চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন এলাকায় যেকোনো মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও পথসভা আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা ১ মাস বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

মেঘনায় নৌ পুলিশের অভিযানে ২৮ জেলে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশে ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের প্রধান কেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর। প্রতিদিন বন্দরের ভেতর এবং আশপাশের সড়ক দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লং ভেহিকেল ও প্রাইম মুভার চলাচল করে। এ কারণে বন্দরের সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাম্প্রতিক সময়ে বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক ও শ্রমিক সংগঠনের মিছিল ও সমাবেশের কারণে যানজট তৈরি হয়। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮ এর ৩০ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বন্দর এলাকার বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নম্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড়, সল্টগোলা ক্রসিংসহ পুরো বন্দরসংলগ্ন এলাকায় রাজনৈতিক, শ্রমিক বা সামাজিক সংগঠনের যেকোনো কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে, এই এলাকায় গত ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ দিনের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সিএমপি। নতুন ঘোষণার মাধ্যমে সেই নিষেধাজ্ঞা আরো এক মাস বাড়ানো হলো।

ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ, সদরপন্থীদের বর্জন

ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ হয়েছে। ইরাকের পাশাপাশি ওই অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে গভীরভাবে নজর রাখছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ভোট শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই রাজধানী বাগদাদের বিলাসবহুল আল-রশিদ হোটেলে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ভোট দেন। এদিকে এই নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছেন প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতাদা আল–সদর।

দুপুর পর্যন্ত এএফপির সংবাদদাতারা দেশটির বেশ কয়েকটি বড় শহরে তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতি দেখতে পান। নির্বাচনী পোস্টারে সজ্জিত বাগদাদের সড়কগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়া লোকজনের উপস্থিতি তেমন ছিল না বললেই চলে। তবে কিছু এলাকায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে।

ইরাকের পার্লামেন্টের ৩২৯টি আসনে ভোটার সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখের বেশি। কম ভোটার উপস্থিতির জন্য মুকতাদা আল–সদরের বর্জনের ডাক অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ