রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল উদ্ধার
Published: 7th, July 2025 GMT
রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, গত শনিবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী শহরের টিকাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়। পিস্তলের সঙ্গে একটি ম্যাগজিন ও গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় থানা থেকে লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগজিন ও গুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছে, এমন তথ্য পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহী ক্যাম্পের একটি দল।
অভিযানকালে টিকাপাড়ায় একটি বালুর স্তূপ খুঁড়ে প্রায় দুই ফুট গভীরে পোঁতা অবস্থায় একটি ৭.
একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, ম্যাগজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে, কোন থানা থেকে এটি লুট হয়েছিল, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, পিস্তলের গায়ে থাকা নম্বর ঘষা-মাজা করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভাটারায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ছেলের পর বাবারও মৃত্যু
রাজধানীর ভাটারায় গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না করতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ ছেলের মৃত্যুর পর বাবাও মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. হালিম শেখের (৫০) মৃত্যু হয়।
হালিম শেখের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হালিমের শরীরের ৩৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হালিম শেখের ছেলে হানিফ শেখ (২৪)। তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত বুধবার রাতে ভাটারা থানার পূর্ব নুরের চালা এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে রান্নার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। সেদিন সন্ধ্যায় হানিফ শেখ রান্নাঘরে ডিম ভাজতে যান। এ সময় গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে হঠাৎ তাঁর লুঙ্গিতে আগুন ধরে যায়। তাঁর বাবা, মা শিউলি বেগম (৪৫) ও খালা রহিমা বেগম (৫০) তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁরাও দগ্ধ হন।
আরও পড়ুনচুলার আগুনে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ, দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন০২ জুলাই ২০২৫দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে রাতেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে হালিম শেখ ও তাঁর ছেলে হানিফ শেখকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বাকি দুজন শিউলি বেগম ও রহিমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।