দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো ধরনের সংঘাত চায় না ঢাকা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান হোক।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে পরররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনা যা ঘটেছে, আর পাকিস্তান কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটি অবহিত করার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। আমার কাছে তিনি কোনো সহযোগিতা চাননি। বাংলাদেশ চায় যে শান্তি বজায় থাকুক। উত্তেজনা প্রশমনে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উত্তেজনা বাড়তে পারে, এমন কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, এটাই বাংলাদেশের প্রত্যাশা। বাংলাদেশ চায় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান হোক।

ঢাকার বার্তা দিল্লিকে দেওয়া হবে কি না- উত্তরে তিনি বলেন, দিল্লি যদি ঢাকার কাছে জানতে চায়, তাহলে ঢাকা একই কথা বলবে। তবে আগ বাড়িয়ে কিছু বলবে না ঢাকা। ইসলামাবাদ থেকে যেহেতু ফোন এসেছে, তাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ শান্তি চায়, আমরা চাই না এখানে কোনো সংঘাত হোক।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় যুবলীগ সভাপতি ওমানী কাশেম গ্রেপ্তার 

দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৭) হত্যা মামলায় দেবিদ্বার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম ওমানীকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ (ডিবি)। শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর ছাতিপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবির ওসি মো.আব্দুল্লাহ। আবুল কাশেম ওমানী দেবিদ্বার পৌরসভা এলাকার মৃত মোহাব্বত আলীর ছেলে। তিনি দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অটোরিকশাচালক আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ সেপ্টেম্বর সে মারা যায়। সাব্বির দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত সাব্বিরের মামা মো. নাজমুল হক বাদী হয়ে  ৯৯ জনকে এজহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ সমকালকে বলেন, আবুল কাশেম ওমানী সাব্বির হত্যা মামলা ৫ নং এজাহারভুক্ত আসামি। ৫ আগস্টের পর তিনি কুমিল্লায় আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ