পুলিশের লাঠিপেটা–কাঁদানে গ্যাস, যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা লংমার্চ ছত্রভঙ্গ
Published: 14th, May 2025 GMT
তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপে লংমার্চ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে লংমার্চে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তাঁরা মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে চলে যান।
লংমার্চে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এই লংমার্চ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যায়। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
আজকের লংমার্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা লংমার্চে অংশগ্রহণ করেন।
তিন দফা দাবি হলো—
১.
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গহনা কিনতে জুয়েলারি দোকানে ঢোকে ৫ নারী, সুযোগ বুঝে ‘শতাধিক ভরি’ স্বর্ণ চুরি
রংপুর শহরের বেতপট্রি এলাকায় লক্ষ্মী জুয়েলার্স নামের একটি জুয়েলারির দোকান থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকানের কর্মচারীদের গহনা দেখানোর কথা বলে ও কৌশলে ব্যস্ত রাখে পাঁচজন নারী। পরে সুযোগ বুঝে শতাধিক ভরির একটি স্বর্ণের বাক্স নিয়ে তারা পালিয়ে যায় দাবি করেছেন দোকানিমালিক। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। আজ বুধবার দুপুরে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।
দোকানমালিক অভিযোগ করেন, দুপুর সাড়ে ১২টার পর দু’জন এবং কিছুক্ষণ পর আরও তিনজন নারী লক্ষ্মী জুয়েলার্স নামের একটি জুয়েলারির দোকানে ঢোকে। সেখানে গহনা দেখার নামে তারা সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। তারা কয়েকবার গহনা ওয়াশের জন্য কর্মচারীদের বাইরে পাঠায়। একপর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে এক কর্মচারীকে গহনা ওয়াশের জন্য বাইরে পাঠিয়ে। আর অন্য কর্মচারীকে ব্যস্ত রাখে গহনা দেখানোতে। এর একপর্যায়ে ক্যাশের পাশে থাকা স্বর্ণের একটি বক্সটি নিয়ে বের হয়ে যায় তাদের একজন। পরে বাকিরাও চলে যায়। বিকেল ৩টার দিকে বিষয়টি টের পান দোকানমালিক। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে চুরির ঘটনাটি বুঝতে পারেন তিনি।
লক্ষ্মী জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী অনিন্দ বসাক বলেন, একদল নারী দোকানের কর্মচারীদের ব্যস্ত রেখে স্বর্ণের বক্সটি নিয়ে যায়। যেখানে শতাধিক ভরি স্বর্ণ ছিল, যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠানো হয় সেখানে। একজন অফিসার বিষয়টি দেখছেন। নগরীর অন্যান্য সিসি ক্যামেরা চেক করে স্বর্ণ চোরদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে কতটুকু স্বর্ণ চুরি হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।