‘অন্যদিন...’ মুক্তি পাচ্ছে ১১ জুলাই
Published: 5th, July 2025 GMT
প্রায় দুই বছর ধরে সার্টিফিকেশন (সেন্সর) বোর্ডে আটকে থাকার পর দর্শকের সামনে আসছে ‘অন্যদিন...’। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছবির পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন জানান, জুলাইকে উৎসর্গ করে সিনেমাটি ১১ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সারা আফরীন।
পরিচালক কামারকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একটা ছবিকে গায়েব করা মানে একজন নির্মাতাকে গুম করে দেওয়া।’ ২৪ সালের জুলাইয়ের আগে অন্যদিন… দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই ঠিক করেছিলাম, এরপর আর কোনো ছবিই বানাব না। কিন্তু জুলাই এসে সব ওলট-পালট করে দিল। বিগত রেজিমের জন্য ছবিটা প্রফেটিক হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে দিয়েছিল অন্যদিন…। অথচ এখন আবার জুলাই এল বলেই অন্যদিন… দেখানো যাচ্ছে। সে জন্য আমরা ঠিক করি, জুলাইকে উৎসর্গ করে এই জুলাইয়েই মুক্তি দেব অন্যদিন…।’
২০২৩ সালের মে মাসে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে (বর্তমানে সার্টিফিকেশন বোর্ড) জমা পড়েছিল। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনী পরিবেশ ও রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ছবিটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিগত সরকার। এর পর থেকে ছবিটি আটকে ছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেন্সর বোর্ডের ইতি ঘটিয়ে ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বছরের মার্চে ছবিটি সার্টিফিকেশন সনদ পেয়েছে।
২০১৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের সিনফন্দেশিওনে ছিল ‘অন্যদিন.
২০২১ সালে বিশ্বের প্রথম সারির উৎসবগুলোর অন্যতম প্রধান ইডফার মূল প্রতিযোগিতায় আমস্টারডামের তুসান্সকি থিয়েটারে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল সিনেমাটির। ২০২২ সালে উত্তর আমেরিকার অন্যতম উৎসব ক্যামডেন থেকে শ্রেষ্ঠ ফিচার ছবির জন্য হ্যারেল অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কলেজ কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত জেলার প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
আজ মানববন্ধনে সুনামগঞ্জের লেখক-গবেষক সুখেন্দু সেন, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক, পঙ্কজ কান্তি দে, মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মুজাহিদুল ইসলাম, সালেহীন চৌধুরী, মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, নাসিম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য কোনো জায়গায় নির্মাণ এবং শহীদ মিনারের ভাঙা অংশ সংস্কারের দাবি জানান। পরে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন বলেন, ‘এটি জেলার প্রথম শহীদ মিনার, ইতিহাসের অংশ। এটি ভাঙা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কথা বলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য জায়গায় নির্মাণ ও শহীদ মিনার যেভাবে ছিল, সেভাবে আবার সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন।’
জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সাবেক ছাত্রনেতারা আমাদের কাছে এসে তাঁদের দাবির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি এখানে নতুন। আমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলীর সঙ্গে দ্রুত কথা বলে সমস্যার সমাধান করব।’
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে ১৯৬৬ সালে এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি সুনামগঞ্জে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার। প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো এই শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে কলেজের ৭৫ বছর পূর্তির একটি স্মারকস্তম্ভ।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর এলাকায় ১৯৪৪ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। সরকারীকরণ করা হয় ১৯৮০ সালে। কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২০ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব হয়। এই উৎসবের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তখন ক্যাম্পাসে একটি স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। মাসখানেক আগে ওই স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোথায় এটি নির্মাণ করা হবে, সেই স্থানটি নির্ধারণ করেছে। স্থান নির্ধারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো ভূমিকা নেই।
আরও পড়ুনসুনামগঞ্জের প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণ, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-প্রতিবাদ৯ ঘণ্টা আগে