রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি
Published: 11th, May 2025 GMT
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অসময়ে শুরু হয়েছে তিস্তার ভাঙন। শুকনো মৌসুমে নদীতে তেমন পানিপ্রবাহ না থাকলেও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই মাসে অন্তত ৫০ একর ফসলি জমিসহ ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে রংপুর-কাকিনা সড়ক থেকে ভাঙনের দূরত্ব প্রায় ৩০০ মিটার। স্থানীয়দের শঙ্কা, ভাঙন অব্যাহত থাকলে আসন্ন বর্ষায় শংকরদহ গ্রাম নিশ্চিহ্ন হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতে পড়বে সড়কও।
শনিবার ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শংকরদহ গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অব্যাহত ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। গত দুই মাসে উঠতি ফসল ভূট্রা, গম ও মিষ্টি কুমড়াসহ অন্তত ৫০ একর ফসলি জমি ও ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ভাঙনের শিকার করিম মিয়া বলেন, ‘নগদে (সম্প্রতি) ভাঙনে হামার সউগ শ্যাষ হয়া গেইল বাহে। বাড়ি ভাঙিল, জমিগুলাও গেইল। পত্যেক দিনেই ভুট্রাক্ষেতসহ জমিগুলা নদীত ভাঙি যাইতোছে।’ ভাঙন অব্যাহত থাকলে শংকরদহ গ্রামটা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। এলাকার ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, শংকরদহ গ্রামে প্রায় ৪৫০ পরিবারের বাস ছিল। কয়েক বছরে বন্যাসহ তিস্তার ভাঙনে সব হারিয়ে পবিারগুলো এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাকি ছিল প্রায় ৮০ পরিবার, অসময়ে নদীভাঙনে গত দুই মাসে করিম মিয়া, আলীমুদ্দিন ও আব্দুর রশিদসহ ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলের ক্ষেত।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, অব্যাহত ভাঙনে শংকরদহ গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন এসে ঠেকেছে রংপুর-কাকিনা সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার দুরে। এখনি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে আসন্ন বর্ষায় হুমকিতে পড়বে সড়কটি। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, সরেজমিনে দেখার পর ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, অসময়ে তিস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে গঙ্গাচড়ার শংকরদহ এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে ভাঙনরোধের কাজ করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অসময়ে শুরু হয়েছে তিস্তার ভাঙন। শুকনো মৌসুমে নদীতে তেমন পানিপ্রবাহ না থাকলেও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই মাসে অন্তত ৫০ একর ফসলি জমিসহ ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে রংপুর-কাকিনা সড়ক থেকে ভাঙনের দূরত্ব প্রায় ৩০০ মিটার। স্থানীয়দের শঙ্কা, ভাঙন অব্যাহত থাকলে আসন্ন বর্ষায় শংকরদহ গ্রাম নিশ্চিহ্ন হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতে পড়বে সড়কও।
শনিবার ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শংকরদহ গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অব্যাহত ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। গত দুই মাসে উঠতি ফসল ভূট্রা, গম ও মিষ্টি কুমড়াসহ অন্তত ৫০ একর ফসলি জমি ও ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ভাঙনের শিকার করিম মিয়া বলেন, ‘নগদে (সম্প্রতি) ভাঙনে হামার সউগ শ্যাষ হয়া গেইল বাহে। বাড়ি ভাঙিল, জমিগুলাও গেইল। পত্যেক দিনেই ভুট্রাক্ষেতসহ জমিগুলা নদীত ভাঙি যাইতোছে।’ ভাঙন অব্যাহত থাকলে শংকরদহ গ্রামটা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। এলাকার ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, শংকরদহ গ্রামে প্রায় ৪৫০ পরিবারের বাস ছিল। কয়েক বছরে বন্যাসহ তিস্তার ভাঙনে সব হারিয়ে পবিারগুলো এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাকি ছিল প্রায় ৮০ পরিবার, অসময়ে নদীভাঙনে গত দুই মাসে করিম মিয়া, আলীমুদ্দিন ও আব্দুর রশিদসহ ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলের ক্ষেত।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, অব্যাহত ভাঙনে শংকরদহ গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন এসে ঠেকেছে রংপুর-কাকিনা সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার দুরে। এখনি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে আসন্ন বর্ষায় হুমকিতে পড়বে সড়কটি। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, সরেজমিনে দেখার পর ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, অসময়ে তিস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে গঙ্গাচড়ার শংকরদহ এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে ভাঙনরোধের কাজ করা হবে।