চাঁদাবাজির রেট আগের চেয়ে বেড়েছে: জামায়াত আমির
Published: 3rd, May 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান আমির বলেছেন, ৫ আগস্টের পর শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত ছিল। কিন্তু কোন কোন দল সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে নিজেদের সহকর্মীদের সামাল দিতে। যেখানেই যাই, শুনতে হয় রেট (চাঁদাবাজির) আগের চেয়ে বেশি। কেন রেট বেশি হবে? রেটই তো থাকবে না। চিহ্নিত অপরাধীদের ধরে পুলিশ থানায় নেওয়ার আগেই তদবির থানায় চলে আসে। এই ধারা বন্ধ করতে হবে। জামায়াতের লোকেরাও যদি এটা করে, মানুষ জামায়াতকে ঘৃণা করবে। এ কাজ যারাই করবে, তাদেরকেই ঘৃণা করবে।
শনিবার রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী জেলা ও মহানগর জামায়াতের আমির সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবারও আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি করে শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে লেখাপড়া না জানা লোকজনও সংসদ সদস্য হয়ে গেছে। তারা কী আইন রচনা করবে! তারা কোন আইন সংস্কারের যোগ্যতা রাখেন? তাই যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, তত আসন পাবে। এতে দল যত ছোটই হোক, কারও দয়ার পাত্র হবে না।
রমজান এবং আবহাওয়া বিবেচনায় আগামী ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.
শফিকুর রহমান বলেন, সংস্কার কার্যক্রম যদি আক্ষরিকভাবেই গতিশীল করা হয় এবং অংশীজনরা সহযোগিতা করেন, তবে সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন সম্ভব।
নির্বাচনের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করার দাবি করে তিনি বলেন, বুঝি স্বল্প সময় সব বিচার সম্ভব নয়। কিছু বিচার তো করতে হবে, যেন জাতির আস্থা তৈরি হয়। যদি বিচার হয়, তবে আগামী নির্বাচনে কালো টাকা এবং পেশী শক্তির প্রভাব খাটাতে পারবে না। বিচার যদি না হলে আশঙ্কা থেকেই যাবে।
দেশে অস্থিরতা থাকলে অর্থনীতি ভেঙে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করে জামায়াত আমির বলেন, অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। এজন্য অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।
জামায়াত আমির আবারও নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের নাকি ফ্যাসিবাদীদের পতন হয়েছে চিন্তা করতে হচ্ছে। সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করছি। তবে সরকারের কিছু উপদেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করছেন।
আমির সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিমসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত আম র জ ম য় ত আম র র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।