শ্রুতিলেখক না পাওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাতজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এসএসসি পরীক্ষার্থী আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। সকালে তারা আগে থেকে নির্ধারিত নগরের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে গেলেও শ্রুতিলেখক সঙ্গে না থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। এজন্য রহমানিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অসহযোগিতাকে দায়ি করছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।
 
সাত পরীক্ষার্থীরা হলেন- হাবিবুল হক রাতুল, মিনহাজ উদ্দিন, মারুফুর রহমান, রূপসা কানম, অপু দত্ত, লাকী আক্তার এবং খায়রুল ইসলাম। 

সকাল থেকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে সাত পরীক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ সমকালকে বলেন, সাত পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করলেও পরীক্ষা দিতে পারছে না। কারণ তাদের সঙ্গে নেই শ্রুতিলেখক। সাত জনের সবাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। রহমানিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অসহযোগিতার কারণে শ্রুতিলেখক নিয়ে কেন্দ্রে যেতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা।' 

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বশীলদের দায়ভার এড়িয়ে চলাই এ ক্ষতির জন্য দায়ী। আমরা শ্রুতিলেখক ঠিক করলেও তাদেরকে নানা অজুহাতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বোর্ডের ছোট্ট একটা নির্দেশের অভাবেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি আমরা। আমরা এই সমস্যার দ্রুত অবসান প্রত্যাশা করছি। আশা করছি দায়িত্বশীলরা আমাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসএসস পর ক ষ র থ র রহম ন য

এছাড়াও পড়ুন:

যমজ কন্যা শিশুদের পানিতে ফেলে হত্যা, বাবা-মা পুলিশি হেফাজতে

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৬ মাস বয়সী যমজ দুই কন্যা শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী এলাকার বিলের বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু লামিয়া ও সামিহা স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহাগ (২৮) ও শান্তা আক্তার (২৪) দম্পতির মেয়ে।

এদিকে দুই শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনার পর বাবা সোহাগ ও মা শান্তা আক্তার একে-অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিচ্ছে। ফলে এ নিয়ে ধ্রুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুদের বাবা সোহাগ ও মা শান্তাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে দুই যমজ শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীর ভাষ্য, ঘটনার পর বাবা সোহাগের অভিযোগ, তাদের মা শান্তা সন্তানদের পুকুরে ফেলে দিয়েছে। অপরদিকে মা শান্তা দাবি করেছেন, বাবা সোহাগই সন্তানদের পানিতে ফেলে হত্যা করেছে।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু দুইটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিশুদের বাবা ও মাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ