ঢাকাসহ সারা দেশে গত এক সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা ও চোরাচালানির পণ্য জব্দ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাত দিনে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন, স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসব যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, অবৈধ বালু উত্তোলনকারী, সরকারি বৃক্ষ কর্তনকারী, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত, দালাল চক্রের সদস্যসহ ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, আটকের সময় তাঁদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৭টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ৫টি ককটেল বোমা, ৬টি হাতবোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মুঠোফোন, পাসপোর্ট, নকল খাদ্যদ্রব্য, চোরাই চিনি, মসলা, অবৈধ ওষুধ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমনে সেনা টহল দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সঙ্গে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্‌যাপন নির্বিঘ্ন রাখতে সেনাবাহিনীর টহল দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করেছে।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৬২

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত) অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ১ হাজার ৫৮ জন। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৬০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে একটি ওয়ান শুটার জব্দ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৭১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী

সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাহিনীর পক্ষ থেকে।

বুধবার (১৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার গৌরবময় ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের পেশাদারিত্ব, নিরলস পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলার মাধ্যমে অর্জন করেছে। এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের প্রশ্নাতীত আনুগত্য, সততা ও আত্মত্যাগই আজকের এই সাফল্যের মূল ভিত্তি। সামরিক শৃঙ্খলা একটি পেশাদার সেনাবাহিনীর মূল চালিকাশক্তি। সামরিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযোগ্য পুরস্কার ও শাস্তি প্রদানের বিধান রয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ডিপ্লোমা-বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১০

যেসব নম্বরে ফোন করলে মিলবে সেনাবাহিনীর সহায়তা

আইএসপিআর আরো জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় সাবেক সেনা সদস্যের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কিছু আবেদন উত্থাপিত হয়েছে যা সেনাসদর সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। মানবিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এসব আবেদনগুলো যথাযথভাবে পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে সেনা সদরে উচ্চপর্যায়ের একটি পর্ষদ গঠিত হয়েছে এবং এই পর্ষদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অদ্যাবধি, এ সংক্রান্ত মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ৬৯৬টি আবেদন পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন সাপেক্ষে নিষ্পত্তির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হলেও সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর সব সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য এবং জাতি তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সাবেক সেনা সদস্যদের প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায্য দাবিসমূহের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে—পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি ও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে চলার মাধ্যমেই প্রতিটি সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব। এ ব্যাপারে যেকোনো ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে, যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বিমানবাহিনী প্রধান
  • ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতের প্রত্যয় আইএসপি ইউনাইটেডের
  • আন্তর্জাতিক মেরিটাইম প্রদর্শনীতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম ছেড়েছে নৌবাহিনীর জাহাজ
  • আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ফিরলেন ভারতে গ্রেপ্তার ১১ বাংলাদেশি
  • ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১১ বাংলাদেশি
  • সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী: আইএসপিআর
  • ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি ইসলামী আন্দোলনের
  • ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের
  • সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী