ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ইসলাম।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১৪তম ব্যাচের (২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আন্ত-ইউনিভার্সিটি বডিবিল্ডিং ও ফিটনেস চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত

বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, তিনদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। পরে তাকে ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আইসিইউতে নেওয়ার ২০–২৫ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।

তার স্বামী তাজ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সানজিদার রক্তে ইনফেকশন ছিল। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ওঠা-নামা করছিল। গত দুদিনে তারা সানজিদাকে নিয়ে ৩–৪টা হাসপাতালে ঘুরেছেন। ঢামেকে আইসিইউতে নেওয়ার পরই রিপোর্টে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সানজিদা চলে যান।

সানজিদার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মেহেরপুরে তার স্বামীর বাড়িতে দাফন করা হবে।

তার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমি কোনো মিডিয়া যেহেতু বন্ধ করব না, আমি নতুন মিডিয়া দেব: তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হলো কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা হবে না। আর যেহেতু বন্ধ করা হবে না, তাই নতুন গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া হবে, যাতে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হয়।

আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যতগুলো টিভির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে সেগুলো কী ভূমিকা পালন করেছে, আপনারা জানেন। এখানে অবশ্যই পক্ষপাত ছিল।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এই সরকারের নীতি হচ্ছে কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হবে না। ফলে প্রক্রিয়াটি কী? নতুন যে প্রজন্ম, যারা এই গণ-অভ্যুত্থান করেছে বা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী, তাদের স্পেস (জায়গা) তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন গণমাধ্যম দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মিডিয়া যেহেতু বন্ধ করব না, আমি নতুন মিডিয়া দেব।’

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন আইনে দিতে পারলে সবচেয়ে সুখবর হতো। কিন্তু নতুন আইন করতে হলে এই সরকারের আমলে বা এই পুরো ব্যবস্থার ভেতর কখনো নতুন গণমাধ্যম আসতে পারবে না। নতুন গণমাধ্যম এলে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাটকোর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভার বিষয়বস্তু জানানো হয়।

মতবিনিময় সভায় দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর নিজস্ব আচরণবিধি (কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়ন করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

আরও পড়ুনপুরোনো প্রক্রিয়ায় নতুন দুটি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স, কারা পেল ০৭ অক্টোবর ২০২৫

এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো তাদের আচরণবিধি জনসমক্ষে প্রকাশ করলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে, তারা সেটি মেনে চলছে কি না। এতে চ্যানেলগুলোর জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়বে।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কেবল টিভি ডিজিটালাইজ করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে আবার সভা করা হবে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশনের বিষয়ে সরকার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে।

মাহফুজ আলম বলেন, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুনটিভির লাইসেন্স নিয়ে সারজিস ও আজাদ মজুমদারের বক্তব্যে যে বিষয় নেই৬ ঘণ্টা আগে

মতবিনিময় সভায় অ্যাটকোর প্রতিনিধিরা কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁরা কেবল টিভিকে ডিজিটালে রূপান্তরের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য কোনো আইন বা নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত নেওয়ার জন্য অ্যাটকোর পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভায় অ্যাটকোর নেতারা বলেন, বর্তমানে বেসরকারি চ্যানেলের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা চাপ নেই।

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অ্যাটকোর কোষাধ্যক্ষ জহির উদ্দীন মাহমুদ, পরিচালক মোস্তফা কামাল, পরিচালক আবদুস সালাম, পরিচালক নাভিদুল হক ও পরিচালক টিপু আলম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনবেসরকারি টেলিভিশনের রাজনৈতিক লাইসেন্স১৯ অক্টোবর ২০১৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ