Samakal:
2025-07-11@18:36:30 GMT

পদাবলি

Published: 15th, May 2025 GMT

পদাবলি

দেখাদেখিখেলা
ফারুক মাহমুদ

এক প্রস্থ। দুই প্রস্থ। হালকা খাদ্য সহযোগে কয়েক প্রস্থ চা

কথার পেছনে কথা। আরো, আরো-আরো কথা
কিংবা, কোনো কথা নয়। কাছে-পাশে শুধু বসে থাকা
                অতঃপর ফিরে যাওয়া দুটি একা ঘরে

কর্মদিন নেই, ছুটিবার নেই
প্রত্যহ চলিষ্ণু থাকে আমাদের দেখাদেখিখেলা

আজ দেখি ভিন্ন পরিস্থিতি—
কোথাও সংশ্লিষ্ট নেই মানুষের দমআঁটা ভিড়
শহরের প্রতি অঙ্গে দোল খাচ্ছে জ্যোৎস্নার ঢেউ

‘কী জানি কিসের লাগি’ কেঁদে ওঠে আমাদের আধপোড়া মন

স্থগিত থাকুক তবে— পুরনো অভ্যাসবশে ফিরে যাওয়া দুটি একাঘরে

তার চেয়ে এই ভালো— এসো
হারিয়ে মুখস্থ পথ, দূরে যেতে যেতে  
মন ভ’রে তুলে রাখি অবিরল গানের জোয়ার
 

 

কাল ও আজ
মনিজা রহমান
একদা অ্যাসফল্টের রাস্তা ছিল না
পদাঘাত সহ্য করতে করতে ঘাস মরে যেত,
       তৈরি হতো ধূসর সিঁথির মতো পায়ে চলা পথ।
একদা কাপড় ছিল না, তাই লজ্জাও ছিল না
             তাই বলে মানুষ নির্লজ্জ ছিল না।
একদা শল্যচিকিৎসা ছিল না, হয়তো প্রয়োজনও ছিল না।
একদা প্রাচীন নদী ছিল কলোরাডো রিভারের মতো
             নদীতে ভাসত না মৃতদেহ।
একদা দেশ ছিল না, তাই সীমান্তও ছিল না, 
              কাঁটাতারের বেড়া ছিল অকল্পনীয়।
একদা বন্দুক ছিল না, মানুষ হত্যার অস্ত্রও ছিল না।

একদা মানুষ ছিল মানুষের মতোই
           মানুষের সংগ্রাম ছিল নিজস্ব জমি নিয়ে।

একদা বহু জন্মান্তর আগে আমিও ছিলাম 
              পুরুষের বিপ্রতীপ।
          এখনও মনে করতে পারি
জোনাকি সাক্ষী রেখে কেউ বলেছিল পৃথিবীর আদিম কথা
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’
              অতএব ভালোবাসাও ছিল।
এখন সবকিছুই আছে–
      পলিশ করা জুতা, ঝকঝকে মেকআপ,
      আগুন ছাড়াই রান্না, ড্রাইভারহীন গাড়ি, পাসওয়ার্ডে টাকা,
কৃত্রিম বুদ্ধি, ফেসবুক, এক্স, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ …
    আছে নানা পদের ক্ষুধা, প্রতারণা, বাইসেপ-ট্রাইসেপ, 
                 প্লাস্টিক সার্জারি, ভায়াগ্রা …
     শুধু প্রকৃত ভালোবাসা মুখ লুকিয়েছে প্রত্নতত্ত্বের পাথরে।

 

কবির নির্বাসন
নাজমুল আমীন

(দাউদ হায়দার স্মরণে)

যখন কালো জ্যোৎস্নায় প্লাবিত হলো চরাচর, 
পদ্মায় ঝলকে উঠল কালো বন্যার অশনিসংকেত
একটি কবিতার অঙ্কুর থেকে জন্ম নিল একান্ন কোটি বছরের
বিরহের কাল─ অকস্মাৎ─ চণ্ডীদাসের মৃত্যুঞ্জয়ী অপেক্ষার 
অভিমান অক্লেশে ম্লান করে দিয়ে।

শির-মূল্য ধার্য করেনি রাষ্ট্র─ তিন নিযুত মুদ্রায়,
পড়েনি তীক্ষ্ণ ছুরির ষোলোটি গভীর দাগ, 
পাঁজরে আর চোখের স্ক্লেরায়
তবু কবি দেশান্তরে যায়, যেন এক দিশেহারা
দলছুট পরিযায়ী পাখি
অনন্তর ফিরে দেখে প্রত্যাবর্তনের পথ মুছে গেছে
কালো সূর্যের প্রবল উত্থানে।

চতুর্দশী চন্দ্রের রাতে, এ পৃথিবীর কোনো এক ধীরস্রোত 
স্প্রি নদীর তীরে
বসে থাকে কবি: 
দুই চোখ ভিজে যায়, ভেসে যায়, জ্যোৎস্নার হিমে 
অবিরল তুষারপাতে আজন্ম লালিত এক মানচিত্রের 
ছায়াপাত নাকি?─ বাহাদুর শাহ জাফরের মতো
জননী জন্মভূমির দুই গজ জমিনের অস্ফুট আকুতি 
ক্রমশ নির্বাপিত হতে থাকে নিয়তির অমোঘ বিধানে।

কবির হৃদয় অন্তিমে ফিরে যেতে চঞ্চল হয়ে ওঠে
যক্ষের অলকাপুরী কিংবা ইন্দ্রের অমরাবতী
কোন দিকে গন্তব্য সমীচীন হবে তার? 
           কোন দিকে আসল ঠিকানা?
কোত্থেকে আসে অগ্রজের আহ্বান?
আরও কিছু অমর পঙ্‌ক্তির ইঙ্গিত হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যায়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সবাইকে চমকে দিলেন জাস্টিন বিবার

কয়েক বছর ধরে জাস্টিন বিবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন অসুস্থতা, কনসার্ট স্থগিত করা আর স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না—এমন সব বিষয় নিয়ে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে বিবারের সঙ্গে গানের যেন অলিখিত একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। অবশেষে ভক্তদের চমকে দিয়ে নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করলেন কানাডীয় গায়ক। কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই বিবারের নতুন অ্যালবাম ‘সোয়্যাগ’ প্রকাশিত হয়েছে আজ। খবর বিবিসির

২০টি গানের অ্যালবামটিতে রয়েছে ‘ড্যাডজ লাভ’, ‘ডিভোশন’, ‘থেরাপি সেশন’-এর মতো গান, যেখানে উঠে এসেছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সংগ্রামের গল্প। কয়েক বছর ধরেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভুগছেন গায়ক। মনে করা হচ্ছে, গানে গানে নিজের জীবনের গল্পই শ্রোতাদের সামনে হাজির করেছেন তিনি।

ইনস্টাগ্রামে অ্যালবামের প্রচারে বিবারকে দেখা গেছে স্ত্রী হেইলি বিবার ও তাঁদের সন্তানকে নিয়ে হাজির হতে। বিবারের ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ