শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস- ফেলের খেলা
Published: 8th, July 2025 GMT
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ জুন প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, একই দিন ও একই বিষয়ে কোনো কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনই ফেল করেছেন। আবার অন্য বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন পাস করেছেন। এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনাকে ভূতুড়ে, গোঁজামিল ও অযৌক্তিক বলছেন প্রার্থীরা।
বোর্ডভিত্তিক ফলে ব্যাপক বৈষম্য দেখা যাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীরা। তারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ফল পুনর্মূল্যায়ন ও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীতে আন্দোলন করছেন তারা।
গতকাল সোমবারও শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা এনটিআরসিএ ভবন ঘেরাও করেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। মৌখিক পরীক্ষায় ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩ হাজার জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে। তাই তাদেরও উত্তীর্ণ সনদ দিতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ভাইভা বোর্ডে মাত্র ৮ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এই ফলবৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতা, মেধা, এমনকি প্রশ্নের উত্তরদানের দক্ষতা বিবেচনায় না নিয়ে মনগড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মফিজুর রহমান কথা বলতে চাননি। প্রতিষ্ঠানটির সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী সমকালের কাছে দাবি করেন, ভাইভা প্রক্রিয়া এবার তুলনামূলকভাবে কঠিন ছিল। প্রার্থীর প্রেজেন্টেশন, শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা, যোগ্যতা ইত্যাদি বিবেচনায় ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে ফেল করানো হয়নি। চূড়ান্ত ফল পুনর্বিবেচনার কোনো নিয়ম নেই; তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
মৌখিক পরীক্ষায় ২৩ হাজার প্রার্থী ফেল
শিক্ষক নিবন্ধনে মূল বাছাই হয় লিখিত পরীক্ষায়। ভাইভা মূলত সনদপত্র ও মৌলিক কাগজপত্র যাচাইয়ের মাধ্যম। ভাইভায় ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ নম্বর রাখা আছে সনদপত্র যাচাইয়ে। এ জন্য ভাইভার নম্বর কখনও মূল নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হয় না এবং তা মেধাতালিকায়ও কোনো প্রভাব ফেলে না। যে কারণে বিগত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষাগুলোতে ভাইভাকে খুব কঠিন করে দেখতেন না প্রার্থীরা। সনদপত্র ও মৌলিক কাগজপত্র ঠিক থাকলে মৌলিক দু’একটি প্রশ্ন করে ভাইভায় পাস করানো হয়েছে। আগের দুটি নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফলেও তা স্পষ্ট।
১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষার ভাইভায় পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ পরীক্ষায় ফল প্রকাশের পর উত্তীর্ণদের যে ই-সনদ দেওয়া হয়েছে, তাতেও ভাইভার নম্বর উল্লেখ নেই। কেবল লিখিত পরীক্ষার নম্বর সনদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে এবং লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই মেধাতালিকা করা হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থী আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, যে ভাইভার নম্বর সনদপত্রে উল্লেখ থাকে না, নম্বর মেধাতালিকায় কোনো প্রভাব ফেলে না, কিন্তু ভাইভার অজুহাতে ২৩ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থীকে এবার অমানবিকভাবে ফেল করানো হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, শুধু লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতেই যদি সনদপত্র দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কেন সনদপত্র পাব না?
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, এবার পরীক্ষায় বোর্ডভেদে প্রশ্ন কাঠামোয় ব্যাপক বৈষম্য করা হয়েছে। কোনো বোর্ডে প্রার্থীকে কেবল নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করেই পাস করানো হয়েছে, আবার কোনো বোর্ডে ১০-১৫টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরও ফেল করানো হয়েছে।
কী হয়েছিল ভাইভা বোর্ডে
পরীক্ষার ফলাফলের তালিকায় দেখা যায়, এক বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে একজন পাস করেছেন। অন্যদিকে আরেক বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন পাস করেছেন।
ভুক্তভোগী মো.
দেখা গেছে, গত ৬ ও ৮ মে অনুষ্ঠিত আরবি প্রভাষক পদে ১২০ জনের মধ্যে মাত্র ২০ জন পাস করেছেন। এক বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জন অকৃতকার্য। ৫ মে অনুষ্ঠিত হিসাববিজ্ঞান ৬বি বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৭ জন ফেল, অন্য বোর্ডে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পাস। ২৬ মে অনুষ্ঠিত ফিকহ্ বিষয়ে ২০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২ জন পাস করেন। এই বিষয়ে ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ১৭ জন, যদিও পদ খালি ছিল ৫০টি।
শুধু ধর্মীয় ও কারিগরি বিষয়ই নয়, বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ সাধারণ বিষয়ের ফলাফলেও বোর্ডভেদে ব্যাপক ফারাক দেখা গেছে।
এ অবস্থায় ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন এবং বোর্ডভিত্তিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রার্থীরা। তারা প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অযাচিত শর্তারোপ
এনটিআরসিএর বিধি অনুযায়ী প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে পাস। ভাইভার দুটি অংশে (সনদপত্রে ১২ এবং প্রশ্নে ৮) আলাদা আলাদা ৪০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকলেও এনটিআরসিএর আইনে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। গেজেটে বলা হয়েছে, মৌখিকের সনদ অংশে ১২ এবং প্রশ্ন অংশে ৮, এই উভয় অংশে পৃথকভাবে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে এমন কথা বলা নেই। অথচ ১২-এর মধ্যে ১২ পাওয়া প্রার্থীকেও ফেল করানো হয়েছে। অথচ সনদপত্রে ১২ পেলে ভাইভার ২০ নম্বরের ৬০ শতাংশ হয়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জের প্রার্থী রাহিমা খাতুন রমিছা বলেন, এভাবে গণহারে ফেল করানোর কারণে সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট তীব্র হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাস করে ভাইভায় অংশ নেওয়া যেসব প্রার্থীর সনদপত্র ও মৌলিক কাগজপত্রে কোনো সমস্যা নেই তাদের সবাইকে পাস করালেও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সব শূন্যপদ পূরণ হতো না।
শূন্যপদে ছড়াছড়ি, তবুও ফেল
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ১ লাখ ৮২২টি এবং প্রতিষ্ঠানটি পাস করিয়েছে ৬০ হাজার প্রার্থীকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে ফেল করানোর কারণে একদিকে হাজারো শিক্ষকের পদ সারাদেশে শূন্য, অন্যদিকে হাজারো মানুষ বেকার থাকবে।
গণহারে ফেল করানোর প্রতিবাদে রাজধানীতে আন্দোলনে আসা চাকরিপ্রার্থী নীলুফার সুলতানা সমকালকে বলেন, ‘আমাদের সুযোগ দিলেই কী শ্রেণিকক্ষ দুর্বল শিক্ষক পাবে? উত্তর হলো, না। কারণ আমরা সবাই যোগ্যতাবলেই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আর লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতেই শিক্ষক নিবন্ধনের মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয়। এনটিআরসিএ আমাদের সনদ দিলেই চাকরি হয়ে যাবে না। চাকরি হবে আবেদনকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর যার, তারই।’
১০ দিন পর ১১৩ জনকে নতুন করে উত্তীর্ণ ঘোষণা
ফল প্রকাশের পর চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৫ জুন এ পরীক্ষার ফল এক দফা সংশোধন করে এনটিআরসিএ। সংশোধিত এই ফলে নতুন করে আরও ১১৩ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। এনটিআরসিএর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী কামরুল আহছান এই ফল ঘোষণা করেন।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর কিছু প্রার্থী ফলাফল না পেয়ে আপত্তি জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এনটিআরসিএ জানতে পারে, ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত একটি পরীক্ষার ফলাফল কারিগরি ত্রুটির কারণে ৪ জুন প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
পরবর্তী সময়ে ওই দিনের পরীক্ষার হার্ডকপি ও সফট কপি যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, সেদিন অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ের ১১৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফলে সংশোধিত ফল অনুযায়ী, বর্তমানে ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৬৩৪ জন।
সবাইকে সনদ দেওয়ার নির্দেশ উচ্চ আদালতের
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সবাইকে নিবন্ধন সনদ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইসিটি বিষয়ে ফেল করা এক প্রার্থীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ জুলাই এ নির্দেশ দেন আদালত।
এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক (প্রশাসন, আইন ও সমন্বয়) লুৎফর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনার কপি আমাদের কাছে এসেছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান স্যার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
৭শ শিক্ষকের তথ্য চুরি, ভুয়া আবেদনের ছড়াছড়ি
সিলেট ব্যুরো জানায়, এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে লগইন করে ভয়ংকর জালিয়াতি করেছে একদল প্রতারক। সবচেয়ে বেশি প্রতারণা করা হয়েছে আরবি বিষয়ের প্রভাষক ও লাইব্রেরিয়ান পদের ক্ষেত্রে। উত্তীর্ণ শিক্ষকদের তথ্য দিয়ে আবেদন করে টাকাও জমা দিয়ে ফেলেছে প্রতারকরা। এ অবস্থায় সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা আবেদন করতে পারছেন না। আগামী বৃহস্পতিবার আবেদনের শেষ তারিখ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের প্রায় ৭শ শিক্ষক।
বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করেছে এনটিআরসিএ। গতকাল সোমবার বগুড়া থেকে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান-৩) মাইনুল ইসলাম। তিনি জানান, যারা ভুয়া আবেদন করেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় ৪ জুন। যারা উত্তীর্ণ বা চাকরির সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠান পছন্দ করে আবেদন দাখিলের জন্য ১৬ জুন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। গত ২২ জুন থেকে আবেদন শুরু করেন সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। নিয়ম অনুযায়ী উত্তীর্ণ শিক্ষক তাদের রোল, ব্যাচ ও জন্মতারিখ দিয়ে ওয়েবসাইটে লগইন করে আবেদন দাখিল করার কথা। কিন্তু তা করতে গিয়ে শিক্ষকরা আবেদন করতে পারছেন না। তারা দেখতে পান, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে অন্য কেউ আগে থেকেই আবেদন করে ফেলেছে।
জানা গেছে, যাদের রোল, জন্মতারিখ ও ব্যাচ ব্যবহার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত। এর মধ্যে একজন কুমিল্লার লাকসামের প্রভাষক রহমত আলী। তিনি ৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। রহমত সমকালকে জানান, তাঁর তথ্য দিয়ে অন্য একজন আবেদন করেছেন। যার সঙ্গে তাঁর ছবি, নাম ও স্বাক্ষরের মিল নেই। তাঁর মতো ৭ শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর অপর সহকারী পরিচালক ড. এসএম আতিয়ার রহমান (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন-৩) সমকালকে জানান, বিষয়টি তারা অবগত হয়েছেন। শিক্ষকদের আবার সুযোগ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ র ম খ ক পর ক ষ চ কর প র র থ এনট আরস এ চ ড় ন ত ফল ত পর ক ষ য় সনদপত র ন পর ক ষ অন ষ ঠ ত ফ ল কর ন র ফল ফল র রহম ন উল ল খ র পর ক র সনদ ব ষয়ট সমক ল তদন ত সনদ দ
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাগে সহকারী শিক্ষক পদের প্রার্থীদের বিক্ষোভ, এনটিআরসিএ ভবন ঘেরাও
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে সনদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে তাঁরা এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন । আন্দোলনকারীরা বলেন, শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে তাঁরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ভবন ঘেরাও করেন ।
জসিম উদ্দিন নামের এক আন্দোলনকারীর দাবি, তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন মৌখিক পরীক্ষায় ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩ হাজার উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এখন সেসব উত্তীর্ণ না হওয়া পরীক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের ইচ্ছেকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে। তাদের উত্তীর্ণের সনদ দিতে হবে।