জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরির পাশাপাশি বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। পুরস্কার হিসেবে উঠে এসেছেন টেস্টের সেরা অলরাউন্ড র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে। তবে তাতেও সন্তুষ্ট নন মিরাজ।
তার চোখ র্যাংকিংয়ের প্রথম স্থানে। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিরাজ বলেন, ‘‘অবশ্যই খুবই ভালো লাগার বিষয়। সত্যি কথা বলতে এক নম্বরে আসতে পারলে আরো ভালো লাগবে।’’
দ্বিতীয় স্থানে আসা ভালোলাগার বিষয় হলেও মিরাজের চোখ একে, ‘‘লক্ষ্য তো অবশ্যই অনেক উপরে যাওয়ার। দিন শেষে নিজে ফিট থাকতে হবে, ভালো খেলতে হবে, পারফরম্যান্স করতে হবে, তো ওভাবে অনেক বড় চিন্তা করছি না। ছোট ছোটভাবে আগাতে চেষ্টা করছি।’’
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ সিরিজকে সামনে রেখে নতুন কোচ নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
ভারতের সঙ্গে খেললে কোহলিকে মিস করবেন লিটন
এদিকে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হলেন শন টেইট। বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে কোচিংয়ের সময় মিরাাজ ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়ক। পুরোনো অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন এই অলরাউন্ডার।
‘‘দেখেন শন টেইটের সঙ্গে এর আগে আমি কাজ করেছিলাম। আমি যেবার বিপিএলে অধিনায়ক ছিলাম চিটাগংয়ের সেবার শন টেইট কিন্তু কোচ ছিল। তো আমার কাছে মনে হয় ওর সাথে বোঝাপড়াটা খুব ভালো ছিল। একজন মানুষ হিসেবে ও (শন টেইট) অনেক ভালো। অনেক দয়ালু এবং সাহায্যকারী।’’
২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ডাগআউটে থাকবেন টেইট। মিরাজ মনে করেন তার মতো কোচ দলের জন্য ভালো।
‘‘আমার মনে হয় এরকম টাইপের কোচ থাকা দলের জন্য খুবই ভালো। আমি নিজেও ওকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি জানি ও খেলোয়াড়দের অনেক সাপোর্ট করে। এবং ও নিজে যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে। ও জানে এখানে কি করতে হবে। আমার মনে হয় এটা ভালো পজিটিভ দিক আমাদের দলের জন্য যে ওকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’’
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স ন ট ইট
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভাইকে মেরে ফেলল, কিছুই করতে পারলাম না’
ভালো নেই ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় মুখ সামিরা খান মাহি। রবিবার (২৯ জুন) জানান, তার কাজিন আবু শাহেদ রাসেল মারা গেছেন। তবে মাহির অভিযোগ, চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে তার ভাই। তার ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মাহি তার ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। একটিতে এ অভিনেত্রী বলেন, “আমার ভাইটা চলে গেল। ওকে মেরে ফেলল আর আমরা কিছুই করতে পারলাম না।”
অন্য একটি স্ট্যাটাসে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন সামিরা খান মাহি। এ লেখার শুরুতে মাহি বলেন, “আমি গভীর শোকের সাথে জানাচ্ছি, আমার কাজিন ছোট ভাই যে আমাদের সাথে আমাদের বাসায় থাকত একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে। একটি নোয়া গাড়ি ২-৩ বার ধাক্কা দিয়ে ওকে ফেলে দেয়, গাড়িটি পানিতে পড়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর দুইজন মানুষ গাড়ির গ্লাস ভেঙে পানির নিচ থেকে ওকে তোলে। কিন্তু এরপর যা ঘটে, সেটা আরো ভয়ংকর।”
আরো পড়ুন:
মানুষ জীবনের স্বাদ হারায় অস্থিরতায়, স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারে: আফজাল হোসেন
মেহজাবীনের বোন মালাইকার ‘অনুতপ্ত’
দুর্ঘটনার পর মাহির ভাইকে হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নেয়নি। এ অভিযোগ করে মাহি বলেন, “হাসপাতাল ওকে ভর্তি নেয়নি, কারণ ওরা চিন্তা করছিল কোথাকার কে এসেছে, বিল দেবে কিনা, পরিবার কারা— এই সব হিসাব। একজন মানুষের জীবন তাদের কাছে মূল্যবান ছিল না। এরপর ওকে নেওয়া হয় সরকারি হাসপাতালে, কিন্তু সেখানকার ব্যবস্থাপনাও অগোছালো। যথাযথ চিকিৎসা হয়নি।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সামিরা মাহি বলেন, “আমার প্রশ্ন, প্রথমে কি আসা উচিত— একজন মানুষের জীবন, না টাকা-পয়সার হিসাব? একটা মানুষ রাস্তায় পড়ে থাকে, আর একটি গাড়িও দাঁড়ায় না—এ কেমন মানবতা? মানুষ কি সত্যিই এতটা নির্দয় হয়ে গেছে?”
মানবতা ফিরে আসার প্রার্থনা করে মাহি বলেন, “এই সমাজ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মনুষ্যত্ব— সবকিছু আজ প্রশ্নের মুখে। আমার ভাই আর নেই, কিন্তু আমি চাই না অন্য কারো পরিবারের সাথে এমন হোক। আজকে আমার ভাই কাল আপনার। মানবতা ফিরে আসুক, মানুষের প্রাণই হোক অগ্রাধিকার।”
এদিকে, দেশের একটি গণমাধ্যমকে মাহি জানান, গত শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তার কাজিন আবু শাহেদ রাসেল। ফেনী থেকে ঢাকা ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান তিনি।
মাহি বলেন, “ও আমাদের বাসায় থাকত। দুই দিনের জন্য ফেনী গিয়েছিল বন্ধুর বিয়ে খেতে। ফেনী থেকে ফিরছিল। কুমিল্লার ময়নামতি ক্রস করার পর দুর্ঘটনা ঘটে। রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে ওর গাড়িকে বড় একটি গাড়ি ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। অনেক পানি ছিল। মূল রাস্তা থেকে পুকুরটা দেখাও যাচ্ছিল না। পাশাপাশি দুর্ঘটনার সময় আর কোনো গাড়িও ছিল না সেখানে। একটা বাইক ছিল। ওই বাইক আরোহীরা ওকে দেখেন। ওনারাই নিকটস্থ হাসপাতালে নেনে। ওই হাসপাতালে না রাখলে পাশের আরেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে এক ঘণ্টার মতো বেঁচে ছিল আমার কাজিন।”
কাঁদতে কাঁদতে মাহি বলেন, “ওকে যে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল সেখানকার লোকজন বলেছেন ইন্টার্নাল বিল্ডিংয়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু রাখতে পারছিল না। কারণ নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল।”
শাহেদের সঙ্গে ছিল মাহির বাগদত্তা সাদাত শাফি নাবিলের ভিজিটিং কার্ড। উদ্ধারকারীরা ওই কার্ড থেকে নাম্বার নিয়ে শাফির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে শাহেদের মৃত্যু সংবাদ দেন।
ভাই হারিয়ে শোকগ্রস্ত মাহি। আইনি পদক্ষেপ নিতে চান কি না জানতে চাইলে মাহি বলেন, “কোন গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে জানি না। পেছনে থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে। কোন গাড়ি, কী গাড়ি কিছুই জানা নেই। তাছাড়া গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে দাফন হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ নিতে হলে লাশের পোস্ট মর্টেম প্রয়োজন হয়। আমরা চাইনি কোনো কাটাছেড়া করা হোক।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত