পাশের বাড়িতে লুকোচুরি খেলছিল দুই শিশু হামিদা খাতুন (৮) ও সাইফা খাতুন (৭)। একপর্যায়ে তারা ফ্রিজের আড়ালে লুকাতে যায়। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনেই মারা যায়। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মঙ্গলপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে হামিদা খাতুন ও সোলেমান আলীর মেয়ে সাইফা খাতুন। হামিদা খাতুন সাইফা খাতুনের ফুফাতো বোন। তাদের পাশাপাশি বাড়ি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বোন খেলতে খেলতে পাশের আকবর হোসেনের (কুব্বত) ছেলে মিলনের বাসায় যায়। সেখানে লুকোচুরি খেলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ দুটি দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে ভুল অস্ত্রোপচারে দুই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

দিনাজপুরের বিরামপুর ও নবাবগঞ্জের দুটি অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভুল অস্ত্রোপচারে দুই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। 

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে বিরামপুরের মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালে ১৭ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামের টনসিল অপারেশনের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, অপারেশনের পরপরই রক্তক্ষরণ শুরু হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে দ্রুত রংপুরে নেওয়া হলে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।

মৃত শফিকুলের বড় ভাই আব্দুল আজিজ বলেছেন, নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শের আলী মর্তুজা ভুল অস্ত্রোপচার করায় আমার ভাই মারা গেছে। আমি বিচার চাই, ডাক্তারের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

এর আগে ২৯ অক্টোবর নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়ায় রেনেসাঁ ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী মমিনুল ইসলাম লাবুর টনসিল অপারেশন করেন ডা. মো. শের আলী মর্তুজা। অপারেশনের পর লাবু অচেতন থাকায় তাকে দিনাজপুরে নেওয়া হয়।

লাবুর বাবা আফজাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, দিনাজপুরে নেওয়ার পথে বিরামপুর রেলগেটে মোটরসাইকেল নেওয়ার কথা বলে পালিয়ে যান ডা. শের আলী মর্তুজা। দিনাজপুর হাসপাতালে পৌঁছালে ডাক্তাররা জানান, লাবুর মৃত্যু হয়েছে। তারা বলেন, অপারেশনের সময় ছেলের শ্বাসনালী কেটে গেছে।

বিরামপুরের মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের ম্যানেজার হুমায়ুন জানিয়েছেন, ডা. শের আলী মর্তুজা তাদের অপারেশন থিয়েটার ভাড়া নিয়ে দুই রোগীর টনসিল অপারেশন করেন। পরে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রংপুরে পাঠানো হয় এবং রাতে তার মৃত্যুর খবর আসে।

অন্যদিকে, ভাদুরিয়ার রেনেসাঁ ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের মালিক জোবায়ের আহমেদ বলেছেন, ২৯ অক্টোবর আমাদের এখানে কোনো অপারেশন হয়নি। ডা. মর্তুজা তার চেম্বারে একজন রোগী এনেছিলেন। রোগীটি সম্ভবত স্ট্রোক করেছে।

এসব বিষয়ে ডা. শের আলী মর্তুজার বক্তব্য জানতে তার বিরামপুরের কলাবাগানস্থ চেম্বারে গেলে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে এক নারী ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘স্যার ফোন রেখে ঢাকায় গেছেন।’ এরপর কল কেটে দেন ওই নারী।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেছেন, মা ও শিশু জেনারেল হসপিটাল অনুমোদনবিহীন। এর আগে তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম বলেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/মোসলেম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ