শ্রুতিলেখক না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারল না ৭ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী
Published: 10th, April 2025 GMT
শ্রুতিলেখক না পাওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাতজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এসএসসি পরীক্ষার্থী আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। সকালে তারা আগে থেকে নির্ধারিত নগরের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে গেলেও শ্রুতিলেখক সঙ্গে না থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। এজন্য রহমানিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অসহযোগিতাকে দায়ি করছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।
সাত পরীক্ষার্থীরা হলেন- হাবিবুল হক রাতুল, মিনহাজ উদ্দিন, মারুফুর রহমান, রূপসা কানম, অপু দত্ত, লাকী আক্তার এবং খায়রুল ইসলাম।
সকাল থেকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে সাত পরীক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ সমকালকে বলেন, সাত পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করলেও পরীক্ষা দিতে পারছে না। কারণ তাদের সঙ্গে নেই শ্রুতিলেখক। সাত জনের সবাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। রহমানিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অসহযোগিতার কারণে শ্রুতিলেখক নিয়ে কেন্দ্রে যেতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা।'
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বশীলদের দায়ভার এড়িয়ে চলাই এ ক্ষতির জন্য দায়ী। আমরা শ্রুতিলেখক ঠিক করলেও তাদেরকে নানা অজুহাতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বোর্ডের ছোট্ট একটা নির্দেশের অভাবেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি আমরা। আমরা এই সমস্যার দ্রুত অবসান প্রত্যাশা করছি। আশা করছি দায়িত্বশীলরা আমাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস পর ক ষ র থ র রহম ন য
এছাড়াও পড়ুন:
কর এবং মোবাইল অপারেটর অসহযোগিতায় কমেছে এমএনপি গ্রাহক: ইনফোজিলিয়ন
চালুর ৬ বছরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা। সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন বলছে, উচ্চ সিম কর এবং মোবাইল অপারেটর অসহযোগিতায় সেবা গ্রহণের হার কমেছে ৯৭ শতাংশ। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির বিধিনিষেধের কারণে প্রচার-প্রচারণা চালানো যাচ্ছে না। এতে জনগণ সেবাটি সম্পর্কে সেবা জানতে পারছে না।
মঙ্গলবার রাজধানীতে টিআরএনবি আয়োজিত কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরে এমএনপি অপারেটর।
২০১৮ সালের অক্টোবরে এমএনপি সেবা চালু হয়। এটি এমন এক ধরনের পদ্ধতি যেখানে গ্রাহক মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ পায়।
কর্মশালায় বলা হয়, শুরুতে অপারেটর বদলে ভ্যাট ট্যাক্স মিলিয়ে খরচ ছিল ১৫৮ টাকা। এই উচ্চ ব্যয় নিয়ে সমালোচনার মুখে ১০০ টাকা সম্পূরক শুল্ক তুলে নেয় এনবিআর। এতে শুরুর বছরেই সাত লাখ গ্রাহক এমএনপি সেবা গ্রহণ করে। একমাসে সবোর্চ্চ এক লাখ ১১ হাজার গ্রাহক এ সেবা নেয়। পরে ৩৪৫ টাকা সিমট্যাক্স আরোপ করায় বর্তমানে এমএনপি সেবায় খরচ ৪০৮ টাকা। খরচ বাড়ায় বর্তমানে মাসে মাত্র সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এমএনপি সেবা নিচ্ছেন।
ইনফোজিলিয়নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশে এমএনপি সেবায় যে সিমট্যাক্স ধরা হয়েছে সেটা আন্তর্জাতিকভাবে ভালো চর্চা নয়। গ্রাহকের ওপর জুলুম হয়ে যায়। উচ্চ খরচের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ তুলেছে এমএনপি অপারেটরটি।
ইনফোজিলিয়নের ডাটাবেজ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনসের ম্যানেজার ওবায়দুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকের এমএনপি আবেদনের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের নিচে আবেদন বাতিল আদর্শ। কিন্তু আমাদের এখানে ৪৫ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি আবেদন বাতিল হচ্ছে। এটা হওয়ার কথা না।
কর্মশালায় আন্তর্জাতিক এসএমএস আদান প্রদান নীতিমালার প্রণয়নের দাবি তোলা হয়। বলা হয়, এই নীতিমালা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
ইনফোজিলিয়নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসাইন বলেন, গ্রাহকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি, কিন্তু নানা বিধিনিষেধে সেই স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাধাগুলো দূর করা গেলে সরকারের রাজস্বও বাড়বে, পাশাপাশি গ্রাহক পাবে মান সম্মত সেবা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের চার মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ৬৫ লাখ।