নাটোরের লালপুরের একটি বাগান থেকে আম পড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় দুইটি মোটরসাইকেল। তবে, এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। 

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর এলাকার ফকির চাঁদ গোসাইয়ের আশ্রমে ঘটনাটি ঘটে। লালপুর থানার ওসি মোমিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোসাই আশ্রমের আমবাগান কমিটির কাছ থেকে লিজ নেন দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির। এ নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য মিল্টনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, বাড়ি ভাঙচুর

ফিনল্যান্ডে দুটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে নিহত ৫

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাসির ও তার অনুসারীরা আশ্রমের বাগানের ক্রয়কৃত আম পাড়তে গেলে মিল্টন বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এরই জেরে মিল্টনের অনুসারীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। 

এ বিষয়ে জানতে যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য মিল্টনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। 

লালপুর থানার ওসি মোমিনুজ্জামান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ ব এনপ র স ঘর ষ ম ল টন

এছাড়াও পড়ুন:

তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ওয়াসিম আকরামের (২৮) মরদেহ দেশে ফিরেছে।

শনিবার (৫ জুলাই) মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সি ইমদাদুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নিহত ওয়াসিম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

বিজিবি জানিয়েছে, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে মরদেহটি তার তার ছেলে ওয়াসিম আকরামের বলে দাবি করে। ওই সময় বিএসএফ মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

পরে মরদেহ ফিরে পেতে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করে ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী। আবেদনের প্রেক্ষিতে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ধারাবাহিক যোগাযোগের ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশি ওই যুবকের মরদেহ ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মেইন সীমান্ত পিলার ৬০ এর নিকটে বিজিবি ও বিএসএফ ও দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ওয়াসিম আকরামের বাবা রমজান আলী এবং তার বড় ভাই মেহেদী হাসান মরদেহ গ্রহণ করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে ওয়াসিম আকরামের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ