আগামীকাল যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
Published: 13th, May 2025 GMT
আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে আজ দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
তিন দফা দাবি হলো—
১.
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, এখানকার শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার। কোনো আবাসনসুবিধা নেই। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপক কষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যেখানে গবেষণা, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য টিউশন করতে করতে পড়াশোনার সময় শেষ হয়ে যায়। তাই ন্যায্য অধিকার আদায়ে আগামীকাল বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে লংমার্চ হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০ বছর, কিন্তু ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাটা পূরণ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে পদক্ষেপ নেয়নি। বারবার প্রহসন করেছে। এখন একমাত্র বিশ্বাসের জায়গা প্রধান উপদেষ্টা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা যমুনাতে অবস্থান নেবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, অধিকার আদায়ে যমুনাতেই ফয়সালা হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান থাকবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ