বাংলাদেশে ‘পাকিস্তানপন্থা’ বলে কিছু নেই। এটি ভারতের রেটোরিক। এর প্রচার জুলাই ঐক্যে নতুন বিভেদ উসকে দেবে। সাতচল্লিশ, একাত্তর এবং চব্বিশকে ধারণ করে বাংলাদেশপন্থি শক্তিশালী রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়তে হবে। আজ মঙ্গলবার বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে হেফাজতে ইসলাম। 

সংগঠনটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী ছাত্র-জনতাকে ‘পাকিস্তানপন্থি’ বলে ফ্রেমিং করে। এই মুহূর্তে ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘পাকিস্তানপন্থি’ ট্যাগ দেওয়া মানে ভারতীয় বয়ান পুনরুজ্জীবিত করা। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এ ধরনের ভারতীয় রেটোরিক ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে দমন করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ উত্তর বাংলাদেশে আবারও সেই আত্মঘাতী পশ্চাদমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চায় না। ভারতীয় রেটোরিকের চর্চা জুলাই ঐক্যে বিভেদ উসকে আধিপত্যবাদকে সুযোগ করে দিতে পারে। 

আজিজুল হক বলেন, হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বঞ্চিত মুসলমানের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষায় সাতচল্লিশ ঘটেছিল। এরপর পাকিস্তান সামরিক জান্তার জুলুম ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে একাত্তরের জনযুদ্ধ সংঘটিত হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর ধারাবাহিকতায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে এদেশে ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের পতন ঘটে। সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশ প্রতিটি আমাদের সংগ্রামী ইতিহাস ও জাতীয় আত্মপরিচয় নির্মাণের অনিবার্য ভিত্তি। কোনোটিকে অস্বীকার নয়, বরং ঐক্যবদ্ধভাবে  ইতিহাস ও রাষ্ট্র পুণর্নির্মাণে প্রতিটিকে ধারণ করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু 

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শনিবার (১৬ আগস্ট) একদিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক ছিল হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার। 

রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী। 

তিনি জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একদিন বন্ধের পর আজ রবিবার দুপুর ১টা থেকে হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে বন্দর অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম। বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তা আনলোড করে দেশি ট্রাক লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যেতে শুরু করেছে।

হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, “হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে না। ভারতের সাথে এই চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ