ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সদস্য সন্তানদের মধ্যে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকালে সংগঠনের শফিকুল কবির মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

রুয়েট নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

জবি ছাত্রদলের ২ গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এসবিএসি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির  সদস্যদের  কৃতি সন্তানদের  উদ্দেশেঅধ্যাপক নিয়াজ বলেন, “তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ, জাতির উন্নয়নের চালিকাশক্তি। তোমদের শুধু  জিপিএ অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে নৈতিকতা, মানবিকতা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। তোমরা নিজেরা আলোকিত হলে তবেই পরিবার, সমাজ ও দেশ আলোকিত হবে।”

শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “ভালোভাবে লেখাপড়া করলে জীবনে সফলতা আসবেই।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাংবাদিকদের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ।

অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান বলেন, সাংবাদিকরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছেন। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অনেক সুযোগ আছে।

“আমি আশা করব, জাতির বিবেক হিসেবে সাংবাদিকরা দেশ গঠনে ভূমিকার রাখবেন,” বলেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষৎ। আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে আজকের বাচ্চাদের ওপর। তাদের সঠিক শিক্ষা ও গাইডলাইন দিতে পারলে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোবে। প্রত্যেক সন্তান তার মা-বাবা-সমাজ তথা দেশকে আলোকিত করবে। ডিআরইউর এই আয়োজনে বাচ্চাদের সঙ্গে সময় দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য ডিআরইউকে ধন্যবাদ।” 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআরইউর কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আমিনুল হক ভূইয়া, সুমন চৌধুরী, মো. সলিম উল্ল্যা (এস.ইউ সেলিম)। 

অনুষ্ঠানে এসএসসি ২০২৫-এর ২৩ জন এবং এইচএসসি ২০২৪-এর ১৪ জনসহ মোট ৩৭ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তাদের হাতে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। এসবিএসি ব্যাংক পিএলসির পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আসাদুল্লাহিল গালিবকে।

ঢাকা/এএএম/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অর্থের বিকল্প সংস্থান খোঁজা জরুরি: ওরলা মারফি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা ২০২৩ সালের পর থেকে কমছে। এ ধারা এ বছরও অব্যাহত রয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে কক্সবাজারে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অর্থের বিকল্প সংস্থান খুঁজে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় একটি হোটেলে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন ডক্টরস উইদআউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) এদেশীয় প্রতিনিধি ওরলা মারফি। বাংলাদেশে জরুরি চিকিৎসা সেবায় আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কার্যক্রমের নানা দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।

ওরলা মারফি জানান, এমএসএফকে তহবিলের জন্য অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতো দাতাগোষ্ঠী কিংবা সরকারের ওপর নির্ভর করতে হয় না। মূলত ব্যক্তিগত পরিসরে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এমএসএফের ৯০ শতাংশ তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ফলে সামগ্রিকভাবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তায় ঘাটতি দেখা দিলেও এর রেশ এমএসএফের কর্মকাণ্ডে পড়েনি।

রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তায় তহবিল ঘাটতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওরলা মারফি বলেন, পরিস্থিতি এখন যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে রোহিঙ্গাদের জন্য বিকল্প অর্থের সংস্থান খুঁজে নেওয়াটা জরুরি হয়ে গেছে। কারণ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। আবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার প্রবণতাও বন্ধ হয়নি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। ফলে চাপ তৈরি হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি হয়নি উল্লেখ করে এমএসএফের এদেশীয় প্রতিনিধি বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে রাখাইনে এমএসএফের মানবিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। আর সেখানকার সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যা–ই হোক না কেন সেখানে মানবিক সহায়তা চালু রাখা প্রয়োজন।

আরও পড়ুনতহবিল–সংকট কাটলে দ্রুতই রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কেন্দ্রগুলো চালু হবে: ইউনিসেফ০৩ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অর্থের বিকল্প সংস্থান খোঁজা জরুরি: ওরলা মারফি
  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  • মেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তিতে আবেদন শুরু, সরকারি মেডিকেলে আসন পুনর্বিন্যাস
  • সাংবাদিকতার সত্য, সাংবাদিকতার সাহস
  • মানবিক থেকে পড়েও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শাহীন আক্তারের গল্প যেন অনুপ্রেরণার
  • মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু মঙ্গলবার
  • সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন সিআইডির
  • এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৬: আপাতত নির্বাচনী পরীক্ষা নয়, চলবে ক্লাস
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড, পেলেন ৪৪ শিক্ষার্থী ও ৩০ শিক্ষক