দেশীয় এয়ারলাইনস সংস্থা নভোএয়ারের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার থেকে সংস্থাটির ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কত দিনের জন্য তা বন্ধ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। টিকিটি বিক্রেতারাও এ বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানেন না।
জানা গেছে, বিদেশি এক প্রতিষ্ঠানের কাছে নভোএয়ার বিক্রির আলোচনা চলছে। তারই অংশ হিসেবে সংস্থাটির বিমান উড্ডয়ন সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও নভোএয়ার বিক্রির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নিরীক্ষা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নভোএয়ারের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সংস্থাটি তাদের বহরে থাকা পাঁচটি এটিআর বিমান বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রক্রিয়াটি চলতি মাসেই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া বলেন, নভোএয়ারের ফ্লাইট চলছে না। এ বিষয়ে তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলছে, অর্থনৈতিক কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। দুই সপ্তাহ পর আবার অপারেশনে আসবে। অর্থনৈতিক সমাধান না হলে কি হবে বলা যাচ্ছে না।’
একটি সূত্র বলছে, ২০ এপ্রিল থেকে তারা টিকেট বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এ খবর প্রচার হওয়ার পর তারা আবারও টিকিট বিক্রি শুরু করে। তবে শুক্রবার থেকে আবারও ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে টিকেট কেনার অপশনটিও বন্ধ রয়েছে সংস্থাটির। বর্তমানে নভোএয়ার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীতে প্রতিদিন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে। যাত্রী সংকটের কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তাদের একমাত্র আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতার ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ল ইট র ফ ল ইট বন ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
গণমাধ্যম সংস্কারে এক বছরেও অগ্রগতি নেই
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন কার্যকর হয়নি, গণমাধ্যম সংস্কারেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা একথা বলেন।
বক্তারা বলেন, এখনো তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করছে এবং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছেন তারা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য হলেও সেখানে প্রকৃত সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চাই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যেদিন সাংবাদিকরা রাজপথে নামবে, সেদিন কেউ রেহাই পাবে না।’’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, ‘‘আজ আমাদের আনন্দ ও বেদনার দিন। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও এখনও গণতন্ত্র পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ। ভারতীয় টিভি চ্যানেল এখনো বন্ধ হয়নি। কিছু উপদেষ্টার অজ্ঞতা দেশকে অস্থির করে তুলছে।’’
বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরি বলেন, ‘‘সাইবার সিকিউরিটি আইন এখনো বাতিল হয়নি, এটা হাসিনার সরকারের মতোই দমনমূলক। ভোটহীন ১৭ বছর পর গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের আশায় অপেক্ষা করছি, কিন্তু এখনো সংস্কারের নামে শুধু প্রতিশ্রুতি শুনছি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ১৭ বছর ধরে রাজপথে ছিলাম, রক্ত দিয়েছি। এবার যদি আবার প্রতারণা হয়, তাহলে সাংবাদিক সমাজ আর সহ্য করবে না।’’
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমে যারা স্বৈরাচারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, তারা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গণমাধ্যমকে মুক্ত করতে হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ মুরসালীন নোমানী, রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাংবাদিক নেতা আব্দুল্লাহ মজুমদার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/এএএম//