠাৎ বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। এসময় আগুন বিভিন্ন সাইলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিট ও মেঘনা গ্রুপের নিজস্ব ৫ টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানার কর্মচারী সজল সরকার জানান, সীড ক্যারেসিন সাইলোতে আগুন ধরে যায়। মূহুর্তের মধ্যে আগুন বিভিন্ন সাইলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওসমান গণি জানান, মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্টিস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (টেকনিক্যাল) কার্তিক চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।