Samakal:
2025-11-21@18:12:35 GMT

ছেলের দার কোপে বাবার মৃত্যু

Published: 21st, January 2025 GMT

ছেলের দার কোপে বাবার মৃত্যু

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ছেলের দার কোপে আহত বাবা বিনোদ বিহারী মজুমদার (৭২) মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার ময়ূরখীল এলাকার বাসিন্দা। 

মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, সম্প্রতি বিনোদ মজুমদার তার কিছু জমি বিক্রি করেন। জমি বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি মেজ ছেলে ঝুটন মজুমদারে ব্যক্তিগত কিছু দেনা শোধ করেন। এতে আপত্তি জানান বড় ছেলে খোকন মজুমদার। এ নিয়ে তাদের পরিবারে ঝামেলা চলছিল। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় বিনোদ মজুমদারকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন ছেলে খোকন। এরপর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে ছেলে খোকন মজুমদার পলাতক। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। আইনি কার্যক্রম শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে কৃষক নিহত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় রেফাজুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার রায়টা পাথরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।

নিহত রেফাজুলের বাড়ি রায়টা পাথরঘাট এলাকায়। তিনি পেশায় কৃষক। মাঝেমধ্যে নদীতে মাছও ধরেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন লালন মণ্ডল (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথরঘাট এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন রেফাজুল ও লালন। এ সময় তিন ব্যক্তি তাঁদের কাছে আসেন। তাঁদের হাতে অস্ত্র ছিল। অস্ত্রধারীরা খুব কাছ থেকে তাঁদের উদ্দেশে গুলি ছোড়েন। এতে রেফাজুল বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। লালনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনজনই মুখোশ পরা ছিল। তাদের হাতে কালো গ্লাভসও পরা ছিল। দুজনের হাতে পিস্তল ও একজনের হাতে শটগান ছিল। শটগানের গুলিতে রেফাজুল নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কেন কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ডিবিসহ পুলিশ কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ