বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ অতিধনী ও বিনিয়োগগুরু খ্যাত ওয়ারেন বাফেট অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত শনিবার শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে দেওয়া বার্ষিক চিঠিতে বাফেট অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

বার্কশায়ার হ্যাথাওয়েকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীতে পরিণত করেছেন বাফেট। এই কোম্পানির বাজার মূলধন এখন এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ছোট ছোট ভবিষ্যদ্বাণীর জন্যও বাফেট খ্যাতি পেয়েছেন। এ জন্য তাঁকে ‘ওরাকল অব ওমাহা’ নামেও ডাকা হতো।

ওয়ারেন বাফেট প্রতিবছরই বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে একটি করে চিঠি লিখে আসছেন। তাঁর সেই বার্ষিক চিঠিটি বিনিয়োগকারীদের কাছে অবশ্যপাঠ্য হয়ে উঠেছে। এবারের চিঠিতেও তিনি অনেক জ্ঞানগর্ভ কথা বলেছেন। বিশেষ করে নিজের উত্তরসূরি হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছেন সেই গ্রেগ আবেল সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেছেন।

চিঠিতে বাফেট লিখেছেন, ‘আমার বয়স ৯৪ বছর হয়েছে। যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, শিগগিরই গ্রেগ আবেল আমার জায়গায় কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর আসন অলংকৃত করবেন। গ্রেগের সঙ্গে আমার মিল হলো, তিনিও আমার মতো বিশ্বাস করেন। বছর শেষে কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব হলো, বিনিয়োগকারীদের এই বার্ষিক চিঠি লেখা। আবেল বোঝেন, বিনিয়োগকারীদের ঠকানো প্রকারান্তরে নিজেকেই ঠকানো এবং একসময় আপনি নিজেই তা বিশ্বাস করবেন।’

আবেল সম্পর্কে বাফেট আরও বলেন, তিনি দুই দশক বা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়েতে আছেন এবং কোম্পানির বিদেশি বিনিয়োগ দেখাশোনা করেন। জীবন সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। একই সঙ্গে নিজের জ্ঞান ভাগাভাগি ও বিতরণে সচেষ্ট তিনি।

ওয়ারেন বাফেট ছোটবেলা থেকেই বিনিয়োগকারী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর দাদার ছিল মুদিদোকান। সেই বয়সেই তিনি নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়াতে সপ্তাহে ৫ ডলার বেতনে দাদার দোকানে কাজ নেন। মাত্র ছয় বছর বয়সেই দাদার দোকান থেকে ২৪ সেন্টে ৬ প্যাকেট কোকা–কোলা কিনে একটু দূরে গিয়ে বিক্রি করে ৫ সেন্ট মুনাফা করেছিলেন। এরপর কিছু অর্থ জমিয়ে ১১ বছর বয়সে ৩৮ ডলার করে সিটিজ সার্ভিসের ছয়টি শেয়ার কেনেন। এর মধ্য থেকে তিনটি শেয়ার বোনকে দিয়ে দেন। তবে জীবনের প্রথম শেয়ার ব্যবসায়ে হতাশই হয়েছিলেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই শেয়ারের দাম কমে ২৭ ডলারে নেমে যায়। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করেছেন। পরে যখন ওই শেয়ারের দাম বেড়ে ৪০ ডলারে ওঠে তখনই তিনি তা বিক্রি করে দেন। তবে তিনি এখনো মনে করেন, সেই শেয়ার বিক্রি করা ছিল তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, কিছুদিনের মধ্যেই ওই শেয়ারের দাম তরতর করে বেড়ে ২০০ ডলার হয়ে যায়। সেই ঘটনা থেকে তিনি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছেন। তা হলো অধ্যবসায়, যা তিনি পরবর্তীকালে মেনে চলেছেন।

ছোটবেলাতেই নিজস্ব সম্পদ বাড়াতে ওয়ারেন বাফেট বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুইংগাম, পত্রিকা ও কোকা–কোলা বিক্রি করেন। পাড়ার সেলুনের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে পোকার খেলার মেশিনও বসিয়েছিলেন। তখন বাফেটের নামে তাঁর বাবা একটি ব্যাংক হিসাব খুলে দিয়েছিলেন। একসময় ব্যাংক থেকে নোটিশ এল যে ওয়ারেন বাফেটের নামে কিছু ডলার জমা পড়েছে। সে জন্য আয়কর দিতে হবে। বাবা ছেলেকে আয়কর দিতে বললেন। কারণ, ছোটবেলা থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াটা শিখতে হবে। বাফেটের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। বয়স কম হওয়ায় স্থানীয় আয়কর বিভাগ ৩৫ ডলার ফেরত দেয়, যা দিয়ে বাফেট একটি বাইসাইকেল কিনেছিলেন। সেই বাইসাইকেল তিনি বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও চালিয়েছিলেন।

২০০৭ সালে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে ব্যবসা সম্পর্কে বাফেটের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে ওঠে। তিনি লেখেন, ‘যে ব্যবসায় দ্রুত প্রবৃদ্ধি হয়, সেটা সবচেয়ে খারাপ ব্যবসা। অন্যদিকে যে ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়, কিন্তু তা থেকে খুব সামান্য আয় হয়, সেটিও সবচেয়ে খারাপ ব্যবসা।’ এ ক্ষেত্রে তিনি বিমান পরিবহন সংস্থার ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই খাতে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার কোনো বালাই নেই। এ কারণে এ ব্যবসায় প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, খরচও বেশি। সে জন্য তিনি মনে করেন, বিমান পরিবহন ব্যবসা বিনিয়োগকারীদের জন্য গোরস্থানের শামিল।

১৯৮৯ সালে বাফেট ইউএস এয়ারওয়েজ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বোকামি করেছেন বলে উল্লেখ করেন। তবে ভাগ্য ভালো যে বিমান সংস্থাটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আগেই সেটির শেয়ার বিক্রি করতে পেরেছিল তাঁর কোম্পানি।

নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগ করার আগে বাফেট তিনটি বিষয়ে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ২০১৯ সালের চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, নতুন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করার আগে রিটার্ন অন ট্যানজিবল ক্যাপিটাল বা দৃষ্টিগ্রাহ্য পুঁজি থেকে প্রাপ্ত ফল; দক্ষ ও সৎ ব্যবস্থাপনা এবং যৌক্তিক মূল্য—এই তিনটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

নতুন ব্যবসা অধিগ্রহণ সম্পর্কে তাঁর মত, এটা অনেকটা বিয়ের মতো; মিলনটা বেশ মধুর, কিন্তু এরপর বাস্তবতার সঙ্গে প্রত্যাশার ফারাক হতে শুরু করে। কখনো কখনো এমন হয়, নতুন এই মিলন থেকে অপ্রত্যাশিত অনেক কিছু ঘটে যায়, যে বিষয়টি হয়তো কোনো পক্ষই আগে ভাবেনি। অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখা যায়, অতিদ্রুত স্বপ্নভঙ্গ হয়। করপোরেট জগৎ নিয়ে বাফেট বলেন, সাধারণত ক্রেতাদের বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। বিষয়টি হলো বিনিয়োগের আগে দুই চোখ স্বপ্নে বিভোর হতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা ঠিক সেই জায়গায় থাকে না।

একবার ওয়ারেন বাফেটের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অর্থ উপার্জন ও নিজের নিরাপদ ভবিষ্যৎ তৈরির ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর পরামর্শ কী। তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন, প্রথমেই উচিত বন্ধকি ঋণ পরিশোধ করা। তাঁর মতে, বন্ধকের অতিরিক্ত অর্থ দ্রুত পরিশোধের দুটি অর্থ। এক.

সুদের অর্থ বাঁচানো এবং দুই. বন্ধক থেকে মুক্তি, যার মানে এই টাকা জোগাড় করতে প্রতি মাসে এত পরিশ্রম করতে হবে না। এককথায় এটি নিরাপদ বিনিয়োগ।  

ওয়ারেন বাফেট প্রায়ই একটা কথা বলেন, সঞ্চয়ের সুরক্ষিত জাল তৈরি করতে হবে। যথাযথ বিনিয়োগের আগে উদ্যোক্তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ছয় মাস আগে থেকে জীবনযাত্রার ব্যয় (শুধু বেঁচে থাকার বাজেটের জন্য যা লাগে তা ছাড়া) কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। এর অর্থ হলো, যদি হঠাৎ করে আপনার কিছুটা নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিপদে পড়লে তা সামাল দিতে পারবেন ওই অর্থ দিয়ে। উদ্যোক্তাদের জন্য এ রকম নানা পরামর্শ দিয়ে আসছেন বাফেট। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এই লেখা তৈরি করার সময় তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬৮ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ১৬ হাজার ৮২০ কোটি মার্কিন ডলার।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন ব যবস র জন য কর ছ ন র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষার্থীদের

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর পুনরায় ১৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক’।

আজ বুধবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে তারা কর প্রত্যাহারসহ মোট চারটি দাবি তুলে ধরে। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল ‘অবিলম্বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করতে হবে’, ‘নো ট্যাক্স অন এডুকেশন’–এমন স্লোগানসংবলিত পোস্টার।

অন্য দাবিগুলো হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কীভাবে মুনাফা করে, তা তদন্ত করে অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত করা এবং শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানো। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নির্ধারণে শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্রপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান এবং উচ্চশিক্ষার শর্ত পূরণে ইউজিসি ও সরকারের কার্যকর ভূমিকা পালন করা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, পর্যাপ্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভাবে দেশের লাখো শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে বাধ্য হন। নতুনভাবে কর আরোপ করলে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে আরও বেশি বঞ্চিত হবেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বলা হচ্ছে যে ১৫ শতাংশ কর আদায় করা হবে, তবে এর প্রভাব সরাসরি শিক্ষার্থীদের ওপর পড়বে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই করের টাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই আদায় করবে। এর ফলে শিক্ষার খরচ আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে।

শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করা চলবে না উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, এটি বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্কের সংগঠক নাবিন আবতাহির, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রপ্রতিনিধি তাসফিরুল কাব্য, ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ফাত্তাহ সিয়াম, তারমিন তিশা প্রমুখ।

বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শতকরা ১৫ ভাগ হারে আয়কর আদায়ের জন্য ২০০৭ সালের ২৮ জুন এবং ২০১০ সালের ১ জুলাই পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এক শিক্ষার্থীর করা পৃথক ৪০টির বেশি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ওই দুই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শতকরা ১৫ ভাগ হারে রিট আবেদনকারী যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে আয়কর বাবদ অর্থ আদায় করা হতো, তা ফেরত দিতে সরকার ও এনবিআরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক ৪৫টি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক ৪৫টি আপিল করে, যার ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন আপিল বিভাগ।

রায়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণাসংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়।

রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, হাইকোর্টের রায় বাতিল হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের প্রজ্ঞাপন দুটি বৈধ ও বহাল থাকল। এর ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায় করা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাজেট: করদাতার ঘাড়ের বোঝা বাড়বে নাকি কমবে
  • কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল হতে পারে
  • বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষার্থীদের