খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ছেলের দার কোপে আহত বাবা বিনোদ বিহারী মজুমদার (৭২) মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার ময়ূরখীল এলাকার বাসিন্দা।
মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, সম্প্রতি বিনোদ মজুমদার তার কিছু জমি বিক্রি করেন। জমি বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি মেজ ছেলে ঝুটন মজুমদারে ব্যক্তিগত কিছু দেনা শোধ করেন। এতে আপত্তি জানান বড় ছেলে খোকন মজুমদার। এ নিয়ে তাদের পরিবারে ঝামেলা চলছিল। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় বিনোদ মজুমদারকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন ছেলে খোকন। এরপর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে ছেলে খোকন মজুমদার পলাতক। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। আইনি কার্যক্রম শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে (ডব্লিউজিএস) যোগদান শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ শুক্রবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট আজ বিকেল পাঁচটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে সকালে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দুবাই বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমাদ বেলহৌল আল ফালাসি প্রধান উপদেষ্টাকে বিদায় জানান।
ডব্লিউজিএস-এ অংশগ্রহণের পাশাপাশি অধ্যাপক ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুর রহমান বিন মোহাম্মদ আল ওয়াইস, বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদিসহ একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকগুলোতে তিনি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও গভীরতর করা।
প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি আমিরাতের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানান। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি সে দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ শিল্পপার্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলে প্রধান উপদেষ্টা এ ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে একটি হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শ্রমমূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি জানান, আগামী মাসগুলোতে তিনি উচ্চপর্যায়ের একটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস গতকাল বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে একটি কমিউনিটি এনগেজমেন্ট প্রোগ্রামে অংশ নেন। এ ছাড়া তিনি ডব্লিউজিএসের মূল ভেন্যুতে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্লেনারি সেশনে বক্তব্য দেন। সেশনটি সিএনএনের খ্যাতিমান সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসন পরিচালনা করেন।
দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।