রাজু ভাস্কর্যে ৭৬ ঘণ্টা ধরে অনশনে ৪৩তম বিসিএসের গেজেটবঞ্চিতরা
Published: 2nd, May 2025 GMT
৪৩তম বিসিএসের গেজেটবঞ্চিত ক্যাডার অফিসারদের গেজেটভুক্ত করে যোগদান নিশ্চিতকরণ ও ‘সরকারি চাকরি ভ্যারিফিকেশন নীতিমালা’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন গেজেটবঞ্চিতরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শুরু হওয়া এই অনশনের ৭৬ ঘণ্টা ইতিমধ্যে পার হয়েছে।
অনশনরত তমা রায় ৪৩তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে গেজেটবঞ্চিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত ৪ মাস ধরে ৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ২২৭ জন একটি গেজেটের জন্য অপেক্ষা করছি। সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহল থেকে আমাদের বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব স্যার ৯ জানুয়ারি বলেছিলেন, ২ কর্মদিবসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হবে, কিন্তু আজ প্রায় ৪ মাস হয়ে যাওয়ার পরেও আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত গেজেটটি পাইনি।’
তমা রায় আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খুব দ্রুতই আমাদের গেজেটটি প্রকাশিত হবে। চূড়ান্তভাবে আমাদের ৪৩তম বিসিএসের গেজেটটি প্রকাশিত হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা এই অনশন চালিয়ে যাব।’
৪৩তম বিসিএস কৃষি ক্যাডারে গেজেটবঞ্চিত মোহাম্মদ আলী নেওয়াছ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েই ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে প্রথম গেজেটটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ২২৭ জনকে বাদ দিয়ে আবার গেজেট প্রকাশ করা হয়। আমাদেরকে কেন গেজেটভুক্ত করা হচ্ছে না, তার আসল কারণ সুস্পষ্টভাবে জানানো হোক। আর যদি কোনো যৌক্তিক কারণ না থাকে, তাহলে আমাদের সবাইকে গেজেটভুক্ত করা হোক।’
গেজেটভুক্ত হওয়া ছাড়া তাঁদের আর কোনো উপায় নেই উল্লেখ করে আলী নেওয়াছ আরও বলেন, ‘কেননা, ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগের একটা তারিখ দেওয়ার ফলে আমরা অনেকে যারা চাকরিতে ছিলাম, তারা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। সে ক্ষেত্রে আমরা আগের চাকরি হারিয়েছি আবার নতুন চাকরিতেও যোগদান করতে পারছি না।’
অনশনরত পাঁচজন হলেন মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাকৃবিতে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের দাবি
সম্প্রতি প্রকাশিত ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ওই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন ও অধিযাচনকৃত ৮৭০টি পদ যুক্ত করে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানান।
আরো পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার হয়েছেন রাবির অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী
বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত পাবনার আশিক-গৌরব-ধ্রুব
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৪৪তম বিসিএস এর ফাঁকা থাকা পদগুলো মেধাক্রম অনুযায়ী পুনঃবণ্টন করা, রিপিট ক্যাডার প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষমানদের নতুন করে সুপারিশ করা; যারা ৪১তম এবং ৪৩তম বিসিএস-এ কর্মরত রয়েছেন কিন্তু ৪৩তম বিসিএস-এ পছন্দক্রমের লোয়ার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এবার যোগদান করবেন না, এমন সুপারিশ বাতিল করে নতুনদের জন্য সুপারিশ করা; দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রকাশিত এই বিসিএস-এ পদসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে এমন বিপুল সংখ্যক প্রার্থী চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, যারা ইতিমধ্যেই ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে একই ক্যাডারে নিয়োজিত রয়েছেন। স্বভাবতই, তারা ৪৪তম বিসিএসে যোগদান করবেন না।
তারা বলেন, এমন ‘রিপিট ক্যাডার’ প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন, যাদের সুপারিশপ্রাপ্ত পদগুলো ফাঁকা থেকে যাবে। অনেক প্রার্থী পছন্দক্রমের নিচের ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন– তারাও অনেকেই যোগদান করবেন না। ফলে শত শত মেধাবী অপেক্ষমাণ প্রার্থী একটি স্বপ্ন পূরণের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ প্রশাসনে পদ শূন্যই রয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী