বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
Published: 5th, May 2025 GMT
মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট দেশের বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানটি রোববার মিরপুর-১৪ তে অবস্থিত বিএন কলেজের শহীদ মোয়াজ্জেম হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়।
নবীন বরণ করা ব্যাচগুলো হলো- বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি– ৯ম ব্যাচ, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং– ৮ম ব্যাচ, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক্স– ৭ম ব্যাচ, এলএলবি ইন মেরিটাইম ল’– ৭ম ব্যাচ, বিএসসি ইন ফিশারিজ– ৬ষ্ঠ ব্যাচ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, এনবিপি, ওএসপি, বিসিজিএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমডোর মোহাম্মদ এহসান উল্লাহ খান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, অনুষদ প্রধান, একাডেমিক উপদেষ্টা, সিনিয়র অধ্যাপক, অনুষদ সদস্য, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নবীন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাব জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে এবং একটি ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এছাড়াও নিয়ম-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পরীক্ষা পরিচালনা, আর্থিক নীতিমালা, শিক্ষা বিষয়ক সফটওয়্যার ব্যবহার এবং অনলাইন লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রীদের নিয়ে জবি ছাত্রদল নেতার আপত্তিকর মন্তব্য, সমালোচনার ঝড়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের হিজাব ও নারী শিক্ষার্থী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রী সংস্থার নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়ের একটি ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “সেরের জন্য কয়টা তালি”।
পোস্টের নিচে জিএমএস আহমাদ রেজা নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লেখেন, “ভাই, ছবিতে সমস্যাটা কোথায়? রাজনীতি করবেন, এতোটুকু সেন্স রাখবেন না- কোথায় সমালোচনা বা ট্রল করতে হয় আর কোথায় না?” জবাবে আরেফিন লেখেন, “এই সে**ক্সটাই তো সেরের এবং সেরের ছাত্রের কাছে শিখতে চাই। সরি সেন্স।”
আরো পড়ুন:
ঢাবি শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামানের শাস্তি দাবি
হিজাব ইস্যুতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ২ বিচারপতির ভিন্নমত
এ মন্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে এটাকে কুরুচিপূর্ণ ও হিজাববিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
সমালোচনার মুখে আরেফিন পোস্টটি সম্পাদনা করে লেখেন, “একদিকে রাজনীতি প্রোমোট করেন, অন্যদিকে নিষিদ্ধ। নোটটুকু এডিট করে দিলাম, নারী ও হিজাবের উপর চাপানোর অপচেষ্টা হতে পারে। নারী ও তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতায় আমার আজন্ম শ্রদ্ধা।”
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “এর মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে। দাড়িওয়ালা পুরুষ ও হিজাব পরা নারী নিয়ে এমন মন্তব্য বৈধ হতে পারে না। ইসলামপন্থিদের থামাতে যতই চেষ্টা করুন, তারা থামবে না।”
জবি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মন্তব্য করেন, “শামসুল আরেফিন রাজনীতি আর অভদ্রতার তফাৎ বুঝতে পারছেন না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মকারি করলেও কিছু জায়গায় তা অনুচিত। ‘হিজাব’ পরাদের সংগ্রামটাও তার মনে রাখা উচিত।”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “পর্দানশীল মুসলিম নারী নিয়ে কটূক্তি জাহেলিয়াতের চরম বহিঃপ্রকাশ। মুসলিম পরিবারের কেউ এমন কথা বলতে পারে না।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. বিলাল হোসাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম নারী বোরখা, হিজাব বা নিকাব পরিধান করেন। বোরখা পরা ছাত্রীদের বিষয়ে কটূ মন্তব্য করা বা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করায় কোনো মাহাত্ম্য নেই; বরং এতে কেবল ব্যক্তির নিজস্ব হীনমন্যতাই ফুটে ওঠে। আল্লাহ হেদায়েত দান করুন।”
প্রথম পোস্টে মন্তব্যকারী আহমাদ রেজা বলেন, “আমার মন্তব্যের জবাবের স্ক্রিনশট নিয়ে অনেক পরিচিত বন্ধু ও সিনিয়র পোস্ট করেছেন, যা আমি সচেতনতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বিষয়টিকে ধর্মীয় অবমাননা বা পর্দা নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগে জাতীয় ইস্যুতে রূপান্তর করে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার প্রবণতাও লক্ষ্য করেছি, যা আমি সমর্থন করি না।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা শামসুল আরেফিন বলেন, “এটি হিজাববিরোধী কটূক্তি নয়। বিষয়টি অন্যভাবে চালিয়ে দিয়ে নারী ও বোরখার ওপর চাপানোর চেষ্টা এক ধরনের দুষ্টুমি। আমি পোস্টে ছাত্র ও শিক্ষকের প্রসঙ্গ স্পষ্ট করেছি।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী