অফশোর ব্যাংকিংয়ের পরিধি বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
Published: 11th, November 2025 GMT
এক ব্যাংকের অফশোর ইউনিট এখন থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহককেও ঋণ দিতে পারবে। আগে অফশোর ইউনিটগুলো থেকে শুধু নিজ ব্যাংকের গ্রাহকদের ঋণ বা সেবা দেওয়া যেত। এখন এই সেবার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের কার্যক্রম সম্প্রসারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অফশোর ব্যাংকিং-সংক্রান্ত আগের নীতিমালা সংশোধন করে বাড়তি কিছু সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। মূলত বাণিজ্য অর্থায়ন কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, আগের নিয়ম অনুযায়ী অফশোর ইউনিটগুলো শুধু তাদের নিজস্ব ব্যাংকের এডি শাখার মাধ্যমে বিশেষায়িত ও অ-বিশেষায়িত অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্য অর্থায়ন করতে পারত। বাণিজ্য অর্থায়নের মধ্যে ছিল বায়ার্স ক্রেডিট, স্বীকৃত বিলে অর্থায়নসহ আরও নানা পদ্ধতি। নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংশোধিত নীতিমালায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের ব্যবসা বা সেবার পরিধি বাড়ানো হয়েছে।
নতুন বিধান অনুযায়ী, অফশোর ইউনিটগুলো তাদের নিজস্ব ব্যাংকের এডি শাখা ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকের এডি (অনুমোদিত পরিবেশক বা অথরাইজড ডিলার) শাখার মাধ্যমে বাণিজ্য অর্থায়ন করতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে সব ঝুঁকি ও ঋণসীমা মূল্যায়ন করে তা যথাযথভাবে দিতে হবে।
জানা যায়, বিশেষায়িত অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে অফশোর ইউনিট এখন সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানাধীন নয় এমন প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব এডি শাখা এবং অন্যান্য ব্যাংকের এডি কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য বাণিজ্য অর্থায়ন বা ট্রেড ফাইন্যান্স করতে পারবে। একইভাবে অ-বিশেষায়িত অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের জন্যও অফশোর ইউনিট এখন বায়ার্স ক্রেডিট, স্বীকৃত বিল অর্থায়ন এবং অন্যান্য অনুমোদিত বাণিজ্য অর্থায়ন করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ অফশোর অর্থায়ন কার্যক্রমে আন্তব্যাংক সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ পদক্ষেপ দেশের বাণিজ্য অর্থায়নের ইকোসিস্টেমকে গভীরতর ও বৈচিত্র্যময় করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংকের এডি শাখার সঙ্গে অফশোর ইউনিটগুলোর কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোর ফলে অফশোর তারল্য আরও দক্ষভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর ফলে লেনদেনজনিত জটিলতা কমবে এবং আর্থিক খাতে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ উৎসাহিত হবে।
অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের অভ্যন্তরে পৃথক এক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বিদেশি কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এবং বিদেশি উৎস থেকে আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ব্যবসা হয় অফশোর ব্যাংকিংয়ে। অফশোর ইউনিটের ব্যবসায়ের পুরোটাই হয়ে থাকে বৈদেশিক মুদ্রায়। ব্যাংকের প্রচলিত কোনো নিয়ম বা নীতিমালা অফশোর ব্যাংকিংয়ে প্রয়োগ হয় না। কেবল মুনাফা ও লোকসানের হিসাব যোগ হয় ব্যাংকের মূল হিসাবে। এখন দেশের প্রায় ৪০টি ব্যাংক অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ব্যবসা করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অফশ র ব য ইউন ট র ক র এড ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ, সদরপন্থীদের বর্জন
ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ হয়েছে। ইরাকের পাশাপাশি ওই অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে গভীরভাবে নজর রাখছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ভোট শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই রাজধানী বাগদাদের বিলাসবহুল আল-রশিদ হোটেলে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ভোট দেন। এদিকে এই নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছেন প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতাদা আল–সদর।
দুপুর পর্যন্ত এএফপির সংবাদদাতারা দেশটির বেশ কয়েকটি বড় শহরে তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতি দেখতে পান। নির্বাচনী পোস্টারে সজ্জিত বাগদাদের সড়কগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়া লোকজনের উপস্থিতি তেমন ছিল না বললেই চলে। তবে কিছু এলাকায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে।
ইরাকের পার্লামেন্টের ৩২৯টি আসনে ভোটার সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখের বেশি। কম ভোটার উপস্থিতির জন্য মুকতাদা আল–সদরের বর্জনের ডাক অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।