Samakal:
2025-08-10@16:48:06 GMT

বদলে যাচ্ছে উপকূলের কৃষি

Published: 10th, May 2025 GMT

বদলে যাচ্ছে উপকূলের কৃষি

পিচঢালা গ্রামীণ সড়ক। চারদিকে সবুজ। সড়কের দক্ষিণ পাশে মেঘনা নদীর একটি শাখা। শান্ত সেই নদীর মোহনার এক কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ডাল ও তৈলবীজ বর্ধন খামার, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এবং বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)। ওই সড়কের পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। বিশাল আয়তনের এসব গবেষণা কেন্দ্র নোয়াখালীর উপকূলীয় সুবর্ণচরের কৃষকের বাতিঘর হিসেবে কাজ করছে। সম্ভাবনার উপকূলে পানি সংকট, লবণাক্ততাসহ নানা দুর্যোগে কৃষি পড়েছে চ্যালেঞ্জে। তবুও জোয়ার-ভাটার উপকূলে কৃষক নতুন স্বপ্ন দেখেন।
কৃষকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এত চ্যালেঞ্জ-ঝুঁকি সত্ত্বেও কৃষির এই শস্য নিবিড়ায়নের পেছনে কোন কোন শক্তি কাজ করেছে? তারা প্রধান উদ্দীপনা হিসেবে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, দক্ষ সম্প্রসারণ সেবা, কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, সরকারি সহায়তা উল্লেখ করেছেন। লবণাক্ততার কারণে এক যুগ আগে যে জমিতে ধানের চাষ করা যেত না, সেখানে এখন বছরজুড়ে রকমারি ফসল ফলাচ্ছেন কৃষকরা। লোনা জমি এখন হয়ে উঠেছে উর্বরভূমি। নদীর বুকে জেগে ওঠা নতুন চরগুলো পরিণত হয়েছে সবজির রাজ্যে। তবে কৃষক দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন পানি সংকট, দুর্বল বাজার ব্যবস্থা, ভরা মৌসুমে ফসলের দাম পড়ে যাওয়া ও কৃষিঋণ পেতে ভোগান্তির কথাও।
এখানকার চাষাবাদ পদ্ধতি দেশের অন্য সব এলাকা থেকে আলাদা। একই সঙ্গে জলাশয়ে হচ্ছে মাছ চাষ, পানিতে সাঁতার কাটছে হাঁস। তার পাড়ে কখনও শিম, কখনও শসা, কখনও আবার করলা, লাউ, কুমড়া, পটোলের চাষ হচ্ছে। বাড়ির পাশের জলাশয়ের পানির ওপর গড়া মাচায় লতানো সবজি চাষাবাদের এই পদ্ধতির নাম ‘সর্জন’।
এক সময়ের বনদস্যুকবলিত সুবর্ণচরের দক্ষিণের চরাঞ্চলে কৃষিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রায় ১৬৭ একর পতিত জমিতে ২০১৩-১৮ মেয়াদে ‘নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ডাল ও তৈলবীজ বর্ধন খামার এবং বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিএডিসি। নতুন করে ২০১৯ থেকে ২০২৪ মেয়াদে ‘ডাল ও তৈলবীজ বর্ধন খামার আধুনিকীকরণ এবং চুক্তিবদ্ধ চাষিদের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বিএডিসির মতো অন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোও শুধু জাত উদ্ভাবন নয়, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।
যেমন দুই একর জমিতে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি-৭৪ জাতের ধান চাষ করেছেন সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা এলাকার কৃষক মো.

মোস্তফা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি উদ্ভাবিত এই জাতের প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ৯ দশমিক ২৩ টন, যা বাজারে থাকা যেকোনো হাইব্রিড ধানের চেয়ে বেশি। নিজের ক্ষেতে চোখ জুড়ানো সোনালি ধান দেখে উচ্ছ্বসিত মোস্তফা। শুধু তিনি নন, উপজেলার কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। চরবাটা ইউনিয়নের কৃষক নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, কয়েক বছর আগেও চাষের জমি পতিত পড়ে থাকত। এখন সেসব জমিতে সূর্যমুখীসহ নানান ফসল উৎপাদন হচ্ছে। 
গতকাল শনিবার কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সুবর্ণচরের কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দেখেন। স্থানীয় কৃষকসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় সচিব বলেন, ‘সুবর্ণচরে পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমরা সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। খাল খনন, আধুনিক সেচ নালা, সেচ স্কিম, কমিউনিটিভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনা, স্লুইস গেট মেরামতের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের পানির দক্ষ ব্যবহার সম্ভব। লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা ও খরা প্রতিরোধী ফসলের জাত উপকূলের কৃষির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিনির্ভর কৃষির সম্প্রসারণ আরও কীভাবে বাড়ানো যায় সেই উদ্যোগ নেব। আধুনিক সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা ও শক্তিশালী বাজার তৈরি করে আমরা মূল্য বঞ্চনা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। প্রযুক্তি, পরিকল্পনা, বাজেট, আর কৃষকের ঘাম-শ্রমের সমন্বয় করতে পারলে সুবর্ণচরের মতো অন্য উপকূলীয় এলাকাগুলোও রোল মডেল হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ উপক ল

এছাড়াও পড়ুন:

বুবলীর যত লুক

লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। কখনও লেহেঙ্গায়, কখনও স্কার্টে আবার কখন শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে তোলেন বুবলী। চলুন বুবলীর কিছু সাম্প্রতিক লুক দেখে নেওয়া যাক।

কনের সাজে সাদা লেহেঙ্গায় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। একটি ফটোশুটে এই লুকে ধরা দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি শেয়ার করে বুবলী লেখেন, ‘‘হলো সবচেয়ে অসাধারণ রঙ কারণ এর ভেতরে আপনি রংধনুর সব রঙ দেখতে পাবেন।’’

হৃদয় ভর্তি ভালোবাসা আর ভালোবাসায় শুধু তুমি এই ক্যাপশনসহ নিচের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন বুবলী। একেবারে সিন্ধ ও পরিপাটি রূপে ধরা দিয়েছেন নায়িকা। 

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর অবকাশ যাপন, মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দুই স্ত্রীকে খুশি রাখা অসম্ভব, শাকিব প্রসঙ্গে জয়

প্রকৃতিকে ভালোবাসেন বুবলী। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চান। নিচের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে নায়িকা লিখেছেন, ‘‘ভবিষ্যতে পুরো দমে কৃষি কাজ করবো, ফুল, ফল, শাক সবজি চাষ করবো, হাঁস মুরগি, গরু ছাগল পালবো..। কারণ প্রকৃতি একটু বেশীই সুন্দর, তাই প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে চাই।’’

শাড়িতেও কম যান না বুবলী। নিজেকে শাড়িতে জড়িয়ে তৈরি করেছেন এলিগেন্ট লুক। খোঁপায় পরা বেলী ফুল তাকে আরও বেশি সিগ্ধ লুক এনে দিয়েছে। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বুবলীর যত লুক