প্রায় এক দশক প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর অবশেষে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফুটবল মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও আর্জেন্টাইন মডেল জর্জিনা রদ্রিগেজ। সম্প্রতি ডায়মন্ডের দামি আংটি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন রোনালদো। আর সেই প্রস্তাব আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন জর্জিনা।

তবে বিয়ের আগে আলোচনায় এসেছে তাদের গোপন একটি চুক্তি। যা আসলে বিচ্ছেদের শর্তাবলি নির্ধারণ করে। পর্তুগিজ ম্যাগাজিন টিভি গুইয়া জানিয়েছে, রোনালদো ও জর্জিনা প্রায় ১০ বছর ধরে একসঙ্গে আছেন এবং চার সন্তানের অভিভাবক। জর্জিনা প্রথমবার রোনালদোর সন্তানের মা হওয়ার সময়ই এই শর্তে দু’জন স্বাক্ষর করেছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী, যদি ভবিষ্যতে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে, তবে আমৃত্যু জর্জিনার জন্য ভরণপোষণ দেবেন রোনালদো। মাসে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার) পাবেন তিনি। এছাড়া রোনালদোর মাদ্রিদের লা ফিনকায় অবস্থিত বিলাসবহুল বাড়িটিও জর্জিনার থাকার জন্য নির্ধারিত থাকবে।

আরো পড়ুন:

সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনার দুই ম্যাচ, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আরও দুই

সাফ শিরোপার মিশনে ভুটান যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল

এ শর্তের উদ্দেশ্য— যাতে বিচ্ছেদের পরও সন্তানদের লালন-পালনে কোনো সমস্যা না হয়। রোনালদোর মেয়ে আলানা মার্টিনার জন্মের পর থেকেই এই চুক্তি কার্যকর হয়েছে বলে জানায় টিভি গুইয়া।

ম্যাগাজিনটির দাবি, বিচ্ছেদ হলে জর্জিনা রোনালদোর বিপুল সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের দাবিদার হবেন। বর্তমানে রোনালদোর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ হাজার ১৫৬ কোটি)। ফলে বিয়ের পর কোনো কারণে সম্পর্কের ইতি ঘটলে আর্থিকভাবে জর্জিনার প্রাপ্তি হবে বিশাল অঙ্কের। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

এআই নিয়ে টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সতর্কবার্তা

১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমা দেখেছেন অনেকেই। জেমস ক্যামেরনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সেই সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির স্কাইনেট নামের একটি কাল্পনিক এআইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি পুরো মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। কাল্পনিক সেই এআইয়ের স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন এবার বাস্তবের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি লাগামহীনভাবে সামরিক প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে মানবসভ্যতা টার্মিনেটরের মতো সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে।

রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানান, সামরিক ক্ষেত্রে এআইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। মানবজাতি এখন একসঙ্গে তিনটি বড় সংকটের মুখে। এগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং অতিবুদ্ধিমান এআই। এই তিনটি সংকট একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করছে, যা মানব ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এআই পারমাণবিক বিপর্যয়ের সমতুল্য দুর্যোগ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ৩৬ শতাংশ এআই গবেষক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগির এআই ও পারমাণবিক অস্ত্রের সমন্বয় প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

যুদ্ধাস্ত্রে এআই ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণে এর সীমিত ও পরিকল্পিত ব্যবহারকে সমর্থন করেন ক্যামেরন। তার মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারে। এআই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার গতি বাড়ালেও চিত্রনাট্যকার বা অভিনেতার জায়গা নিতে পারবে না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ