বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিচ্ছে কোনো নেপালি চলচ্চিত্র। আগামী ১৮ জুলাই দেশের জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে নেপালের আলোচিত সিনেমা ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সুচনা’। বিশেষ বিষয় হলো, সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে আমদানি হচ্ছে সিনেমাটি, আর এর বিনিময়ে নেপালে যাচ্ছে বাংলাদেশের আলোচিত সিনেমা ‘ন ডরাই’।

নেপালি সিনেমাটি বাংলাদেশে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (বিপণন) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “এটাই প্রথম কোনো নেপালি সিনেমা, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। আর এর মাধ্যমে দুই দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে এক নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটতে যাচ্ছে।”

শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য শহরেও স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখাগুলোতে প্রদর্শিত হবে ছবিটি। ‘মিসিং’ মূলত একটি প্রেমকাহিনি-নির্ভর থ্রিলার। সিনেমার শুরুতে দেখা যায়, একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ছেলেটি ও মেয়েটির পরিচয়। পরে প্রথমবারের মতো দেখা হয় এক ক্যাফেতে। কিন্তু সেখানে ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা– ছেলেটি মেয়েটির কফিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে অপহরণ করে ফেলে! এখান থেকেই শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝি, উত্তেজনা আর রহস্যে মোড়ানো এক দৌড়।

নেপালি ভাষায় নির্মিত হলেও সিনেমাটির ভেতর দিয়ে উঠে এসেছে দেশটির লোকজ সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। ছবিটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় আছেন দীপেন্দ্র গাউছান। অভিনয়ে রয়েছেন দুরা সঞ্জয় গুপ্ত, অমিতেষ সাহ, মদন ঠাকুরসহ আরও অনেকে।

অন্যদিকে, বিনিময় চুক্তির আওতায় নেপালে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের সমুদ্র ও নারীর স্বাধীনতাভিত্তিক সিনেমা ‘ন ডরাই’, যা ২০১৯ সালে দেশে মুক্তি পেয়েছিল। তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছিলেন সুনেরাহ বিনতে কামাল ও শরীফুল রাজ। সিনেমাটি তৎকালীন সময়েই দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছিল।

নেপালি সিনেমা ‘মিসিং’ বাংলাদেশের বড় পর্দায় আসায় দুই দেশের দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভিন্ন রকম এক আগ্রহ। এটি শুধু বিনোদন নয়, সংস্কৃতি বিনিময়েরও একটি নতুন পথ খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। স্টার সিনেপ্লেক্সের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাও।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে সময়মতো, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নিবাচন চাই: ইইউ রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশে সময়মতো, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে। তারা এ নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথ সম্পর্কে ধারণা নতুন করে প্রতিষ্ঠার একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখে।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ।

আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মাইকেল মিলার।

গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত মক ভোটিং পরিদর্শন করেছিলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। বিষয়টি উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের অগ্রিম প্রস্তুতি দেখে তিনি মুগ্ধ। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের পেশাদারত্ব এবং সক্ষমতার প্রতি ইইউর আস্থা আছে। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি তাঁদের আস্থার প্রতিফলন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি খুবই আশাবাদী। আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার অনেক ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। আগে হয়তো অনেকে ভোট দেননি, কারণ হয়তো তাঁরা জানতেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বা সহিংসতার আশঙ্কা করেছিল। প্রায় পুরো একটি প্রজন্ম কখনো ভোট দেয়নি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে, তাদের কী করতে হবে তা বুঝতে হবে। তিনি জানতে পেরেছেন যে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের সময় বাড়াচ্ছে, এটি একটি প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, তিনি মনে করেন এ দেশের সব অংশীজনকে বহু বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সুযোগটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
  • বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে, প্রথমবার সরাসরি জবাব দিলেন রাশমিকা
  • ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি বৈঠক করল লেবানন ও ইসরায়েল
  • স্বপ্ন এভাবেও পূরণ হয় জানতেন না সাকলাইন
  • বাংলাদেশে সময়মতো, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নিবাচন চাই: ইইউ রাষ্ট্রদূত