মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট দেশের বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানটি রোববার মিরপুর-১৪ তে অবস্থিত বিএন কলেজের শহীদ মোয়াজ্জেম হলে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়।

নবীন বরণ করা ব্যাচগুলো হলো- বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি– ৯ম ব্যাচ, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং– ৮ম ব্যাচ, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক্স– ৭ম ব্যাচ, এলএলবি ইন মেরিটাইম ল’– ৭ম ব্যাচ, বিএসসি ইন ফিশারিজ– ৬ষ্ঠ ব্যাচ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, এনবিপি, ওএসপি, বিসিজিএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমডোর মোহাম্মদ এহসান উল্লাহ খান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, অনুষদ প্রধান, একাডেমিক উপদেষ্টা, সিনিয়র অধ্যাপক, অনুষদ সদস্য, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নবীন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাব জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে এবং একটি ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এছাড়াও নিয়ম-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পরীক্ষা পরিচালনা, আর্থিক নীতিমালা, শিক্ষা বিষয়ক সফটওয়্যার ব্যবহার এবং অনলাইন লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাক্সিম গোর্কির আবাসস্থলে

মস্কোর আকাশে আজ মেঘ ঘনিয়েছে। সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। এমনিতে গরমকাল, তবে বৃষ্টি পড়ার কারণে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসছে। মস্কোতে আমার দিনগুলো উড়ে উড়ে পার হয়ে যাচ্ছে। অল্প দিন হাতে আছে রাশিয়ায়। এর মাঝে কত কিছু যে দেখার বাকি!

আমি এসেছিলাম আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বাড়িতে। রাশিয়ার বিখ্যাত এই লেখক পাঁচবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েও পুরস্কার জেতেননি। এমন অসামান্য লেখকের প্রাসাদতুল্য বাড়ির সামনে এসে দেখি দুয়ার তালাবদ্ধ। আজ আর দুয়ার খুলবে না। দোতলা এই বাড়িটিতে লেখক জীবনের শেষ কয়েক বছর বসবাস করেছিলেন। বাড়ির সামনে প্রশস্ত আঙিনা। সেখানে উঁচু উঁচু গাছ অন্য পাশ থেকে বাড়িকে ঢেকে দিয়েছে। বাড়ির চারপাশ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা।

প্রাচীন এই বাড়ির আশপাশে ঘুরেফিরে আবার ফিরে গেলাম। আজ তিনি দুয়ার না খুললে কাল নিশ্চয়ই খুলবেন। রাশিয়ার অন্যান্য বিখ্যাত লেখকের বাড়ির মতো তাঁর বাড়িটিকেও মিউজিয়াম করে রাখা হয়েছে। ঊনবিংশ শতকে রাশিয়ায় জনপ্রিয়তা পেলেও আমাদের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি আজ অবধি সবচেয়ে জনপ্রিয় রুশ লেখক।

আগের দিন লেখকের হাউস মিউজিয়াম বন্ধ ছিল। তাই দুয়ার থেকে ফিরে যেতে হয়েছিল। কিন্তু আমি হচ্ছি বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী ধরনের মানুষ। এত সহজে এ বাড়ি না দেখে আমি মস্কো ছাড়ব না।

আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বয়স যখন চব্বিশ তখন এক পত্রিকায় লেখা পাঠানোর সময় আলেক্সেই লেখকের নামে নিজের নাম লেখেন ‘ম্যাক্সিম গোর্কি’। রুশ ভাষায় ম্যাক্সিম শব্দের অর্থ—তিক্ত। জীবনের কঠিন বাস্তবতা আর তিক্ততার স্বাদ অল্প বয়সে গ্রহণ করায় তিক্ত নামেই পরবর্তীকালে তিনি বিখ্যাত হয়েছেন।

আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভ ১৮৬৮ সালে রাশিয়ার নিঝনি নভোগরদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এগারো বছর বয়সে অনাথ হয়ে যাওয়ার পর দিদিমা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাখেন। কিন্তু বারো বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালান। এরপর বছর পাঁচেক রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ান। কখনো পেট চালানোর জন্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাজ করতে হয়েছে। পথেই থাকতে হয়েছে। এ সময়ে আলেক্সেই মুচির কাজও করেছিলেন।

ম্যাক্সিম গোর্কির বাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ