‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ ট্রাম্পকে উপহার দিচ্ছে কাতার, দাম ৪ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা
Published: 12th, May 2025 GMT
বিলাসবহুল ডাইনিং, বেডরুম, বোর্ডরুম, লাইব্রেরি, কী নেই বিমানে! তাই এর নাম ‘ফ্লাইং প্যালেস।’ বাংলায় যাকে বলে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমনই একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮০০ উড়োজাহাজ উপহার দিচ্ছে কাতারের রাজপরিবার।
উড়োজাহাজটির দাম বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে মার্কিন সরকারের বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে দামি উপহার হবে এটি। খবর- নিউইয়র্ক টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপহারটি গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। উড়োজাহাজটিকে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত ‘এয়ারফোর্স ওয়ানের’ পদমর্যাদায় উন্নীত করা হতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের নাম ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান’। এটা একটি পুরনো ৭৫৭ বোয়িং জেট। ২০১১ সালে এই উড়োজাহাজটি কিনেছিলেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একটি বাণিজ্যিক বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজের দাম প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা)।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান এখন কাতার থেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে এতে আরও কিছু আপগ্রেড করা হবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ইনস্টল করা হবে। তাই কিছুটা সময় লাগতে পারে।
তবে কিছু আইনি জটিলতার মুখেও পড়তে হতে পারে ট্রাম্পকে। কারণ আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি সরকারের কাছ থেকে উপহার গ্রহণে কিছু বিধিনিষেধ আছে। রাষ্ট্রপতি বা অন্যান্য ফেডারেল কর্মকর্তারা বিদেশি সরকার থেকে কোনও উপহার বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না, যদি না আমেরিকার কংগ্রেসের অনুমোদন থাকে। এই বিমানটি যদি উপহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তবে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র উপহ র গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
পিডিবির কর্মকর্তাকে হুমকির সঙ্গে জড়িত না থাকার দাবি এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধাদান ও গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আনিস নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে ২৫ জুন রাতে প্রথম আলো অনলাইনে ‘পিডিবির কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পিডিবির বক্তব্যের ভিত্তিতে করা এ প্রতিবেদনের আংশিক তথ্য নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সাইফুর রহমান।
প্রতিবেদনে পিডিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি তুলে ধরা হয়। এতে পিডিবির কর্মকর্তাকে হুমকিদানকারী আনিস নামের ব্যক্তি এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের পক্ষ হয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক পত্রে সাইফুর রহমান বলেছেন, আনিস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের কোনো ব্যবসায়িক চুক্তি নেই। আনিস ব্যক্তিগতভাবে পিডিবিতে যান।
এতে আরও বলা হয়, আনিসের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে পিডিবির কাজ করে এস কমার্শিয়াল। পাওনা টাকা চেয়ে আনিস তাগাদা দিচ্ছিলেন। কিন্তু পিডিবি থেকে কাজের বিল পরিশোধ না করায় পাওনা টাকা ফেরত দিতে পারছিল না এস কমার্শিয়াল। দুই বছর ধরে বিলটি আটকে আছে। বিল পেলে টাকা ফেরত দেবে বলে আনিসকে জানানো হয়। তবে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে তারা আনিসকে পিডিবিতে পাঠায়নি। এ নিয়ে তিনি ২৫ জুন মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত প্রতিবেদনে পিডিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য ছাপা হয়েছে। এখানে প্রথম আলো বা প্রতিবেদকের কোনো বক্তব্য নেই।