রাজবাড়ীতে পাটকলের দুই গুদামে আগুন, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
Published: 11th, November 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় অবস্থিত অরিয়েট জুট মিলস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের চেষ্টায় রাত আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পুরোপুরি নেভেনি।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক–সংলগ্ন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে অরিয়েট জুট মিলস অবস্থিত। পাটকল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্থানীয় লোকজন মিলের পেছনের দিকে একটি পাটবোঝাই গুদাম থেকে আগুনের শিখা দেখতে পায়। গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেওয়া হয়। তারা দ্রুত এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা আরও ছড়িয়ে পড়ায় পাশের আরেকটি গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সময় মিলে নিজের অফিসে ছিলেন অরিয়েট জুট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসনিক) হরে কৃষ্ণ বৈরাগী। তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পরপর মিলের পেছনের দিকে একটি গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে অনেকে চিৎকার করতে থাকে। ওই সময় ওই গুদামে কোনো শ্রমিক ছিলেন না। পরে দ্রুত গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার সূত্রপাত বলতে পারছেন না তিনি।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী দিদার আহম্মেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পাটকলের পেছনের দুটি বড় গুদামে ৩০–৩৫ হাজার মণ পাট মজুত করা ছিল। কীভাবে আগুন লেগেছে, তার সঠিক কারণ বলতে পারছেন না। তবে ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। প্রাথমিকভাবে ১২–১৪ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তবে আগামীকালর ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ বলা যেতে পারে।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট, পরবর্তী সময়ে রাজবাড়ী থেকে আরেকটি ইউনিট যৌথভাবে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। এখনো মিলে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরবর্তী জানা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে হজ করতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার বাংলাদেশি
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৬ সালের পবিত্র হজ নিয়ে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুসারে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করতে পারবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সৌদি আরবের জেদ্দায় এ চুক্তি হয়। বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ চুক্তিতে সই করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তি সইয়ের সময় ধর্ম উপদেষ্টা সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি হজমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি সম্পর্কেও সৌদি মন্ত্রীকে জানান।
এ ছাড়া মিনা, আরাফা ও মুজদালিফার তাঁবু ব্যবস্থাপনা, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সৌদি মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ। এ সময় সৌদি মন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হজ ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে বাংলাদেশি হাজিদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এতে তিনি সম্মতি জানিয়েছেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাসান মানাখারা, বাংলাদেশের ধর্মসচিব মো. কামাল উদ্দিন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন জাফর এইচ বিন আবিয়াহ, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আয়াতুল ইসলাম, জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম সচিব (হজ) মঞ্জুরুল হক ও কাউন্সিলর (হজ) মো. কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।