প্রিমিয়ার লিগে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে সহজে জিততে জিততে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। শুরুতে গোল খেয়েও কোন রকম সমতায় মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল। চেলসি শুরুতে লিড নিলেও শেষ সময়ের গোলে একটা পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। 

সব মিলিয়ে মঙ্গলবার রাতে ধরা খেয়েছে প্রিমিয়ার লিগের তিন বিগ থ্রি লিভারপুল, চেলসি ও ম্যানসিটি। এতে লিভারপুল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকলেও দুইয়ে উঠে গেছে নটিংহাম। চেলসি নেমে গেছে চারে।  

ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যানসিটি ম্যাচের ৬৬ ও ৭৮ মিনিটে ফিল ফোডেনের গোলে লিড নেয়। অথচ ৮২ ও ৯২ মিনিটে গোল খেয়ে পেপ গার্দিওলার দলকে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। মৌসুম জুড়েই সিটিজেনদের গলার কাটা হয়ে আছে রক্ষণভাগ। 

লিভারপুল লিগ মৌসুমে মাত্র একটা ম্যাচ হেরেছে। সেটা নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে। দ্বিতীয় লেগেও শুরুতে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় অল রেডসরা। ৮ মিনিটে গোল হজম করে তারা। বদলি নেমে ডিয়াগো জোটা ৬৬ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান। আর্নে স্লটের দল জয়ের জন্য লড়াই করলেও পরিষ্কার সুযোগ খুব একটা তৈরি করতে পারেনি। 

চলতি মৌসুমে দারুণ ফুটবল খেলছে বোর্নামাউথ। পয়েন্ট টেবিলে সাতে থাকা দলটির বিপক্ষে চেলসি ১৩ মিনিটে লিড নেয়। গোল করেন কোলে পালমার। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে বসে এনজো মারেস্কার দল। ক্লুভার্ট ৫০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ও ৬৮ মিনিটে সেমেনো গোল করে বোর্নামাউথকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন। যোগ করা সময়ে রিচি জেমস গোল করে ব্লুজদের সমতায় ফেরান। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিদায় গামিনি…

কালো প্যান্ট। গায়ে প্রিন্টের নীল শার্ট। পরিপাটি পোশাকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার বিকেলে পায়চারি করছিলেন গামিনি ডি সিলভা। এমন পোশাকে তাকে মিরপুরে দেখা যায়নি কখনো। চিরচেনা হ্যাটও নেই মাথায়!

অচেনা সেই মানুষটিই আজ শেষবারের মতো হাঁটলেন মিরপুরের সবুজ গালিচায়। মিরপুরের ঘাস, উইকেট আর আউটফিল্ডে যার হাতের ছোঁয়া লেগে আছে দীর্ঘ দেড় দশক, সেই লঙ্কান কিউরেটর গামিনি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে। সহকর্মী ও মাঠকর্মীরা তাকে মাঠেই নিজেদের আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন। আর ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের অফিসে ডেকে সেরেছেন আনুষ্ঠানিকতা। দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট। বিদায়ের মুহূর্তে প্রত্যেকের উপহার ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গামিনি। সহকর্মী অনেকের চোখে-মুখে ছিল আবেগের ছাপ।

২০১০ সালের অক্টোবরে ২ বছরের জন্য বিসিবিতে যোগ দেন আম্পায়ার থেকে কিউরেটর হওয়া এই লঙ্কান। দফায় দফায় চুক্তির মেয়াদ বেড়ে দেড় দশক কাটিয়ে দেন। তার হাতেই ছিল মিরপুরের উইকেট তৈরির দায়িত্ব। তবে গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে মানহীন পিচ বানিয়ে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। পাকিস্তানের অধিনায়ক ও কোচ প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলেন উইকেটের মান নিয়ে।

সেই সমালোচনা সহ্য করতে চায়নি বিসিবি। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছরের দায়িত্ব শেষে গামিনিকে বদলি করে পাঠানো হয় রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে। মিরপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বখ্যাত পিচ কিউরেটর টনি হেমিংয়ের হাতে।

তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল গামিনিকে আর রাখা হবে না। চলতি বছরের জুলাইয়ে তার সঙ্গে নতুন করে এক বছরের চুক্তি করেছিল বিসিবি। তবে সেই চুক্তির ৯ মাস বাকি থাকতেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন গামিনি। শর্ত অনুযায়ী দুই মাসের বেতন দেওয়া হচ্ছে তাকে। ১০ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় ফিরে যাবেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ