অভ্যুত্থানে শুধু ১৯ জুলাই নিহত ১৪৮
Published: 15th, January 2025 GMT
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই এক দিনেই ১৪৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ১৪৮ জনের মধ্যে ৫৪ জনকে মাথায় বা গলায় গুলি করা হয়েছিল। অধিকাংশেরই বয়স ৪০ বছরের মধ্যে। হতাহতের মাত্রা এত বেশি ছিল যে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আক্ষরিক অর্থে গজ এবং ব্যান্ডেজ ফুরিয়ে যায়। ঢাকা একটি যুদ্ধক্ষেত্রের মতো হয়ে ওঠে। ‘ব্লাডশেড ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (আইটিজেপি) এবং টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট (টিজিআই)। তারা হাসিনা সরকার পতনের কয়েকদিন পর থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করতে মাঠে নামে এবং পরিবারগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেয়।
প্রতিবেদনের পাশাপাশি আইটিজেপি, টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট এবং আউটসাইডার মুভি কোম্পানি দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশ করে। এতে সামাজিক মাধ্যমে প্রাপ্ত পুলিশি অত্যাচারের ভিডিও প্রমাণগুলো একত্রিত করে কী ঘটেছিল তা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ বিপুল সংখ্যক তরুণ আন্দোলনকারীদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করছে। অন্যটিতে মোহাম্মাদ হৃদয় নামে এক তরুণকে ৫ আগস্ট গাজীপুরে পুলিশ ধরে এনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে হত্যা করে।
অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, শহীদ হৃদয়ের বোন জেসমিন ও শহীদ মুনতাসীর রহমান আলিফের বাবা গাজীউর রহমান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, আইটিজেপির নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন সুকা, টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশিদ দিয়া বক্তব্য রাখেন।
৬০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে উঠে আসে, নিহতদের পরিবারগুলোর একটি যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যেখানে তারা ‘পা রক্তে ভিজিয়ে’ পুলিশের গুলিতে আহত সন্তানদের খুঁজতে হাসপাতালের মর্গে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আহত কিংবা শহীদ পরিবারগুলোর কাছে অপরিচিত লোকজন ফোন করে গুলিবিদ্ধ সন্তান কিংবা ভাইবোনের খবর দিতেন। এরপর টালমাটাল অবস্থায় এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছোটাছুটি করা অথবা গুরুতর আহত অবস্থায় কোনোমতে বেঁচে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবল মানসিক আঘাতের মধ্যেও শোকাহত পরিবারগুলোকে ক্ষমতাসীনদের বৈরিতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। প্রিয়জনের মৃতদেহ দাফনের জন্য মৃত্যুসনদ ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সংগ্রহ করতেও নানা ঝুঁকি-ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। ভয় ও আতঙ্কে আচ্ছন্ন ছিল দাফনের আয়োজন, যেখানে কিছু পরিবার বাধা এড়াতে ভোরের আলো ফোটার আগেই গোপনে দাফন সম্পন্ন করেছে, যেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মীদের কোনো বাধার মুখে পড়তে না হয়।
এতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীগুলো জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কোনো অহিংস উপায় গ্রহণ করেনি ও কোনো সতর্কতা জারি করেনি। পুলিশ আহতদের চিকিৎসায় কোনো সহায়তা তো করেইনি বরং প্রায়শই চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে হৃদয়ের বোন জেসমিন বলেন, আমার ভাই ৫ আগস্ট মিছিলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে গোলাগুলি থেকে জীবন বাঁচাতে একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। ভিডিওতে দেখছেন- কীভাবে ধরে নিয়ে আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। লাশটা নিয়ে গেছে। লাশটা আর দেয়নি। লাশ কোথায় গুম করল, লাশটা কই গুম করল। আমি ওত কথা বলতে পারি না, আমি শিক্ষিত না। বড় বড় আইনজীবীরা এখানে আছে আমার ভাইরে যারা নির্মমভাবে হত্যা করছে, আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জেসমিন। বলেন, পাঁচ-ছয় মাসেও আমার ভাইয়ের বিচার পাইনি, সরকারের কোনো সহায়তা পাইনি। সরকারের কেউ বাবা-মায়ের খোঁজ নিতে যায়নি। আমার বাবা খুব অসহায়, একটা ভাই ছিল খুব আদরের। কত কষ্ট করে বড় করছি, রোজগারের জন্য ঢাকায় আসছে। মরার আগে কথা বলছে, আপা আমি রাতে কথা বলমু। সেই ভাই আর ফিরে আসল না।
তিনি আরও বলেন, মাইরা আবার পুলিশ লাশটা নিয়ে গেছে, লাশটারে দেয়ও নাই। ভাইয়ের খোঁজ পাইনি। কোথায় রাখল, কোন জায়গায় রাখছে, খুঁজেই পাইলাম না। আপনা-গো কাছে একটাই দাবি আমার ভাইয়ের লাশটা কোন জায়গায় কী করছে তদন্ত কইরা খুঁজে আইনা দেন। হাড্ডিটা পাইলেও দেশের বাড়িতে ভাইরে মাটি দিমু। অন্তত দেখমু ভাই বাড়ির পাশে আছে।
শহীদ মুনতাসিরের বাবা গাজীউর রহমান বলেন, আজ পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে যাত্রাবাড়ী ছাড়া আর কোথাও কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে দেখি নাই। তাহলে কী হইতেছে, আজ পাঁচ-ছয় মাস হয়ে গেল কোনো পুলিশ হেলমেট বাহিনী অন্তত আমার মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এদের যদি বিচার না হয় তাহলে আমাদের কী হবে, আমরা প্রত্যেকে তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা জানি না, আমাদের আর কত কাল রক্ত দিতে হবে। আমরা সন্তান সবই দিয়েছি। আর কী দেব। আমাদের জীবন বিপন্ন, অনেকে বাড়িতে থাকতে পারছে না। এগুলো দেখার কেউ নাই। এ জাতির জন্য দেশের জন্য সবই দিয়েছি, কিন্তু আমরা ঘরে থাকতে পারি না।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, যখনই অত্যাচারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখি মনে হয় বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। আমাদের প্রসিকিউশন টিম তদন্ত টিম কাজ করছে, আমি কথা দিচ্ছি এটার সুবিচার নিশ্চিত করবই। এ সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব জুলাই অভ্যুত্থানে সুবিচার নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার চেয়ে আমাদের বিচার যে ভিন্ন সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের মতো আমাদের তাড়না থাকে। কালকেই যদি বিচার হয় খুশি হতাম। কিন্তু আমাদের তো প্রসেস মেইনটেইন করতে হবে। আমাদের এত অকাট্য প্রমাণ এত সাক্ষী আছে, ডিউ প্রসেস মেইনটেইন করে বিচার করতে পারব।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, তারা যে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছে, তাদের শনাক্ত করার পাশাপাশি এটা বের করা জরুরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন এমন নিষ্ঠুর হয়ে উঠল? কেন রাষ্ট্র এ পর্যায়ে গিয়েছিল, কার নির্দেশে তারা এ কাজ করেছিল? এগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি। এভাবে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা সর্বত্র হয়েছে, একই মাত্রায় একই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীকে হত্যার গায়েবি নির্দেশ কোথা থেকে এসেছে সেটা যদি বের করা যায় তাহলে বোঝা যাবে সুপিরিয়র কমান্ড কতটুকু সম্পৃক্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের পর্বতসম বেদনা আমরা বুঝি। তাদের ন্যায়বিচার দিতে হবে পাশাপাশি জাস্টিস প্রক্রিয়া যেন আন্তর্জাতিক এবং জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে অতীতের মত ট্রাইব্যুনালকে কলঙ্কিত করা হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, কারা পেছন থেকে এ কাজটা করেছিল, কার নির্দেশে এটা হয়েছিল। এটার সঙ্গে কমান্ডারের কীভাবে হুকুম করা হয়েছিল এই সূক্ষ্ম কাজ উদঘাটন না করা হলে পুরোপুরি জাস্টিস নিশ্চিত করতে পারব না। শহীদ পরিবারদের দ্রুত বিচার চাওয়ার প্রক্রিয়াকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তবে বিচার প্রক্রিয়া যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত হওয়ার জন্য ধৈর্য ধরার অনুরোধ করব। সেটা যেন অপ্রয়োজনীয়ভাবে অনেক সময় না হয় সেজন্য আমরা সক্রিয় এবং সচেতন আছি।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, হেলিকপ্টার দিয়ে অপারেশন চালানো হয়েছে। অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে কিনা তা প্রমাণের আগেই তদানীন্তন নির্বাহী প্রধান বলেছিলেন হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটিয়েছি। তার মানে নির্দেশনা তার থেকে এসেছিল। এখন হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়েছিল সেটা তদন্তে প্রমাণ করার বিষয় আছে। শহীদ পরিবার, আন্তর্জাতিক মহল জাতির কাছে এটা আমাদের অঙ্গীকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, একটা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পরে একটা রিকনসিলিয়েশনের (পুনর্মিলন) মাধ্যমে নতুন যাত্রা শুরু করবে। আমরা কখনও এই দিন দেখব না শাসকরা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ক্রিমিনালাইজ করে সিভিলিয়ানদের হত্যা করবে এমন বাংলাদেশ যেন আর ফিরে না আসে সেজন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন জ ল ই গণহত য ন শ চ ত করত ন শ চ ত কর র জন য হয় ছ ল তদন ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কমলার অভিযোগ: আধুনিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির আধুনিক সময়ের প্রেসিডেন্টদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে সবাইকে এক হতে হবে। স্থানীয় সময় গত বুধবার এক বক্তৃতায় দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের রাজনীতি থেকে ধনীরা লাভবান হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন কমলা বলেন, ট্রাম্প ‘সংকীর্ণ, স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গির’ মানুষ। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ‘সত্যবাদীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, অনুগতদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া হচ্ছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেকে লাভবান হচ্ছেন, আর সাধারণ মানুষদের নিজেদের মতো করে টিকে থাকতে হচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির থেকে শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। তিনি রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু ট্রাম্পের কাছে বিপুল ব্যবধানে হেরে যান। এর পর থেকে কমলা তেমন একটা জনসমক্ষে আসেননি।
বুধবার ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে কমলার নিজের শহর সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন কমলা। ‘ইমার্জ আমেরিকা’ নামের একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই সংগঠন ডেমোক্রেটিক নারী প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতাতে কাজ করে।
বক্তৃতায় কমলা বলেন, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ অন্যতম। কিন্তু তাঁর এই অর্থনৈতিক নীতি ‘সুস্পষ্টভাবে মন্দা ডেকে আনছে’।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্তা বারবারার আমেরিকান প্রেসিডেন্সি প্রজেক্টের তথ্যমতে, ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ১৪২টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা সাম্প্রতিক সময়ে যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি।
ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথম প্রান্তিক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গত তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সংকুচিত হয়েছে। কিন্তু দুর্বল অর্থনীতির জন্য তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দোষারোপ করেছেন। অন্যদিকে নিজের সফলতা দেখাতে ঘরোয়া চাহিদা বাড়ার হিসেবে তুলে ধরেন ট্রাম্প।
রয়টার্স/ইপসোসের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্পের সমর্থনের ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। মার্কিন জনগণের মাত্র ৩৬ শতাংশ তাঁর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সমর্থন করেন।
তবে এখন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকানদের সমর্থকেরাই নিজেদের নেতৃত্বের প্রতি বেশি আস্থাবান। দেশটির ডেমোক্র্যাটদের ৭১ শতাংশ নিজেদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখেন। রিপাবলিকানদের মধ্যে তা ৮৩ শতাংশ।
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব ছাড়ার পর বুধবারই প্রথমবারের মতো বড় কোনো অনুষ্ঠানে কথা বললেন কমলা। এর মধ্য তিনি রাজনীতির কক্ষপথে আবার হাঁটা শুরু করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী বছর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচন। তিনি চাইলে এতে অংশ নিতে পারবেন। অংশ নিলে তাঁর জয় পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনেকে মনে করেন, তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও আবার প্রার্থী হতে পারবেন।