পবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধু হলসহ সাত হলের নাম পরিবর্তন
Published: 2nd, July 2025 GMT
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সাতটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলে পুরনো নাম ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আর কয়েকটির নতুনভাবে নামকরণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের ৫৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. ইখতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান–২০২৪ পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত ছাত্র-ছাত্রীদের জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত সুপারিশ কমিটির ভিত্তিতে এবং ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী’ এই প্রশাসনিক আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।
প্রশাসনিক আদেশ অনুযায়ী, মূল ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম বদলে রাখা হয়েছে বিজয়-২৪। এছাড়া শের-ই বাংলা হল-১ ও শের-ই বাংলা হল-২ এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১ ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
নারী শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। মূল ক্যাম্পাসে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বদলে রাখা হয়েছে রাবেয়া বসরী হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসে একই নামে থাকা হলের নামকরণ করা হয়েছে সুলতানা রাজিয়া হল।
এছাড়া নির্মাণাধীন নতুন দুটি হলের নাম রাখা হয়েছে যথাক্রমে শের-ই বাংলা হল (ছাত্রদের জন্য) এবং চাঁদ সুলতানা হল (ছাত্রীদের জন্য)।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট বরিশাল ক্যাম্পাসে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং ১২ ডিসেম্বর মূল ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙচুর করেন কিছু শিক্ষার্থী। ওই সময় থেকেই আবাসিক হলগুলোর ‘নামকরণে রাজনৈতিক প্রভাব’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।
তবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভাঙার সময় কিছু আবাসিক শিক্ষার্থী বাধা দেন ও তোপের মুখে পড়েন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা এবং কমিটি গঠনের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এই সিদ্ধান্ত সমান অধিকারের চেতনা ও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার অংশ হিসেবেই দেখা উচিত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র রহম ন হল হল র ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে কৃষকদের ফলজ চারা ও সার বীজ বিতরণ
সোনারগাঁ উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের গাছের চারা ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরিপ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রোপা আমন, তাল, সবজী, আম ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক/কৃষক সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের বিনামূল্যে গাছের চারা ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন করেন সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ রানা , উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার শাহীন,উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও উপকারভোগী কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান,২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরিপ-২/ ২০২৫-২৬ মৌসুমে প্রনোদনা এবং পূর্ণবাসন কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উপশী আমন ধান, গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির বীজ, সার এবং নারিকেল, আম, জাম, তাল, বেল, নারকেল, নিম, কাঠাল ও লেবু চারা বিতরণ করা হয়েছে।নীম,বেল,জাম,কাঁঠাল ১০০০০ হাজার চারা গাছ বিতরন চলমান রয়েছে।