ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবি: বড় বোন নিহত, নিখোঁজ ছোট বোন
Published: 11th, July 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবিতে নীলা আক্তার (১৭) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে তার ছোট বোন নিহা আক্তার (৯)। আহত হয়েছেন বাবা আব্দুর রহমান (৫৫) ও মা নিপা আক্তার (৪০)।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাকুন্দিয়ার দক্ষিণ চরটেকি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবিতে এ ঘটনা ঘটে। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া গ্রামে। নিহত নীলা গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে ভাঙারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান সপরিবারে পাকুন্দিয়ার দক্ষিণ চরটেকি বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করে ব্রহ্মপুত্র নদে ঘুরতে বের হন। কিছুক্ষণ পর বড় একটি ট্রলারের ঢেউয়ে ডিঙ্গি নৌকাটি ডুবে যায়।
আরো পড়ুন:
যুবদলের বহিষ্কৃত সেই নেতাকে গুলির পর রগ কেটে হত্যা
নিখোঁজের ৫ দিন পর পাটক্ষেতে মিলল শিশুর মরদেহ
এ সময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনকে উদ্ধার করলেও নিহা আক্তারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্রুত তিন জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।’’
ঢাকা/রুমন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল