পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সাকিব আল-হাসান রাফি। এবার তিনি ওই কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক হয়েছেন। শুধু প্রচার সম্পাদকই নয় সভাপতি-সম্পাদক করা হয়েছে যাদের, তারাও ছিলেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সম্মুখভাগে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন পদ বঞ্চিতরা। সংবাদ সম্মেলন শেষে এর প্রতিবাদে সদ্যঘোষিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম রুপুসহ দুই ছাত্রদল নেতা পদত্যাগ করেন।

গত ৬ মে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী ও সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রবিউল ইসলামকে সভাপতি ও আসিবুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের ১০ সদস্যের কমিটি অনুমোদন করা হয়। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় এই কমিটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশকিছু ভাইরাল হওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এবং পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, বর্তমান ছাত্রদলের কমিটি পাওয়া মো.

রবিউল নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি ও তাদের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তবে তার কোনো পদ ছিল না। আর সাধারণ সম্পাদক আসিবুল হক কখনো ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না। তবে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে অনুমোদিত কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে সাকিব আল-হাসান রাফি নামের ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন প্রচার সম্পাদক এবং ৬ এপ্রিল ২০২৫ এ প্রকাশিত ছাত্রদলের কলেজ কমিটিতেও প্রচার সম্পাদক পদ পেয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাফসান আহম্মেদ রাকিব স্টাটাস দিয়ে লিখেছেন, মজার ব্যাপার হলো একজন ছোটভাই ছাত্রলীগে যে পোস্টে ছিল, ছাত্রদলেও সেই পোস্টেই আছে—শুধু নামটা বদলেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া বর্তমান কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, কখনো ছাত্রলীগ করিনি। তবে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে ওইদিন আমাকে ডেকে নিয়ে প্রোগ্রাম করিয়েছে ছাত্রলীগ।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সাকিব আল-হাসান রাফি বলেন, আমার পরিবার ও আমি সবসময় বিএনপি করে আসছি। আমি যদি এই কলেজে লেখাপড়া করি তাহলে ছাত্রলীগের কমিটিতে আমার নাম থাকতে হবে এ কথা বলে জোরপূর্বক তখনকার ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সম্পাদক আমার নাম রাখে। কিন্তু আমি কখনো ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করিনি। আমি ছাত্রদলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।

এ বিষয়ে জানতে মহিপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি তানজিল আলম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা মোবাইল রিসিভ করেনি।

জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী বলেন, আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কমিটি দিয়েছি। আমরা জেনেছি তারা দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। তবে তাদের বিষয়ে যে অভিযোগগুলো আসছে, তা খতিয়ে দেখছে দল। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরও খোঁজখবর নিয়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র কল জ ছ ত র র জন ত র কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে

জাস্টিন ট্রুডো যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অনেকের কাছে এক আদর্শ প্রেমের গল্প। কিন্তু ২০২৩ সালের আগস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত হন। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের তুমুল প্রেমময় ছবি, সন্তানদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, এমন জুটির ভাঙন কখনো সম্ভব নয়। হাতে হাত রেখে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটাবেন তাঁরা। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক।

‘এক বৈশাখে দেখা হল দুজনার/ জ্যৈষ্ঠিতে হল পরিচয়/ আসছে আষাঢ় মাস মন তাই ভাবছে/ কি হয় কি হয়!’

ট্রুডো ও সোফির প্রথম দেখা বৈশাখ মাসে হয়তো হয়নি। তাঁদের দেখা হয়েছিল শৈশবে। সোফি ছিলেন ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের স্কুলের সহপাঠী ও বন্ধু। এই সূত্রে ট্রুডো পরিবারে যাতায়াত ছিল সোফির। সে সময় তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত হয় অনেক বছর পরে, ২০০৩ সালে, যখন তাঁরা একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ট্রুডোর বয়স তখন ৩১, আর সোফির ২৮।

সোফি তখন একজন টেলিভিশন ও রেডিও উপস্থাপক। ট্রুডো ছিলেন একজন শিক্ষক ও বক্তা। সেই অনুষ্ঠানে তাঁদের মধ্যে এক গভীর সংযোগ তৈরি হয়। সোফি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি যেন তাঁর ‘আত্মার আয়না’ দেখতে পাচ্ছিলেন। ট্রুডোও সোফির বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও সামাজিক সচেতনতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০০৪ সালের অক্টোবরে সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। সোফি সানন্দে রাজি হন।

জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া, ভিডিও ভাইরাল
  • ‘ট্রাম্প-মোদি ব্রোমান্স’ সত্ত্বেও ভারত–মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে কেন, সামনে কী
  • সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও নারী কেন ন্যায্য হিস্যা পাবে না
  • টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
  • পঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের কর্মী নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
  • এখানে অযোগ্যরা তেল দেওয়া ছাড়া জায়গা তৈরি করতে পারে না
  • ঢাবিতে বিক্ষোভে মেয়েদের ভিডিও করার সময় কলেজছাত্র আটক
  • মোদির অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ালো
  • মাগুরায় ‘রেডি টু কুক ফিশ’ প্রযুক্তিতে সফল উদ্যোক্তা লিজা
  • ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে