ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সফরে তারুণ্যনির্ভর দল ঘোষণা করেছে। মোট ছয়টি ওয়ানডে ম্যাচের এই ইউরোপ সফরে নেতৃত্বের ভার থাকছে অভিজ্ঞ ব্যাটার শেই হোপের কাঁধে।

সবার নজর কেড়েছেন তরুণ আগ্রাসী ব্যাটার আমির জঙ্গু। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে ৭৯ বলে শতরান করে যিনি ক্রিকেট মহলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন, তিনি এবারও দলে জায়গা করে নিয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন মাত্র ১৮ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জুয়েল অ্যান্ড্রু। যিনি আবারও জাতীয় দলে ফিরলেন।

চোটের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে না পারা শামার জোসেফ এবং ম্যাথিউ ফোর্ড এবার চাঙ্গা হয়ে স্কোয়াডে ফিরেছেন। তবে দলে নেই শিমরন হেটমেয়ার। কারণ, তিনি বর্তমানে ব্যস্ত আইপিএলে।

আরো পড়ুন:

দ.

আফ্রিকার বিপক্ষে পারলো না নারী ইমার্জিং দল

ড্রেসিংরুমে সেরা ফিল্ডারকে ‘মেডেল’ দিয়ে পুরস্কৃত

ক্যারিবীয় শিবিরে এসেছে কিছু পরিবর্তনও। বোলিং কোচ হিসেবে জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক ক্যারিবীয় পেসার রবি রামপালকে। আর আয়ারল্যান্ড অংশে দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন আইরিশ ক্রিকেটের পরিচিত মুখ কেভিন ও’ব্রায়েন। কোচিং স্টাফে থাকবেন তিনি।

সফরের সূচি অনুযায়ী, ২১ মে থেকে শুরু হবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর ২৯ মে থেকে ইংল্যান্ডের মাটিতে নামবে ক্যারিবীয়রা। ওয়ানডের পর রয়েছে আরও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ইংলিশদের বিপক্ষে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

একদিনে রেকর্ড ৩৫২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, মৃত্যু একজনের

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ভর্তি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগ ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮৯ ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৯৮ জন।

গত দুই দশকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাইয়ের শেষে কিংবা আগস্টের শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তবে এ বছর জুনের শুরুতেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। বাইরে থেকে বেশি আসছে সংকটাপন্ন রোগী। বরিশাল ও বরগুনায় রোগীর বিপরীতে পর্যাপ্ত শয্যা সংকটের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোগীদের অভিযোগ, স্যালাইন ও ওষুধের সংকট রয়েছে। প্লাটিলেট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। এ জন্য ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। একা কোনো সংস্থার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভাইরাসটি প্রতিরোধে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি নেওয়া দরকার। তবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ